চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাত ও হয়রানীর অভিযোগ

পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (আরডিএ) বগুড়ায় চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক নিরাপত্তা প্রহরী বাদি হয়ে মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। তবে কোনো সুরাহা হয়নি।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আরডিএ বগুড়ার ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম মন্টুকে অভিযোগকারী মোঃ শাহজাহান আলী আরডিএ’র কৃষি ফার্মে চাকরির জন্য কয়েক বছর আগে ৩ লাখ টাকার চুক্তি করেন। এসময় আরডিএ বগুড়ার ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম মন্টুকে ৫০ হাজার টাকা দেন শাহজাহান। চুক্তি ছিল বাকি আড়াই লাখ টাকা নিয়োগপত্র পাওয়ার পর পরিশোধ করা হবে।

এরপর চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ২০১৭ সালের ৭ই জানুয়ারী আবারো ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা নেয়। এরপর একই বছরের ২ ফেব্রুয়ারী শাহজাহানকে নিরাপত্তা প্রহরী পদবী পরিবর্তন করে মালির পদে চাকরি দেয়া হয় এবং বলা হয় আপাতত তুমি এ পদে থাক।

পরবর্তীতে সেই নিয়োগ হওয়ার পরেও কোনো সাড়া পায়নি শাহজাহান। পুনরায় তাকে আগের পদে বহাল থাকতে বলা হয়। পরে কোনো উপায় না পেয়ে ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম মন্টুকে টাকা ফেরত দেয়ার জন্য বলা হলে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন শাহজাহান।

এদিকে মনিরুল ইসলাম মন্টুকে দেয়া টাকার প্রমাণ মোবাইল ফোন ও মেমোরী কার্ডে রয়েছে জানতে পেরে শাহজাহানের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সালের ৫ মে উক্ত একাডেমীতে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। উক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে হোটেল অ্যাটেনডেন্ট পদে আবেদন করলে পরীক্ষার কার্ড ইস্যু করা হয়। কার্ড অনুযায়ী যথারীতি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন শাহজাহান।

পরবর্তীতে উক্ত পদে চাকরি হয়েছে মর্মে নিয়োগপত্র প্রদর্শন করে শাহজাহানকে যোগদান করতে বলে কর্তৃপক্ষ। সে মাফিক শাহজাহান ২০১৭ সালের ২২ মার্চ যোগদান করে হাজিরা রেজিস্ট্রারে হোটেল অ্যাটেনডেন্ট হিসাবে স্বাক্ষর করেন এবং তাদের কথামতো জনতা ব্যাংকে একটি হিসাব খোলা হয়।

কিন্তু মহাপরিচালক ও পরিচালক প্রশাসন পরবর্তীতে বিভিন্ন তালবাহানা করে নিয়োগপত্র না দিয়ে বরং যোগদান পত্রটিও সরিয়ে ফেলে। এ ব্যাপারে তিনি মহাপরিচালকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এদিকে আরডিএ’র মহাপরিচালক এমএ মতিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি।