০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


শ্রমভিত্তিক শিল্প গড়ে তুলতে হবে

-

মোহাম্মদপুর এলাকার একজন এমপি এবং ওয়ার্ড কমিশনারের একটি সভা হয় ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮। এ সভার আয়োজন প্রায় ১০ দিন ধরে চলে। প্রায় এক ডজনের মতো তোরণ নির্মাণ এবং আলোকসজ্জা চলে। একটি সাধারণ নির্বাচনী সভা, এত ব্যয়বহুল বিশ্বে আর কোথাও হয় বলে আমার জানা নেই। কিন্তু বাংলাদেশে ৫৬ হাজার বর্গমাইল এলাকায় প্রতিনিয়ত এ ধরনের ব্যয়বহুল সভা হচ্ছে, যার টাকা দিচ্ছে দেশের সাধারণ জনগণ। এলাকার মানুষ বলাবলি করছে, রাতের ঘুম তো নষ্ট হয়েছে এ কয়েক দিন। মোটরসাইকেলের মহড়া-ঢোল বাদ্য বাজনা শব্দদূষণে মানুুষের নানাবিধ রোগ বাড়ছে। অতিষ্ঠ হয়ে গেছে মানুষ শাসক দলের বেপরোয়া এসব সভা-সমিতির কারণে। লক্ষ কোটি টাকা অপচয় হচ্ছে আমাদের দেশে। রাজনৈতিক সভা-সমিতি আয়োজনে বছরে যত টাকা খরচ হয়, তা দিয়ে মেট্রোরেল এবং কয়েকটি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব। একটি বিদেশী পত্রিকা লিখেছে, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি অর্থ বরাদ্দ হয় রাজনৈতিক সভা-সমিতি আয়োজনে। প্রতি বড় ধরনের ব্যানারেই খরচ হয় প্রায় লক্ষাধিক টাকা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শাসক দলের একটি রাজনৈতিক সভায় যত টাকা ব্যয় হয়, সেই টাকা মালয়েশিয়ার জাতীয় নির্বাচনেও খরচ হয় না বলে অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন। সে দেশের আর্থিক অপচয় বিশেষ করে বিলবোর্ড, পোস্টার, হ্যান্ডবিল, ফেস্টুন, তোরণ নানা ধরনের ব্যানার, ঢোল বাদ্যযন্ত্র, স্টেজ সাজানো বাবদ যে খরচ প্রতি বছর হয়, তা দিয়ে দেশের তিন কোটি লোকের বেকার-ভাতা দেয়া সম্ভব। রাজনৈতিক সভাÑ যখন যে ক্ষমতায় যায় সেই বেশি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে দেশের সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করে। এর সাথে রয়েছে হাজার কোটি টাকার আর্থিক অপচয়। ২০১৪ সালে সিঙ্গাপুরে জাতীয় নির্বাচন স্বচোখে দেখেছি, কিন্তু আমি কোথায়ও দেখিনিÑ প্রার্থীদের ছবি টাঙানোর রমরমা দৃশ্য। স্বয়ং নির্বাহী প্রধান এবং তাদের জাতির জনকের ছবি কোথাও দেখিনি। দেয়ালে কোনো পোস্টার ব্যস্ততম এলাকা অচার্ড রোডেও দেখিনি। এর অর্থ হলোÑ দেশের অপচয় হয় এমন কোনো কাজ সে দেশের সরকার এবং দেশের জনগণ করে না। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, প্রতিযোগিতা, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, খুন, কেন্দ্র দখলÑ এসব কিছুই নজরে পড়ল না আমার। নিয়মের আবর্তে চলছে সিঙ্গাপুর। একটুও এদিক-সেদিক হওয়ার সুযোগ নেই দেশটিতে। গণমাধ্যমে নির্বাহী প্রধানের ছবিও দেখলাম না। আমি যে হোটেলে ছিলাম সেখানে দুটো ইংরেজি পত্রিকা দেয়া হতো। দেখলাম না কোনো খুন, বিরুদ্ধতা বা রাহাজানির কোনো দৃশ্য এবং নির্বাচনী প্রচারের সংবাদ। আমরা নানা সমস্যায় জর্জরিত। এরপর যদি রাষ্ট্রে চলে এ ধরনের রাষ্ট্রীয় অপচয়, শক্তিমত্তা ও লুটপাট তা হলে দেশ কিভাবে আগাবে?
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় দুই লাখ মানুষ ঠাসাঠাসি করে বাস করে। জীবন বাঁচানোর এ সংগ্রাম ’৭১-এর পর থেকে শুরু হয়েছে। বর্তমানে এর তীব্রতা দুর্বিষহ আকার ধারণ করেছে। বিশ্বে ১৫০টি শহরের তালিকায় সবচেয়ে মানসিক চাপের শহর ঢাকা। ২০১৭ সালে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান থিপজেটের এক গবেষণায় দেখা গেছে, এশিয়ার শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় বাস করা সবচেয়ে স্ট্রেসফুল বা মানসিক চাপের ব্যাপার। গবেষণায় বায়ুদূষণ, ট্রাফিক জ্যাম, ময়লার ভাগাড়, লিঙ্গবৈষম্য, বেকারত্ব, মানসিক স্বাস্থ্যের মতো বিষয়ের মানদণ্ডে বিশ্বের ১৫০টি শহরের তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সর্বনিম্নে খারাপের দিক থেকে। অর্থাৎ আমরাই ১৫০ নম্বরে অবস্থান করছি (তথ্য সূত্র : জাতীয় দৈনিক ১৩-০৯-১৮)।
