আপনারা বঙ্গবন্ধুকে মারার পথ রচনা করে দিয়েছিলেন
- সংসদ প্রতিবেদক
- ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৭:০৫
জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে উদ্দেশ করে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ চৌধুরী বলেছেন, আপনারা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের কত লোককে গুলি করে মেরেছিলেন? বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। সেদিন যদি আপনারা এগুলো না করতেন বঙ্গবন্ধুকে মারার দুঃসাহস কেউ করত না। আপনারা মারার পথ রচনা করে দিয়েছিলেন।
ধর্ষকদের ক্রসফায়ার দাবি করে সংসদে কাজী ফিরোজ রশীদের দেয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে গত রোববার সংসদে সমালোচনা করেছিলেন ইনু। গতকাল সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের আলোচনায় অংশ নিয়ে এভাবেই ইনুর সেই পাল্টা বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন কাজী ফিরোজ রশীদ। এ সময় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া বৈঠকে সভাপতিত্ব করছিলেন।
কাজী ফিরোজ বলেন, সেদিন আবেগ তাড়িত হয়ে কথা বলেছিলাম। কিন্তু আমাদের এখান থেকেই একজন সংসদ সদস্য এটার বিরাট ফিরিস্তি দিলেন যে, এটা মহাপাপ। আমরা এখানে আলোচনা করতে পারি না।
তিনি বলেন, আমার বন্ধু ইনু সাহেব এখানে কথা বলেছেন। আমি তাকে পাল্টা প্রশ্ন করি আপনারা কত লোক মেরেছিলেন গুলি করে? আওয়ামী লীগের, ছাত্রলীগের? হাজার হাজার কর্মীকে মেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। থানা, ফাঁড়ি লুট করেছিলেন। সেদিন যদি আপনার এগুলো না করতেন বঙ্গবন্ধুকে মারার দুঃসাহস কেউ করত না। আপনারা মারার পথ রচনা করে দিয়েছিলেন। আমি একটা কথা বলেছিÑ সেটা আমার অশুদ্ধ হয়ে গেছে। ওনি গুলির বিরুদ্ধে কথা বললেন। ওনারা যে কথা বলেন, কান্না কাটি করেন ওনাদের ভাষা বুঝি।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, সারা দেশে শিশু-নারী-প্রতিবন্ধী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। বাসযাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হচ্ছে। নিষ্পাপ শিশুদের ধর্ষণ করে হত্যা করা হচ্ছে। প্রতি মাসে ৮৪ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। গত বছর পাঁচ হাজার ৪০০ নারী ও ৮০০ শিশু ধর্ষণের শিকার। এর মধ্যে মারা গেছে দুই হাজার ৮০০ জন। আমি কি চাই? সব ধর্ষণকারী যারা আছে, তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে একটা কঠোর আইন করতে হবে। দুঃখ লাগে কিছু মানবাধিকার কর্মী বাইরে বলেছেন কেন সংসদে গুলির কথা বললাম। এ নিয়ে অনেক বাহাস করেছেন, আমি ওইভাবে মিন করিনি। কিন্তু তারপর বলছি কঠোর শাস্তি হোক।
জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন, যেদিন নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলকে হত্যা করল সেদিন কেউ একটা কথা বলেন নাই। সে তো শিশু ছিল, রাসেল সে তো রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল না, সেদিন কিন্তু মানবাধিকার কর্মীরা কোনো কথা বলেনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা