বিএনপি নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মোসাদ্দেক আলী ফালুসহ নয়জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল এ ব্যাপারে দুদকের পক্ষ থেকে পুলিশের এসবি’র বিশেষ পুলিশ সুপার বরাবর পাঠানো হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, চিঠিতে বলা হয়, ওই নয়জনের বিরুদ্ধে আট মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের প্রায় ৬৫ লাখ টাকা দুবাইয়ে পাচার করে অফশোর কোম্পানি খুলে বিনিয়োগ, দুবাইয়ে আরো শত কোটি টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানেও এর প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
দুদক জেনেছে, এসব ব্যক্তি দেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই তারা যাতে দেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে যেতে না পারেন, সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে দুদকের পক্ষ থেকে।
মোসাদ্দেক আলী ফালু ছাড়া অন্য যাদের বিরুদ্ধে দেশ ত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে, তারা হলেন- আর এ কে পেইন্টস ও আশালয় হাউজিংয়ের পরিচালক এস এ কে একরামুজ্জামান, তার ছেলে এবং আর এ কে পেইন্টস ও আর এ কে কনজ্যুমার প্রোডাক্টসের পরিচালক কামার উজ জামান, আর এ কে কনজ্যুমার প্রোডাক্টসের পরিচালক মোহাম্মদ আমির হোসেন, ঝুলপার বাংলাদেশ লিমিটেড ও রাকিন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির পরিচালক সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান, আর এ কে কনজ্যুমার প্রোডাক্টসের পরিচালক এম এ মালেক, রোজা প্রোপার্টিজের পরিচালক আশফাক উদ্দিন আহমেদ, আর এ কে পাওয়ার লিমিটেডের পরিচালক মাকসুদুল করিম এবং আর এ কে পেইন্টস ও আর এ কে ক্যাপিটাল লিমিটেডের পরিচালক শায়লিন জামান আকবর।
দুদক সূত্র জানায়, নয়জনের তথ্য জানতে নির্বাচন কমিশনে আলাদা আরেকটি চিঠি পাঠিয়েছে দুদক। নির্বাচন কমিশনের সচিব বরাবর পাঠানো ওই চিঠিতে নয়জনের জাতীয় পরিচয়পত্র-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সরবরাহ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। দুটি চিঠিতেই সই করেছেন দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
আরো পড়ুন: শিক্ষার্থীদের ওপর ভর করছে বিএনপি : ওবায়দুল কাদের
বাসস
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন করার মতো শক্তি, সাহস ও সক্ষমতা না থাকার জন্যই তারা কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রদের আন্দোলনের ওপর ভর করছে।
তিনি বলেন, ‘ তাদের (বিএনপি) এখন আর কোনো উপায় নেই। তাই তারা এখন কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করবে, ছাত্রদের আন্দোলনের ওপর ভর করবে। নিজেদের কিছু করার মতো শক্তি, সাহস ও সক্ষমতা তাদের নেই।’
ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ের নিজ কক্ষে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তীব্রতা কমে এসেছে। বিআরটিসি’র গাড়ী রাস্তায় চলছে। তারপরও রাস্তায় গাড়ি কম। পরিবহন মালিক ও নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। গাড়ির ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কায় তারা গাড়ি বের করছেন না।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এতে সাধারণ মানুষের সাফার (ভোগান্তি) হচ্ছে। মানুষের যাতে ভোগান্তি না হয় সে ব্যাপারে মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবি সম্পর্কে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, তাদের সব দাবি প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইনে রয়েছে। এ আইন হলে সড়ক দুর্ঘটনা যানজটের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
এ আইনে পথচারীদের জন্যও বিধান থাকবে।
তিনি বলেন, আমি আশা করি, আইনটি জনস্বার্থে ক্যাবিনেটে অনুমোদিত হবে এবং তারপর তা সংসদেও পাশ হবে।
আইনটির বাস্তবায়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রয়োগের জন্যই আইনটি প্রণয়ন করা হচ্ছে। প্রয়োগ না হলে আইন করে লাভ নেই।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আইন হলে বাস্তবায়ন করার লিগ্যাল বাইন্ডিং থাকে। আইনের দরকার রয়েছে। আইন সমস্যা সমাধানে শক্তি জোগায়।
ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা সম্পর্কে সেতুমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে আমাদের কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা মাঝে মাঝে আলোচনায় বসি। কারণ ইন্ডিয়ান লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় অনেকগুলো রোড প্রজেক্ট রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এলওসি’র আওতায় কুমিল্লার ময়নামতি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ও আখাউড়া এবং ভারতের আগরতলা পর্যন্ত ফোর লেন প্রকল্পের গ্রাউন্ড ব্রেকিং শুরু করতে যাচ্ছি। আগামী ২৯ আগস্ট থেকে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এ নিয়ে আমরা কথা বলেছি।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় হাইকমিশনার সে দেশে আগামী ৭ এবং ৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য গ্লোবাল সামিটের একটি চিঠি আমাকে দিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওই সামিটের উদ্বোধন করবেন।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের আসাম রাজ্যে নাগরিকত্বের নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি সম্পর্কে হাইকমিশনার বলেছেন যে, বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কাউকে এ মুহূর্তে ডিপোর্ট করা হবে না।
আরো পড়ুন : অন্যায় করলে কোনো আন্দোলনই বিচার থামাতে পারবে না : আইনমন্ত্রী
নয়া দিগন্ত অনলাইন
বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিমান বন্দর সড়কের ফুটপাতে বাস চাপায় নিহত হবার মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে।
টানা তৃতীয় দিনের মতো ঢাকা শহর জুড়ে ছাত্র বিক্ষোভ ব্যাপকতা লাভ করার প্রেক্ষাপটে তিনি এ কথা জানালেন।
সাধারণত সড়ক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত কোনো মামলা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে যাবার কথা নয়। কিন্তু এ নির্দিষ্ট মামলাটি কেন দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর কথা বলছেন আইনমন্ত্রী?
এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে একটি দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল আইন আছে। আমরা যে মামলাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি - সেটা মার্ডার কেস, রেপ কেস বা অন্যান্য যে কোন মামলা .... সেটাকে জনগুরুত্বপূর্ণ মনে করলে আমরা কিন্তু সেটাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে লিখে দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল বলে একটি আদালত আছে সে আদালতে পাঠিয়ে এটা দ্রুত বিচার করতে পারি।’
বিমানবন্দর সড়কের ফুটপাতে বাসচাপায় দুই স্কুলশিক্ষার্থী নিহত হবার প্রসঙ্গ টেনে আইনমন্ত্রী বলেন, যারা এ অন্যায় করেছে তাদের শাস্তি পাওয়া উচিত যাতে এরকম অন্যায় আর না হয়।
সে ক্ষেত্রে এ রকম মামলা দ্রুতবিচারে যাওয়া স্বাভাবিক বলে উল্লেখ করেন মি. হক।
যারা বেপরোয়া গাড়ি চালায় তাদের একটি বার্তা দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী।
চলমান ছাত্রআন্দোলনের সাথে দ্রুতবিচারের উদ্যোগ নেবার কোনো সম্পর্ক নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশে যখন সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের শাস্তির প্রসঙ্গ আসে তখন তারা রাস্তায় সংঘবদ্ধভাবে নেমে চাপ তৈরি করে। সে বিষয়টি কিভাবে সামাল দেয়া হবে?
এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অন্যায় করলে কোনো আন্দোলনই বিচার থামাতে পারবে না।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা