১৭ মে ২০২৪, ০৩ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫
`


সরকার পরিচালনায় রাষ্ট্রের সকল অঙ্গ একযোগে কাজ করছে : নানক

বক্তব্য রাখছেন অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। - ছবি : নয়া দিগন্ত

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার পরিচালনায় রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল স্তর, সকল অঙ্গ প্রতিষ্ঠানসহ একযোগে-একসাথে কাজ করে যাচ্ছে। এখানে দ্বান্দ্বিকতার কোনো সুযোগ নাই। এখানে সাংঘর্ষিক কোনো বিষয় নেই।

তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্ব, রাজনৈতিক দল সব মিলিয়ে এবং সরকারের সকল প্রতিষ্ঠানগুলো দিয়েই সরকার পরিচালনা করতে হয়। সেই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটি সফলভাবে পালন করা হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গত ১২ বছর। এই সময়টিতেই একমাত্র রাষ্ট্রের সকল জায়গায় একটি শৃংখলা রক্ষা করে দেশ এগিয়ে গেছে তার উন্নতির চরম শিখরে।

বুধবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত করোনাভাইরাস সংক্রমিত সীমান্তবর্তী জেলা-উপজেলায় সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রায় ৩০টি জেলা-উপজেলায় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, গত বছরের মার্চ থেকে সারাবিশ্ব যখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছিল, বাংলাদেশও তার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল না। বাংলাদেশও এই মরণব্যাধি করোনায় আক্রান্ত হয়। কিন্তু আমাদের নেত্রী সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা বাংলাদেশে জীবন এবং জীবিকা উভয়কে একইসাথে পরিচালনা করে, সঠিক ভূমিকা পালন করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আজকে বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এই দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রাক্কালে আগামীকাল থেকে দেশ আবার একটি কঠিন লকডাউন শুরু হচ্ছে।

তিনি বলেন, যেমনিভাবে গত বছরের মধ্য মার্চ থেকে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে এবং দলের সংসদ সদস্যরা চুপ করে বসে থাকেননি। এই দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দ করোনা মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণে এই একমাত্র দল যার জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দকে আমাদের হারাতে হয়েছে।

এসময় জাহাঙ্গীর কবির নানক করোনা আক্রান্ত হয়ে দলের জাতীয় নেতা, সংসদ সদস্যসহ অনেকের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অন্যান্য দলের মতো ঘরে বসে থাকেনি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল করোনায় মোকাবিলায়। বিশেষ করে লকডাউনের সময় মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। যারা নিম্ন মধ্যবিত্ত, যারা মানুষের কাছে হাত পাততে পারে না, রাতের অন্ধকারে গিয়ে তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দিয়েছে। এই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগসহ সকলে। এই পার্টি, এই দল একমাত্র জাতির যেকোনো প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে।

আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের লকডাউনে মানবতার সেবায় পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহি সদস্য সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement