০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বিএনপির কাছে কাদেরের তিন প্রশ্ন

-

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতৃত্বের কাছে তিন প্রশ্নের জবাব চেয়েছেন। সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জড়িত নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য অনলাইন স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্ধোধনকালে তিনি এই প্রশ্ন রাখেন। সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘গৌরব ৭১’, ‘কানাডা আওয়ামী লীগ অল ওভারসিস বাংলাদেশি’, ‘মুভমেন্ট ফর ডিপারটেশন অব কিলার নুর চৌধুরী টু বাংলাদেশ’ যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিপু মনি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি বার বার একই প্রশ্ন করছি বিএনপির নেতৃত্বের কাছে; বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত, সেই খুনিদের বিচারের পথ বন্ধ করতে কেন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল, কেন এই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে বাংলাদেশের লাখো শহীদের রক্তের আখরে রচিত সংবিধান পরিবর্তন করে পঞ্চম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছি? হত্যাকারীদের বিচারের পথ রুদ্ধ করতে। এই প্রশ্নের জবাব বিএনপি আজও দেয়নি। আমি আবারও সেই প্রশ্নের জবাব চাচ্ছি।
আওযামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাংলাদেশের একজন জেনারেল সেনাপাতি জিয়াউর রহমান, মেজর ডালিমের সঙ্গে দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য করেছিল ‘ওয়েল ডান, মেজর ডালিম; কনগ্রাচ্যুলেশন।’ তার অর্থটা কি? এই হত্যাকান্ডের পেছেনে তিনিও আছেন নেপথ্যে। যে খুনিদের আজকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা কূটনৈতিক প্রয়াস এমনকি মামলা পর্যন্ত করতে হচ্ছে সেই খুনিদের নিরাপদে বিদেশে পাঠিয়ে গিয়েছিলেন কে? জিয়াউর রহমান।
এই খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন কে? জিয়াউর রহমান। এই খুনিদের বিচার হবে না এই মর্মে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন কে? জিয়াউর রহমান? এবং এই খুনিদের বিচার কাজ বন্ধ করতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে পঞ্চম সংশোধনীতে আমাদেও সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন কে? জিয়াউর রহমান।
আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকাকালীন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কাজ শেষ হয়েছে এবং হত্যাকারীদের অনেককে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে আমারা জানা মতে ছয়জন খুনি বিদেশে আছেন।
এদের মধ্যে রাশেদ চৌধুরী, নূর চৌধুরী, ডালিম, শুধু আজিজ পাশা মারা গেছেন। মাজেদ মোসলেম এই কজন এবং রশীদ এই ছয়জন বিদেশে আছেন। এই ছয়জনকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জোরদার হচ্ছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন খুনি রাশেদ চৌধুরী, তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আমাদের আলাপ আলোচনা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারও আমাদের সহযোগিতা করছে।
সেখানে একটা মামলা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে। তেমনি নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পিটিশন দেওয়ার লক্ষ্যে এখানে সাক্ষর গ্রহণ কর্মসূচি এর শুভ উদ্ধোধন হচ্ছে। নূর চৌধুরীর ব্যাপারে কানাডার একটি আইন আছে সেটা হলো কাউকে মৃত্যুদন্ড দেয়ার বিধান সেদেশের আইনে নেই। এই কারণে আইনটিকে শিথিল করে নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কানাডায় একটি মামালাও বাংলাদেশ সরকার করেছে এবং সেখানে আলাপ আলোচনা অব্যাহত আছে।


আরো সংবাদ



premium cement
শুক্রবার দেশে আসবে মোহাম্মদ আলীর লাশ, শনিবার দাফন ইসরাইলের সাথে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিলো তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিলো ইরান বাসায় ফেরার পর যা জানালেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ঋণ পুনঃনির্ধারণের নিয়ম মূল্যস্ফীতিকে বাড়িয়ে তুলছে : ড. ফরাস উদ্দিন ৪ মাসে ৮৩১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ বকেয়া বিল পরিশোধ নিয়ে সরকারের অবস্থান জানতে আগ্রহী আইএমএফ সরিষাবাড়ীতে যুবতীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিল ব্র্যাক ব্যাংক সৌদি আরবের ৮০ কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী : সালমান এফ রহমান ওমরার ভিসায় হজ করা যাবে না : সৌদি কর্তৃপক্ষ

সকল