০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


অস্ত্র বনাম গণমাধ্যমের যুদ্ধ : প্রেক্ষিত গাজা

অস্ত্র বনাম গণমাধ্যমের যুদ্ধ : প্রেক্ষিত গাজা - ফাইল ছবি

নববর্ষের প্রাক্কালে রাফার শরণার্থী শিবিরে ১১ বছরের ছোট্ট ফিলিস্তিনি মেয়ে লায়ান হারারাকে প্রশ্ন করা হয়, নতুন বছরে তুমি কি উইশ করতে চাও? হারারার সংক্ষিপ্ত উত্তর ছিল, মরে না যাওয়া। (রয়টার্স, জানুয়ারি ১, ২০২৪) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদকে দেয়া এক বক্তব্যে জানিয়েছেন, গাজায় প্রতি দশ মিনিটে একজন করে ফিলিস্তিনি শিশু ইসরাইলি হামলায় নিহত হচ্ছে। আকাশ থেকে মূর্তিমান বিভীষিকার মতো মুহুর্মুহু নেমে আসা ঝাঁক ঝাঁক বোমা আর মিসাইল বৃষ্টি, ঠাণ্ডা, ক্ষুধা আর মহামারীর মধ্যে খোলা আকাশের নিচে অথবা তাঁবুতে কাটছে যাদের জীবন, নতুন বছরে সেসব শিশুর আর কিই বা চাওয়ার থাকতে পারে, বেঁচে থাকার আকুতি ছাড়া?

গত তিন মাস ধরে গাজার ওপর নির্বিচারে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। পাশাপাশি অত্যাধুনিক ট্যাংকবহর নিয়ে গাজায় আক্রমণ চলছে। ৩৬৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের গাজায় গত ৮৯ দিনে ইসরাইল ৬৫ হাজার মেট্রিক টন বোমা ফেলেছে। গাজার প্রায় ৭০ শতাংশ বাড়িঘর, হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির ধুলোয় মিশে গেছে। মারা পড়েছে ২২,৭২২ জন অসামরিক নাগরিক। আহত হয়েছে ৫৮,১৬৬, নিখোঁজ রয়েছে আরো ৭ হাজার। মৃতদের মধ্যে রয়েছে প্রায় ১০ হাজার শিশু এবং প্রায় সাত হাজার মহিলা। বাস্তুহারা হয়েছে প্রায় বিশ লক্ষ মানুষ। সাধারণ জনগণ ছাড়াও নিহত হয়েছে ৩২৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং ১৪২ জন জাতিসঙ্ঘকর্মী। (আল জাজিরা, জানুয়ারি ৬, ২০২৪)। প্রতিদিন বাড়ছেই মৃত্যুর মিছিল। গত দু’বছর ধরে চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে মোট নিহত অসামরিক লোকের সংখ্যা যেখানে ১০,০০০; অর্থাৎ গড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ১৪ জনেরও কম- সেখানে গাজায় প্রতিদিন গড়ে মারা যাচ্ছে ২৫০ জনেরও বেশি। (বিবিসি নিউজ, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩)। কাজেই, গাজায় চলমান সঙ্ঘাতকে যুদ্ধ না বলে গণহত্যা বা জাতিগত নিধন বলাটাই সমীচীন।

উল্লেখ্য, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজার চলমান যুদ্ধকে হিব্রু বাইবেলে বর্ণিত আমালেকের যুদ্ধের সাথে তুলনা করেছেন, যেখানে ঈশ্বর ইয়াহুদি রাজা সাউলকে আমালেক সম্প্রদায়ের প্রতিটি জীবন্ত অস্তিত্বকে শেষ করে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। (টাইম ম্যাগাজিন, ডিসেম্বর ২২, ২০২৩)। সেখানে ঈশ্বর বলছেন, যাও, আমালেকদের আক্রমণ করো এবং ওদের যা কিছু আছে সব ধ্বংস করে দাও। (স্যামুয়েল-১, অধ্যায় ১৫, পঙ্ক্তি ৩)। এর মাধ্যমে নেতানিয়াহু তার সেনাদলকে সরাসরি গণহত্যায় উৎসাহিত করেছেন।

