০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


২৬ ফুট লম্বা, সন্ধান মিলল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপের!

২৬ ফুট লম্বা, সন্ধান মিলল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপের! - ফাইল ছবি

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপ, ২৬ ফুট লম্বা, নিঃশ্বাসেই গিলে ফেলতে পারে আস্ত মানুষ। সাপটির সন্ধান মিলেছে আমাজনের জঙ্গলে। এ সাপটি এতটাই বড় যে এটি বড় প্রাণীকে সরাসরি গিলেই ফেলতে পারে। সাপটির ওজন গড় মানুষের থেকে তিনগুণ, প্রায় ২০০ কেজি। নাম নর্দার্ন গ্রিন অ্যানাকোন্ডা। বন্যপ্রাণী উপস্থাপক অধ্যাপক ফ্রিক ভঙ্ক এটি ব্রাজিলের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে খুঁজে পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

এই সবুজ অ্যানাকোন্ডার একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে এরইমধ্যে। গ্রিন অ্যানাকোন্ডার সম্পর্কিত একটি গবেষণা বৈজ্ঞানিক জার্নাল ডাইভারসিটিতে ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়েছিল। এরপরেই ৪০ বছর বয়সী ডাচ জীববিজ্ঞানী অধ্যাপক ভঙ্ককে বিশালাকার অ্যানাকোন্ডার সাথে ওই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন। এটি দেখলে ভয়ে আঁতকে উঠবেন। ওই ভিডিওটিতে অ্যানাকোন্ডার পাশে সাঁতার কাটতে দেখা গিয়েছিল ভঙ্ককে। ভিডিওটি শেয়ার করে তিনি বলেছেন, এটি ২৬ ফুট লম্বা এবং প্রায় ২০০ কেজি ওজনের। 'নয়টি দেশের আরো ১৪ জন বিজ্ঞানীর সাথে হাত মিলিয়ে আমরা বিশ্বের বৃহত্তম সাপের প্রজাতি সবুজ অ্যানাকোন্ডা আবিষ্কার করেছি।'

গাড়ির টায়ারের মতো মোটা
অধ্যাপক ভঙ্ক বলেন, 'আমরা নতুন প্রজাতির ল্যাটিন নাম দিয়েছি ইউনেক্টেস আকায়ামা, নর্দার্ন গ্রিন অ্যানাকোন্ডা।' আকায়ামা শব্দটি এসেছে উত্তর দক্ষিণ আমেরিকার বিভিন্ন আদিবাসী ভাষা থেকে। এর অর্থ মহান সাপ। প্রফেসর ভঙ্ক বলেন, 'আপনি ভিডিওটিতে দেখতে পাচ্ছেন আমার দেখা সবচেয়ে বড় অ্যানাকোন্ডা। এটি গাড়ির টায়ারের মতো মোটা ছিল। ২৬ ফুট লম্বা এবং ২০০ কেজিরও বেশি ওজনের, আমার মাথার আকারের মতো এর বিশাল মাথা।' এরপর তিনি সাপটির বসবাসকারী অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও ব্যাখ্যা করে বলেছিলেন, আমাজন অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তন এবং ক্রমাগত বন উজাড়ের কারণে তীব্র চাপের মধ্যে রয়েছে।

এই সাপ কিভাবে আলাদা
এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিচিত প্রজাতির সাপ ছিল জালিকার অজগর, এটি গড়ে ২০ ফুট ৫ ইঞ্চি লম্বা ছিল। এতদিন পর্যন্ত অ্যামাজনে সবুজ অ্যানাকোন্ডার একটি মাত্র প্রজাতি ছিল, যাকে বলা হয় দৈত্যাকার অ্যানাকোন্ডা। আমরা সিনেমা থেকে দৈত্যাকার সাপের গল্প জেনেছি, তারা আসলে দুটি ভিন্ন প্রজাতি। ভেনিজুয়েলা, সুরিনাম এবং ফ্রেঞ্চ গায়ানাসহ দক্ষিণ আমেরিকাএ সবুজ অ্যানাকোন্ডাগুলো সম্পূর্ণ আলাদা প্রজাতি বলে মনে হয়।

এ প্রসঙ্গে ভঙ্ক বলেছেন, প্রথমবার দেখে প্রায় একই রকম মনে হলেও তাদের মধ্যে জিনগত পার্থক্য ৫ দশমিক ৫ শতাংশ, যা অনেকটাই বেশি। কারণ একজন মানুষ এবং শিম্পাঞ্জির মধ্যে জিনগত পার্থক্য মাত্র ২ শতাংশ। সেখানে দাঁড়িয়ে এই দুই প্রজাতির ৫.৫ শতাংশ জিনগত পার্থক্য যথেষ্ট বেশি।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস


আরো সংবাদ



premium cement
৭২ ঘণ্টার কালবৈশাখী ঝড়ের সতর্কতা মুজিবনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত শায়েস্তাগঞ্জে স্বামীর ছুরিকাঘাতে আহত ফুলতারার মৃত্যু হালুয়াঘাটে বিএনপি ঘরানার আব্দুল হামিদ বিজয়ী সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ ৫ ঘণ্টা পর ঢাকার সাথে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক খাগড়াছড়িতে ৩ উপজেলার ফলাফল ঘোষণা, একটিতে স্থগিত সমুদ্র পথ থেকে হজ কাফেলা যেভাবে বিমান যাত্রায় বিবর্তন হলো নাসিরনগর উপজেলায় প্রথম নারী চেয়ারম্যান রোমা, সরাইলে শের আলম ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ না হলে মুসলিম বিশ্ব বসে থাকবে না : ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম ইউক্রেনের সহায়তায় ব্যবহারের জন্য চুক্তিতে পৌঁছেছে ইইউ আটক করা রুশ সম্পদ

সকল