সম্প্রতি পত্রিকায় দেখলাম (বণিক বার্তা ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮) বিশ্বের মধ্যে ধনী লোকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার দিক থেকে বাংলাদেশ এক নম্বরে রয়েছে। এর অর্থ হলো দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে। বাড়ছে বেকারত্বের সংখ্যা। অর্থমন্ত্রী নিজেও বলেছেন এটা ‘জবলেস’ অর্থনীতি। বাংলাদেশের ধনকুবদের সামগ্রিক সম্পদের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ। ওয়েলা এক্সের ওয়ার্ল্ড আল্ট্রা ওয়েলস রিপোর্ট ২০১৮ প্রতিবেদনে শীর্ষ দশের প্রথম স্থানটি বাংলাদেশের সম্পদ বাড়ানোর তালিকায়। এর অর্থ ব্যাংক লুটপাট, শেয়ারবাজার এবং উন্নয়নের নামে। অর্থ লোপাট, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ইত্যাদি খাত থেকে এসব অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। বিগত ছয় মাসে শুধু খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংক ঋণের প্রচুর অর্থই ব্যক্তি সম্পদ বৃদ্ধির মূল কারণ বলে সংশ্লিষ্ট মহল থেকে জানা গেছে। বাংলাদেশে টাকা চুরির নানা গল্প প্রতিদিন পাতাভরে লেখা হয়। শাসকমহল এসব বিষয়ে থোরাই কেয়ার করেন। অর্থমন্ত্রী তো একবার বলেই ফেলেছেনÑ চার হাজার কোটি টাকা কোনো টাকাই না। আবার বলেছেনÑ উন্নয়ন হলে সেখানে লুটপাট হওয়া কোনো বিষয় নয়। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সহনীয়পর্যায়ে ঘুষ খান। এ রকম কথা যদি শাসক মহল বলে, সে দেশে লুটপাট তো হবেই। গত ১৫ সেপ্টেম্বর বণিক বার্তায় লিড নিউজ প্রথম পৃষ্ঠায় লিখেছেÑ মালয়েশিয়ায় ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে কর্মী পাঠিয়ে আসছিল ১০ রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেট। জিটুজি পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানিতে সরকার নির্ধারিত ব্যয় জনপ্রতি সাড়ে ৩৭ হাজার টাকা। কিন্তু ১০ রিক্রুটিং এজেন্সি জনপ্রতি আদায় করেছে গড়ে তিন লাখ টাকা। এভাবে গত দেড় বছরে তারা বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠিয়েছে প্রায় দুই লাখ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) পরিচালক ড. সিআর আবরার এ প্রসঙ্গে বলেন, জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে ১০ রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে শ্রমিক পাঠানোর সিদ্ধান্তটি যে যুক্তিযুক্ত নয়, সেটা শুরু থেকেই বলা হচ্ছিল। এর পরও বর্তমান সরকার সবসময় এর পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি শুরু থেকেই দিয়ে আসছিল, যা এখন ভুল প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের সরকার কিন্তু প্রথম এ অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি আমলে নেয়নি। অভিযোগ তুলেছে মালয়েশিয়া সরকার। অনৈতিকভাবে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে এরই মধ্যে জিটুজি পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেয়া বন্ধও করে দিয়েছে মালয়েশিয়া। এতে বাংলাদেশ আবারো মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার হারাল, যা কাম্য ছিল না। পত্রিকায় এসব নিয়ে নিউজ লিখেছে।
