০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ভোটের আগে কি মুখোমুখি অবস্থানে ঐক্যফ্রন্ট ও ইসি?

ভোটের আগে কি মুখোমুখি অবস্থানে ঐক্যফ্রন্ট ও ইসি - নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে বিরোধীদলীয় প্রার্থীদের ওপর অব্যাহত সহিংস হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার পদত্যাগ দাবি করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

গতরাতে বিএনপিসহ বিরোধীদলগুলোর জোটের নেতাদের জরুরী বৈঠকের পর এ দাবি জানানো হয়। এর আগে নির্বাচনী সহিংসতার প্রতিকার চেয়ে নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠক থেকে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ওয়াক আউট করেন।

অন্যদিকে এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগ বলেছে, নির্বাচন ভন্ডুল করার পরিবেশ তৈরির জন্য নানা চেষ্টা হচ্ছে।

নির্বাচন কমিশন ও ঐক্যফ্রন্ট কি তাহলে মুখোমুখি অবস্থানে চলে গেল?

রাজনৈতিক বিশ্লেষক রওনক জাহান বলেন,‘অনেকদিন ধরে বিরোধীদলগুলো নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রতিবাদ করছিলেন, নিরাপত্তা চাচ্ছিল, কিন্তু নির্বাচন কমিশন তা নিশ্চিত করতে পারছিল না। বিরোধী দল নিরাশ ও ক্ষুব্ধ। তারপরও তারা বলেছে নির্বাচন বর্জন করবে না, তারা থাকবে।’

তিনি বলেন,‘এটা হচ্ছে আরেকটাই প্রতিবাদের মতো, সিইসির প্রতি তাদের যে অনাস্থা তা তারা প্রকাশ করলেন। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান হলেও পুরো প্রক্রিয়ার ওপর মানুষের যেমন আস্থা বা পরিবেশ যেমন হওয়া উচিত ছিল - এখনও মানুষের মনে অনেক রকম প্রশ্ন সংশয় রয়েছে। তারা কি দিতে পারবে কিনা ভোট।’

‘২০০৮ সালের নির্বাচন, ১৯৯৬ বা ১৯৯১ সালের নির্বাচনে যেরকম পরিবেশ ছিল, এই নির্বাচনে সেই পরিবেশ এখন নেই,’- বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন রওনক জাহান।

ঐক্যফ্রন্ট ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ প্রসঙ্গে রওনক জাহান বলেন,‘আমাদের দেশে নির্বাচনের আগে সবসময় বিভিন্ন দল এ ধরনের নানা ধরনের কথা বলেই থাকেন। সেটা আপনি যদি যুক্তি দিয়ে দেখতে চান বুঝতে পারবেন না।’

‘ষড়যন্ত্র হচ্ছে, কেউ বানচাল করার চেষ্টা করছে, একজন আরেকজনের ওপরে দোষারোপ করা - আজকে না বহু বছর ধরে নির্বাচনে এসব কথাবার্তা হয়। এগুলো শুনে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি,’ বলেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement