বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোকে দুর্গত এলাকা হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ও ২০ দলীয় জোটের নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ এলাকা দুর্গত হিসেবে সরকারের ঘোষণা করার অবস্থায় চলে এসেছে।
আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সচেতন নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া চন্দনাইশসহ সারাদেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসনের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
ইরান বলেন, আমরা জানি সরকার যদি একটি এলাকা দুর্গত হিসেবে ঘোষণা করে তবে সে এলাকার মানুষ অনেক সুযোগ সুবিধা পায়, ত্রান পায়, বেঁচে থাকার একটা অবলম্বন পায়। তাই বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোকে আমি দুর্গত ঘোষণা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সচেতন নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক কবি ইকবাল মাহমুদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন খান, ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, বাংলাদেশ ছাত্র মিশনের সভাপতি সৈয়দ মো: মিলন, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
২০ দলীয় জোটের অন্যতম এ নেতা বলেন, এই সরকার জনগণের সরকার নয়, এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। জনগণের পক্ষে রাতে অপহরণ করে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে।
মানববন্ধন এর পাশেই অবস্থান নেয়া পৌরসভার কর্মচারীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, সরকারের কাছে আপনারা যে দাবি জানাচ্ছেন এই দাবি তারা বাস্তবায়ন করতে পারবেন না, কেননা তারা আপনাদের ভোটে নির্বাচিত নয়। এই সরকারকে ভোট দিয়েছে পুলিশ, এই সরকারকে ভোট দিয়েছে প্রশাসন। সুতরাং এই সরকার তাদের কাছে জিম্মি।
অনশনরত পৌর কর্মচারীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ইরান আরো বলেন, আমাদের দাবি যৌক্তিক, আপনারাও বাংলাদেশের নাগরিক। আপনাদেরও দায়িত্ব রয়েছে এই জুলুমের হাত থেকে রক্ষা করার লক্ষে এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করে নতুন নির্বাচনের দাবিতে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হই এবং একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। তারেক রহমানকে বাংলাদেশের নিয়ে আসি। তাহলেই বাংলাদেশ সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলায় পরিণত হবে।
তিনি বলেন, আজকে আমাদের প্রতিবেশী ভারত আমাদের যখন পানির প্রয়োজন হয় তখন আমাদের এক ফোটা পানিও দেয় না, কিন্তু বৃষ্টির দিনে যখন আমাদের পানি প্রয়োজন হয় না তখন তারা ফারাক্কার বাঁধগুলোর গেট খুলে দিয়ে আমাদের পানিতে ডুবিয়ে মারে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা