নোয়াখালীতে আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ
- ১৫ মে ২০২৪, ১৮:২৯
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে মাদরাসা ছাত্রীকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় শিক্ষককে মারধর ও পিটিয়ে দুই হাত ভেঙ্গে দেয়ার ১০ দিন পরও আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ও আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঘটনার সাথে জড়িত রাজু ও নোমানকে গ্রেফতারের দাবি জানায় তারা।
বুধবার নোয়াখালী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুর উদ্দিন মো: জাহাঙ্গির বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। আমার কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি।’
জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার গভর্নিং বডির সদস্য শেখ আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমি ঢাকায় থাকি। বিষয়টি শুনেছি।’
এ ঘটনায় তিনি প্রশাসনের সাথে কোনো যোগযোগ করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘না, তবে মাদরাসার সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।’
গত শনিবার মুছাপুর ক্লুজার সড়কে মানববন্ধন করেন মাদরাসা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল মাহামুদ বলেন, ‘আসামিদের গ্রেফতারের ব্যাপারে প্রশাসনের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে, তাদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা নেবে।’
গত ৫ মে (সোমবার) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জামেয়া শরাফতিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার ক্যাম্পাসে ঢোকেন মুছাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জহিরুল হকের ছেলে মো: রাজু (২৪) ও তার সহযোগী নোমান। পরে সে ষষ্ঠ শ্রেণীর কক্ষে ঢুকে এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করেন। ওই সময় ছাত্রী তার ভয়ে শ্রেণিকক্ষের বেঞ্চের নিচে লুকিয়ে যায়। এরপর ইভটিজিংয়ের শিকার ছাত্রীর অন্য সহপাঠীরা বাধা দিলেও রাজু তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। খবর পেয়ে মাদরাসার নূরানী বিভাগের শিক্ষক কারী মো: সোহেল গেলে রাজু ও তার সহযোগীরা মাদরাসার ভেতরে ওই শিক্ষককে মারধর করেন। তাৎক্ষণিক একই মাদরাসার শিক্ষক হাসান এগিয়ে গিয়ে সহকর্মী শিক্ষকের ওপর হামলা ও ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করেন। পরে এ ঘটনায় মুছাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মো: রাশেদ অভিযুক্ত কিশোর গ্যাংয়ের নেতা রাজু থেকে এ ধরনের কাজ আর করবে না মর্মে মুছলেকা নিয়ে ঘটনা মিটমাট করে দেন।
এদিকে একই দিন বিকেল ৫টায় ওই বিরোধের জের ধরে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে কিশোর গ্যাংয়ের নেতা রাজু ও নোমানের নেতৃত্বে সাত থেকে আটজন শিক্ষক হাসানের গতিরোধ করে। পরে তারা হাসানের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটায়। একপর্যায়ে তার দুই হাত ভেঙ্গে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় শিক্ষক হাসানকে জেলা শহর মাইজদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মাদরাসার পক্ষে অধ্যক্ষ একটি এবং আহত মো: হাসানের পক্ষে তার শ্বশুর সাহাব উদ্দিন কোম্পাানীগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, ‘ছেলেগুলো এলাকায় নেই। আমি আশা করছি, অতি অল্প সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা