তাড়াশে গ্রামের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩৭

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর দু’পক্ষের মধ্যে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩৭ জন আহত হয়েছে। আহতদের তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

রোববার সকালে উপজেলার মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের দিঘীসগুনা বাজারে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন দিঘী সগুনা গ্রামের মৃত আফাজের ছেলে গাজী আফছার (৫৫), জুব্বার হাদীর ছেলে ফিরোজ (৪০), খয়বার আলীর ছেলে ইমরান (২১), মৃত হবর আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী (৫০), আ: জব্বার ছেলে ফারুক (৩৫), মৃত হরফ আলী মন্ডলের ছেলে জুব্বার (৫৫), মৃত মফিজর ছেলে আ: হালিম (৩০), আনোয়ার হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গী (৪০), আজাহার ছেলে আরশাফুল (২৫) ও মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে বাবলু (৫০)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দিঘীসগুনা গ্রামে দীর্ঘ দিন ধরে ইদ্রিস ও আফসার গ্রুপের মধ্যে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসী দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর আগেও তাদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরই জেরে রোববার সকালে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি গ্রামবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের শতাধিক মানুষ দু’দলে বিভক্ত হয়ে লাঠি-সোটা, রাম দা, হাসুয়া ও লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ১০ থেকে ১৫টি দোকান ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এতে উভয় পক্ষের ৩৭ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তাড়াশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: ফজলে আশিক বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।