১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ

ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ - ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় সংসদকে জনগণের আশা ও আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রবিন্দু উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা, আইনের শাসন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি শ্রেণি ও পেশা নির্বিশেষে সকলের মধ্যে একতা তৈরির জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন।

চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনের প্রথম কার্যদিবসে ভাষণ প্রদানকালে এ আহ্বান জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের পাশাপাশি বিরোধী দলগুলোকেও স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সহনশীলতা, মানবাধিকার এবং আইনের শাসন জোরদার করতে গঠনমূলক ভূমিকা নিতে হবে।

এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দলগুলোকে যথাযথ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।

আবদুল হামিদ বলেন, দেশ ও জাতির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সুশাসন, গণতন্ত্র এবং উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অক্ষুণ্ণ রেখে দেশ থেকে দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে সকলকে আরও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

‘আসুন আমরা সকল বিভেদ ভুলে ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে শোষণমুক্ত একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে লাখ লাখ শহীদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করি,’ বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি এ সময় অর্থনীতি, ব্যবসা ও বাণিজ্য, কৃষি, বিদ্যুৎ, বৈদেশিক সম্পর্ক, পর্যটন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী ও শিশু উন্নয়ন, পল্লী উন্নয়ন, প্রবাসী কল্যাণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, আইসিটি এবং জনপ্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের কৃতিত্বের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘আজ আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে। আমাদের শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে হবে। এ বছর আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করব। তবে আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়া।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার জনগণের পূর্ণ অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবে বলেও দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করেন আবদুল হামিদ।

সরকারি কর্মচারীদের জন্য ডোপ টেস্ট প্রবর্তনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাদকের অপব্যবহার, জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির প্রশংসা বিশ্বজুড়ে হয়েছে।

সরকার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের সময়কাল ১৬ মার্চ ২০২০ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে মুজিববর্ষ উদযাপনের জন্য গৃহীত কর্মসূচিগুলো যথাসময়ে শেষ করা যায়নি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে গৃহীত সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে, এই প্রচেষ্টা বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানতে ইতিবাচক একটি ভূমিকা পালন করবে।’

রাষ্ট্রপতির ভাষণের সময় অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement
চারদিক ঘন মেঘে আধার হয়ে ঝরল বৃষ্টি ঢাকামুখী চন্দনা কমিউটার ট্রেনের স্টপেজ দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম চীন অপপ্রচারের জন্য অ্যাপ ও গেম ব্যবহার করছে : অস্ট্রেলিয়ার সমীক্ষা মুন্সীগঞ্জ কারখানার ভেতরই নিরাপত্তাকর্মীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার হামাসের তীব্র প্রতিরোধ, ৪ ইসরাইলি সৈন্য নিহত নয়াপল্টনে যুবদলের বিক্ষোভ সমাবেশ আজ প্রবীণ বাম রাজনীতিক হায়দার আকবর খান রনোর পরলোকগমন গুজরাটের কাছে হেরে প্লে অফের রাস্তা কঠিন চেন্নাইয়ের এবার আকবরপুরের নাম বদলাবেন যোগী! চাঁদের কক্ষপথে পাকিস্তানের প্রথম চন্দ্র-স্যাটেলাইট, পাঠাল প্রথম ছবি উপজেলা নির্বাচন : সরকারদলীয় নিরঙ্কুশ ক্ষমতায়ন প্রক্রিয়া

সকল