আমরা তিন ধরনের রাষ্ট্রের কথা জানি, অনুন্নয়ত, উন্নয়নশীল এবং উন্নত রাষ্ট্র। বাংলাদেশ এখন দ্বিতীয় ধাপে আছে। সরকারি দল বলছে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। কিন্তু বাস্তবের সাথে এর মিল খুঁজে পাওয়া কঠিন ব্যাপার। বর্তমান উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের মাথাপিছু গড় আয় প্রায় পাঁচ হাজার ইউএস ডলার। সেবার মান প্রায় ৮০ শতাংশের ওপরে। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত মিলিয়ে মানুষের গড় আয় বাংলাদেশে এখন এক হাজার ৫০০ ইউএস ডলার, যা উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোর চেয়ে অনেক কম। উদাহরণস্বরূপ মালদ্বীপ একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্রÑ তাদের মাথাপিছু গড় আয় প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউএস ডলার। অর্থাৎ বাংলাদেশ এখনো সার্কভুক্ত সাতটি রাষ্ট্রের মাথাপিছু গড় আয় অতিক্রম করতে পারেনি। একটি বিশেষ শ্রেণীর হাতে বাংলাদেশের অর্থসম্পদ কুক্ষিগত। তাদের গড় আয় আমেরিকার কাছাকাছি হতে পারে। যদি তাদের মাথাপিছু গড় আয় বাদ দেয়া হয় তাহলে বাংলাদেশে গড় আয় দাঁড়াবেÑ ৬০০ ইউএস ডলার। টাকার অঙ্কে বছরে দাঁড়ায় ৫২ হাজার ২০০ টাকা। মাসিক আয় চার হাজার ৩৫০ টাকা। যে দেশে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি চালের দাম, তরিতরকারির দাম নিম্নতম ৬০ টাকা সেই দেশে ৪ হাজার ৩৫০ টাকা দিয়ে একটি মানুষ কিভাবে তার পরিবারে ভরণপোষণ করবে। বাংলাদেশে বর্তমানে সরকারি কর্মচারীরা কিছুটা ভালো আছে। প্রতি বছরই ‘বাজার নিয়ন্ত্রণ’ না করে সরকারি কর্মচারীর বেতন-ভাতা সরকার বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে সমস্যা আরো বাড়ছে। বাজারে মূল্যস্ফীতি ঘটছে। টাকার মান কমে যাচ্ছে। একে কোনোভাবেই সুষম ‘বাজার অর্থনীতি’ বলা যাবে না। এদিকে সরকার পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করেছে আট হাজার টাকা। পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের দাবি ছিল ১৬ হাজার টাকা কিন্তু পেল ৮০০০ টাকা, যা কার্যকর হবে ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে। পোশাক শিল্পের শ্রমিক সংগঠনগুলো সরকারের ঘোষিত মজুরি ভাতা প্রত্যাখ্যান করেছে (সূত্র : কালের কণ্ঠ ১৪-০৯-১৮)। ২০১৩ সালে ছিল পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা। পাঁচ বছর পর বেড়ে দাঁড়াল আট হাজার টাকা। অর্থাৎ দ্বিগুণের চেয়েও কম। অন্য দিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে চার থেকে আট গুণ ক্ষেত্রবিশেষে। দেশের সাধারণ ভোক্তারা একে কোনোভাবেই সুস্থ বাজার অর্থনীতি হিসেবে গণ্য করে না। বর্তমানে দেশে যে বাজার অর্থনীতি চলছে তা শুধু বিত্তশালীদের জন্যই প্রযোজ্য। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত এবং পেনশনার বিশেষ করে বেসরকারি অবসরপ্রাপ্ত মানুষের অবস্থা দেয়ালে পিঠ ঠেকার মতো। আমরা ঢাকার বিলাসবহুল গাড়ি-বাড়ি শপিংমল দেখে মনে করি বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। অথচ ৪৭ বছরে নদীভাঙনে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা যে ৪০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে সে কথা ভাবি না। প্রতি বছর ক্ষতি ৫০০ কোটি টাকা। বাঁধ, রেলস্টেশন, ফুটপাথ এখন নদীভাঙন মানুষের আশ্রয়স্থল। নাসার প্রতিবেদনে জানা যায়, ৫১ বছরে পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে ২৫৬ বর্গমাইল জমি। সাত হাজার পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা। ভাঙনের ঢেউ লেগেছে মাদারীপুরের শিবচরেও। ঢাকা-পিরোজপুর মহাসড়কের একাংশ মধুমতিতে চলে গেছে। উজানের দেশ ভারত প্রতি বছরই বর্ষা মওসুমে নিজের দেশ রক্ষার নামে বাংলাদেশকে ডুবিয়ে মারে। (জাতীয় দৈনিক ১৫-০৫-১৮ ও ১৫-০৯-১৮) টাকা ও শ্রম এ দুটি যখন একত্র হয়, তখন তা হয় পুঁজি। তখন তা ফসল দেয়। আর শ্রম ছাড়া যে টাকা সেটি কখনো পুঁজিতে রূপান্তরিত হয় না। তাই তাদের টাকা নষ্ট হবেই। কারণ এ টাকার পেছনে কোনো শ্রম নেই। আমাদের শিল্পবান্ধব ব্যবসায় খুব কমই আছে, যেমন শ্রমভিত্তিক ভারী শিল্পকারখানা। আসুন আমরা অপচয় কমাই এবং শ্রমভিত্তিক ভারী শিল্প গড়ে তুলিÑ যা রফতানি বাণিজ্যকে দ্বিগুণ করবে। হ
লেখক : গ্রন্থকার
E-mail :harunrashidar@gmail.com

 


আরো সংবাদ



premium cement
গাজীপুরে পল্লী বিদ্যুতের সাবস্টেশনে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সখীপুরে স্কুল খোলা থাকলেও নেই শিক্ষার্থী, প্রধান শিক্ষকের রুমে তালা বিজয়ের সেঞ্চুরিতে ডিপিএলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন আবাহনী বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নয়, মা গলা টিপে হত্যা করেন শিশু মাইশাকে গরমে ঢাকার হাসপাতালে রোগীর অতিরিক্ত চাপ, শিশু ওয়ার্ডে আসন সঙ্কট প্রকট এ জে মোহাম্মদ আলীর রূহের মাহফিরাত কামনায় সুপ্রিম কোর্টে দোয়া চৌগাছায় দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ল কৃষকের ১ বিঘা জমির পানের বরজ সেলফি তুলতে চাওয়ায় ভক্তের ওপর চটেছেন সাকিব, চেপে ধরলেন ঘাড় টিভি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচার বন্ধে কার্যক্রম শুরু যেখানে অবৈধ পাথর খনির মিহি গুঁড়াতে ভরে ওঠে ফুসফুস শিবপুরে গৃহবধূর আত্মহত্যা : স্বজনদের দাবি হত্যা, স্বামী আটক

সকল