৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


আমাদের কিছু কর্মকাণ্ড বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিপরীত : হানিফ

মাহবুবুল আলম হানিফ - ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, দলের নেতাকর্মীদের কিছু কর্মকাণ্ড বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সাথে যায় না। তিনি নিজেদের শুধরে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মেনে চলার আহ্বান জানান সবাইকে।

রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুব রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘কিছু দুঃখের কথা বলি। আমাদের নেতাকর্মীদের নিজেদের কিছু কর্মকাণ্ড বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সাথে যায় না’।

হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সূত্রে গাথা। তিনি না জন্মালে এই দেশের স্বাধীনতার কথা কখনো চিন্তাও করা যেত না। পাকিস্তান জন্মের সাথে সাথে তারা এদেশের মানুষকে শোষণ করতে শুরু করে। তিনি ১৯৪৮ সালেই তার প্রতিবাদ করেন। এর পরে ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ গঠন করেন। তিনি যখন আন্দোলন গড়ে তোলেন তখন এ জাতি ছিল অশিক্ষিত, ঘুমন্ত। এমন একটি জাতিকে তিনি জাগিয়ে তুলেছিলেন। এমন একটি জাতিকে জাগিয়ে তোলা সহজ কাজ ছিলো না। কিন্তু তিনি তা করেছিলেন।

হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন বিচক্ষণ ব্যক্তি। তিনি কোনো হটকারি সিদ্ধান্ত নেননি। ধাপে ধাপে এই জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের দিকে এগিয়ে নিয়েছেন। ৬ দফার মাধ্যমে স্বাধীনতার বীজ বপন করেছিলেন তিনি। এজন্য তাকে গ্রেফতার করে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিচার করে পাকিস্তান সরকার। কিন্তু ১৯৬৯’র গণ-অভ্যুত্থান তাকে মুক্ত করে। বঙ্গবন্ধুর সমস্ত কর্মকাণ্ডের ফসল বাংলাদেশ। তিনি এদেশকে নিয়েই ভেবেছেন। পরিবার সন্তান নিয়ে সংসার করার সুযোগ তার ছিলো না। তিনি ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন।

১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, পচাত্তরের হত্যাকাণ্ডকে একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের কর্মকাণ্ড হিসেবে চালিয়ে দিতে চেয়েছিল দোষররা; কিন্তু বাস্তবে সেটা ছিলো না। এই হত্যাকাণ্ড ছিলো সুপরিকল্পিত। ৭১ সালের পরাজিত শক্তি, তাদের দোষররা ও পশ্চিমা বিশ্বের শোষক শ্রেণী তাকে হত্যার মদদ দিয়েছিলো। কারণ ওই শাসকরা তার জনগণকে শোষণ করতো আর বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষক শ্রেণির আতঙ্ক।

জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, যারা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করে তাদের লজ্জা করা উচিত। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন, কিসের ভিত্তিতে তাকে মুক্তিযোদ্ধা বলা হয়। তিনি গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে এনেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিয়েছেন। খালেদা জিয়া রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছেন। গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব দিয়েছেন। জিয়া আসলে মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য অংশ নেননি। তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন এবং তথ্য পাচার করতেন। যার প্রমাণ আছে।

মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement