বগুড়ায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক
- বগুড়া অফিস
- ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ২১:২৮
বগুড়ার শেরপুরে লিজা খাতুন নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুরের পর উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের কাফুরা পূর্বপাড়া গ্রামের নিজ কক্ষ থেকে গৃহবধুর লাশটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সেটি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্বামীর সাথে রাগারাগির জেরে গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বজনরা। তবে বাস্তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
এ ঘটনায় মৃতের স্বামী কাফুরা পূর্বপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে মো: সোহেল রানাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তবে আটক স্বামী সোহেল রানা নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘শনিবার রাতে স্ত্রী লিজা আমার কাছে ৭০ টাকা চান। সাথে সাথেই বের করে দেই। কিন্তু সকাল বেলা আবার টাকা চাইলে রাতের বেলায় দেয়া টাকার কথা জানতে চাই। কিন্তু কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় তাকে দুয়েকটি চড়-থাপ্পড় মেরে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাই। এরপর বাড়ি এসে দেখি স্ত্রী লিজা খাতুন গলায় ফাঁস দিয়েছেন।’
মৃতের স্বজনরা জানান, বিগত তিন বছর আগে মো: সোহেল রানার সাথে পাশের খামারকান্দি ইউনিয়নের ভাতারিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে মোছা: লিজা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে আব্দুর রহিম নামের এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। স্বামী সোহেল রানা পেশায় একজন শ্রমিক। প্রতিদিন মজুরির যে টাকা পান তা দিয়েই চলে তাদের অভাবের সংসার। অভাবের কারণে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হতো। এরই জের ধরে মাত্র ৭০ টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই ঝগড়ার কারণে রোববার সকালে লিজা খাতুনকে মারধর করেন স্বামী সোহেল রানা। পরে শয়নকক্ষ থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয়দের দেয়া খবরের ভিত্তিতে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতের স্বামী সোহেল রানকে আটক করা হয়েছে। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটি এখন বলা সম্ভব নয়।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা