১৫ মে ২০২৪, ০১ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫
`


খুব শিগগিরই আপীল বিভাগে বিচারক নিয়োগ : সংসদে আইনমন্ত্রী

-

সংবিধান অনুযায়ী দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগের অধিকার একমাত্র রাষ্ট্রপতির। তবে আমি যতদুর জানি, রাষ্ট্রপতি এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছেন। আশা করি, খুব শিগগিরই রাষ্ট্রপতি আপীল বিভাগে কিছু সংখ্যক বিজ্ঞ বিচারক নিয়োগ করবেন বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মাহবুব আলীর সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
এ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতির প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, সারাদেশের জেলা আদালতের পিপি, জিপি, অতিরিক্ত পিপি ও সহকারি পিপিদের জন্য নতুন সম্মানি স্ট্রাকচার তৈরি করা হচ্ছে। এতে বড় বড় জেলার পিপিরা সর্বোচ্চ মাসে ৪৫ হাজার টাকা বেতন পাবেন। কারোর বেতনই ২৫ হাজার টাকার নীচে হবে না। খুব শীঘ্রই এই প্রস্তাবটি অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে।
পিপিদের সমানী ৪৫ হাজার
বিভিন্ন জেলা আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটারদের (পিপি) সম্মানীভাতা বাড়ানো বিষয়ক উম্ম কুলসুম স্মৃতির এক সম্পূশ্নের জবাবে আইন মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন জেলা আদালতে পিপি, জিপি ও এপিপিদের সম্মানীভাতা খুবই কম। তবে তাদের সম্মানীভাতা বাড়ানোর জন্য আমরা একটা স্ট্রাকচার তৈরি করেছি। এর জন্য বড় জেলা- ছোট জেলা ভিত্তিক ক্যাটাগরিক্যালী স্ট্রাকচার তৈরি করা হচ্ছে। বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ জেলার আদালতের পিপিদের সম্মানীভাতা ৪৫ হাজার এবং সর্ব নিম্ম সম্মানীভাতা যাতে ২৫ হাজারের কম না হয় সে বিষয়ে আমি ইতিমধ্যে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে প্রস্তাবণার বিষয়ে জানিয়েছি। এ ধরনের একটা স্ট্রাকচার দ্রত তৈরি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হবে।
দেশে আইনের সংখ্যা ১১২৯ টি
সংরক্ষিত মহিলা আসন ৪৩ এর সংসদ সদস্য বেগম উম্মে রাজিয়া কাজলের এক প্রশ্নের জবাবে আইন মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে ১ হাজার ১২৯টি আইন প্রচলিত রয়েছে। (২০১৮ সালের ৩০ পর্যন্ত)।
বেগম সানজিদা খানমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশে চলতি বছরের ৩১ মার্চের হিসেব অনুযায়ী বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৩ লাখ ৯৫ হাজার ৬৪৯ টি। যার মধ্যে দেওয়ানী মামলার সংখ্যা ১৩ লাখ ৯০ হাজার ২০৯টি এবং ফৌজদারী মামলার সংখ্যা ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৫২৭টিম, অন্যান্য মামলা ( কনটেম্পট পিটিশন /রীট/আদিমসহ) মামলার সংখ্যা ৮৬ হাজার ৯১৩ টি। তিনি জানান সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৫ লাখ ৩ হাজার ৫১২ টি। এর মধ্যে আপিল বিভাগে ১৮ হাজার ২৪৬ টি এবং হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৫ হাজার ২৬৬ টি। অধস্তন আদালতে মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ২৮ লাখ ৯২ হাজার ১৩৭ টি। তিনি জানান, ৫-১০ বছরের অধিক সময়ের মামলাগুলো দ্রুত নিম্পত্তির লক্ষ্যে প্রতিটি জেলায় কেস ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন সহ সুপারিশমালা গ্রহণ করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজীর এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক জানান, বিগত বছর সমূহে ২৫০ জনের অধিক সিনিয়র জজ, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট, সমপর্যায়ের বিচারকদের যুগ্ম জেলা জজ বা সমপর্যায়ের পদে পদোন্নতি প্রদান করার পদগুলো শুন্য হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে ২০১৫ সালে দশম জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায়- সাময়িকভাবে মনোনীত ২০৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৯৮ জনকে সহকারী জজ পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২০১৭ সালে ১১তম জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা সহকারী জজ পদে সুপারিশকৃত সাময়িকভাবে মনোনীত ১৪৩ জন প্রার্থীর স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্যঅধিদপ্তরকে অনুরোধ জানান হয়েছে। এছাড়া গত ২৯ জুন ১২তম জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা প্রিলিমিনারী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এসব প্রার্থীদের নিয়োগ সম্পন্ন হলে জুডিশিয়াল/ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেটের উক্ত শুন্যপদ পূরণ করা সম্ভব হবে।
নতুন সন্ত্রাস-সাইবার ট্রাইব্যুনাল
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর প্রশ্নের জবাবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করতে সরকার আরও ৫টি সন্ত্রাস বিরোধী ট্রাইব্যুনাল, ৭টি সাইবার ট্রাইব্যুনাল ও ৮টি মানি লন্ডারিং ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হচ্ছে। এসব ট্রাইব্যুনালের পদ সৃজনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উক্ত আদালগুলো সৃজিত হলে এবং সহায়ক কর্মচারী নিয়োগ হলে মামলা নিষ্পত্তি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। তিনি জানান, বর্তমানে দেশের আদালতসমূহে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৩৩ লাখ ৯৫ হাজার ৬৪৯টি। যার মধ্যে দেওয়ানি মামলার সংখ্যা ১৩ লাখ ৯০ হাজার ২০৯টি ও ফৌজদারী মামলার সংখ্যা ১৯ লাখ ১৮ হাজার ৫২৭টি। অন্যান্য মামলার সংখ্যা ৮৬ হাজার ৯১৩টি। এছাড়া বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৫ লাখ ৩ হাজার ৫১২টি। এর মধ্যে আপীল বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ১২ হাজার ২৪৬টি এবং হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৫ হাজার ২৬৬টি। অধস্তন আদালতে মোট বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ২৮ লাখ ৯২ হাজার ১৩৭টি।
আইন মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার বিচারপ্রার্থী জনগণের ভোগান্তি লাঘবের জন্য একটি আধুনিক বিচার বিভাগ ও বিচার ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, বিচার বিভাগ আধুনিকায়ন ও গতিশীল করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার যেসকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা বাস্তবায়িত হলে সারাদেশে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা একটি সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে এবং মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কার্যকর ও দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধিত হবে।
জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারির অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, সরকার অবগত আছে যে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মামলা জট কমানোর জন্য ট্রাক এলোকেশন সিস্টেম চালু আছে। এই ট্রাক এলোকেশন সিস্টেমে মামলাগুলোকে স্মল ট্র্যাক, পাস্ট ট্র্যাক বা মাল্টি ট্র্যাকে ভাগ করা হয়ে থাকে। সাধারণত মামলার আর্থিক মূল্যমান এবং মামলার গুরুত্ব ও জটিলতা বিবেচনায় ট্যাক এলোকেশন করা হয়ে থাকে।


আরো সংবাদ



premium cement
‘অস্ত্র তাক করলে মনে হতো মায়ের কাছে ফেরা হবে না’ জর্জিয়ার‘বিদেশী প্রভাব' আইন নিয়ে ভলকার তুর্কের গভীর দুঃখ প্রকাশ সাকিব- মাহমুদউল্লাহকে বিশেষ উপহার দিতে চান শান্ত, আছে চাওয়াও চার শ’ অনেক দূর, বিজেপির হাত থেকে কি সংখ্যাগরিষ্ঠতাও ফসকে যাচ্ছে? নোয়াখালীতে আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রস্তুতি নিয়ে তৃপ্ত কোচ-অধিনায়ক, ছাপিয়ে যেতে চান আগের সব আসরকে পেছনে নয়, আমরা সামনে তাকাতে চাই : ডোনাল্ড লু বগুড়ায় আ’লীগ নেতা খুনের আসামি খুন মিরসরাইয়ে কবর খুঁড়তে গিয়ে গ্রেনেড সাদৃশ্য বস্তুর উদ্ধার জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একসাথে কাজ করবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র : পরিবেশমন্ত্রী ফের ৫২ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি

সকল