তবে নির্মম গণহত্যা চালিয়ে নেতানিয়াহু গাজার চলমান লড়াইয়ে জিতে গেলেও বৃহত্তর যুদ্ধে তিনি কিন্তু প্রতিদিনই একটু একটু করে হেরে যাচ্ছেন। ইসরাইল যখন নিরীহ গাজাবাসীর ওপর বিরামহীন আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, বিশ্বের গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো তখন তীব্র আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিবেকের বিরুদ্ধে। অস্ত্র বনাম গণমাধ্যমের এই যুদ্ধকে বলা চলে হার্ড পাওয়ারের বিরুদ্ধে সফট পাওয়ারের যুদ্ধ, পেশিশক্তির বিরুদ্ধে মেধাশক্তির যুদ্ধ। এ যাবৎ জয় পরাজয়ের প্রতিটি সূচকই বলছে, হেরে যাচ্ছে নেতানিয়াহুর পেশিশক্তি। কারণ, ইসরাইলি বাহিনী লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণে ভুল করেছে। তারা যতই ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, ততই শক্তিশালী হচ্ছে প্রতিপক্ষের ভরকেন্দ্র।

সমরবিজ্ঞানে সেন্টার অব গ্র্যাভিটি বা ভরকেন্দ্র শব্দটি বেশ সুপরিচিত। যুদ্ধে বিবদমান পক্ষগুলোর ভরকেন্দ্র বলতে সেই বিশেষ উৎসকে বোঝানো হয় যেখান থেকে তারা তাদের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার শক্তি, সাহস, সরঞ্জাম এবং প্রেরণা সংগ্রহ করে থাকে। ধরা যাক ইসরাইলের কথা। যদি প্রশ্ন করা হয়, ইসরাইলের সামরিক শক্তি, সাহস, সরঞ্জাম বা প্রেরণার উৎস কী? যে কোনো সাধারণ জ্ঞানের একজন মানুষও সাথে সাথেই বলে উঠবেন, পাশ্চাত্যের, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৈতিক, সামরিক এবং আর্থিক সমর্থন।

কোনো বস্তুর ভরকেন্দ্রে আঘাত করলে যেমন সেটা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে, তেমনি যুদ্ধেও বিবদমান পক্ষগুলোর লক্ষ্যই থাকে প্রতিপক্ষের ভরকেন্দ্রে আঘাত করে তাকে ভারসাম্যহীন করে ফেলা। ইসরাইলি বাহিনী যখন গাজার ওই ছোট্ট ভূখণ্ডের ওপর নির্দয়ভাবে হার্ড পাওয়ার প্রয়োগ করে যাচ্ছে, ফিলিস্তিন সমর্থক বিচক্ষণ গণমাধ্যমগুলো তখন তাদের সফট পাওয়ার প্রয়োগ করে যাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। বিশ্বের মানুষের ড্রয়িং রুমে যুদ্ধটাকে ছড়িয়ে দিয়েছে এই গণমাধ্যমগুলো। বিলিয়ন বিলিয়ন দর্শক প্রতিদিন টিভির পর্দায় অথবা মোবাইল স্ক্রিনে দেখছে কিভাবে তাদের প্রশাসন ইসরাইলের মতো একটা দানবীয় শক্তিকে পালন পোষণ করছে। দেখছে কিভাবে তাদের ট্যাক্সের অর্থ খরচ করা হচ্ছে ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যায়।

গণমাধ্যমের সাহসী ভূমিকা ফল দিতে শুরু করেছে। গত নভেম্বরের ৫ তারিখে দ্য ইকোনমিস্ট পত্রিকা গাজা যুদ্ধ নিয়ে বৈশ্বিক জনমতের একটা তুলনামূলক জরিপের ফলাফল পোস্ট করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ। তাতে দেখা যায়, গাজা যুদ্ধের প্রাক্কালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ফিলিস্তিন এবং ইসরাইলের সমর্থকের সংখ্যা ছিল প্রায় একই রকম, ২৫ শতাংশের খানিকটা উপরে। দু’ সপ্তাহের ব্যবধানে ফিলিস্তিন সমর্থকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ গুণ।

গণমাধ্যমগুলোর নিরবচ্ছিন্ন কাভারেজের কারণে আজ বিশ্বের মানুষ প্রকৃত সত্যটা জানতে পারছে। বিশ্বব্যাপী সচেতন মানুষগুলো বিক্ষুব্ধ হচ্ছে, পথে নামছে, প্রতিবাদ জানাচ্ছে। দিন দিন বিক্ষোভের সংখ্যা, পরিধি এবং আকার বেড়েই চলেছে। ইউনিভার্সিটি অব কানেকটিকাট এবং হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের নন-ভায়োলেন্ট অ্যাকশন ভাইব এর যৌথ উদ্যোগে ক্রাউড-কাউন্টিং কনসোর্টিয়াম একটি জরিপ চালিয়ে দেখেছে, ৭ অক্টোবর থেকে ২৬ নভেম্বরের মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের ৪৯টি অঙ্গরাজ্যের ৪৬৮টি ছোট-বড় শহরে ফিলিস্তিনপন্থী সমর্থকদের প্রায় ২০০০ মিছিল, বিক্ষোভ এবং সমাবেশ হয়েছে। (আল জাজিরা, ইনসাইড স্টোরি, জানুয়ারি ৩, ২০২৪)।

যুক্তরাষ্ট্রের যুবসমাজও দেখছে কিভাবে তাদের সরকার একদিকে তাদের ওপর একের পর এক ব্যয়সঙ্কোচন নীতি চাপিয়ে দিচ্ছে, অন্যদিকে তাদের দেশেই তৈরি এফ-৩৫ ফাইটার জেট দিয়ে ইসরাইল গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। তারা এটাকে দেখছে প্রশাসনের বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে। তাই তারা বিক্ষোভে ফেটে পড়ছে।

কোথায় না হচ্ছে বিক্ষোভ? বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে স্পেন, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ডস এবং মরক্কোতে। স্পেনের ৩৮টি শহরে গত ১৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় এবং হাইস্কুলের ছাত্ররা বিক্ষোভ করেছে। পুরো এশিয়াজুড়ে ২০২৬ এর বিশ্বকাপ ফুটবলের নির্বাচনী ম্যাচগুলোর গ্যালারিতেও ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে দর্শকরা (আলজাজিরা)। আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনের রাজপথে মিছিল করেছে হাজার হাজার মানুষ। ফ্রান্সের শহরে শহরে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে ‘আমরা সবাই ফিলিস্তিনি’ লিখা হাজার হাজার ব্যানার নিয়ে পথে নেমেছে মানুষ। পুলিশি বাধা, গ্রেফতার-নির্যাতনের পরোয়া না করে হাজার হাজার ফিলিস্তিন সমর্থক সমবেত হয়েছে জার্মানির বড় বড় শহরগুলোতে। ইতালির পথে পথে বিক্ষোভকারীদের হাতে শোভা পাচ্ছে ফিলিস্তিন-সমর্থিত ব্যানার, ‘পালেস্টাইন, রোম আছে তোমাদের সাথে’। কসোভো, অস্ট্রেলিয়া, লেবানন, জর্ডান, মিসর, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভেনিজুয়েলা, সাউথ আফ্রিকা- সবখানে ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ। (ভয়েস অব আমেরিকা, অক্টোবর ২১, ২০২৩)।

দুঃখের ব্যাপার, পাশ্চাত্যের মূল ধারার গণমাধ্যম ইসরাইলি বর্বরতার পক্ষেই সাফাই গেয়ে যাচ্ছে। তাই পাশ্চাত্যের যুবসমাজ সত্য জানতে অনেক বেশি আস্থায় নিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে। প্রশাসনের চাপে যখন মূল ধারার গণমাধ্যম প্রকৃত সত্য আড়াল করছে, যুবসমাজ তখন ঝুঁকছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দিকে, সেখানে তারা সরাসরি ঘটনাস্থল থেকে ফিলিস্তিনি বন্ধুদের শেয়ার করা ছবি এবং ভিডিও দেখে গণহত্যার ভয়াবহতা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাচ্ছে। (আলজাজিরা, ইনসাইড স্টোরি, জানুয়ারি ৩, ২০২৪)।

তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের উন্মুক্ত ব্যবহারের ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের স্বত্বাধিকারী এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেটা স্পষ্টতই ইসরাইলের পক্ষ নিয়েছে। বিশ্বের ৬০টি দেশের ১,০৫০টি ঘটনা পর্যালোচনা করে সম্প্রতি হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একটি ৫১ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে মেটার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট পক্ষপাতিত্বের তথ্যভিত্তিক অভিযোগ তোলা হয়। প্রতিবেদনে প্রকাশ, মেটার নিয়ন্ত্রণাধীন দু’টি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক, ফিলিস্তিনের সমর্থনে করা পোস্টগুলো অন্যায়ভাবে সেন্সর করছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই বেআইনি সেন্সরশিপের ছয়টি ধরন শনাক্ত করেছে- পোস্ট সরিয়ে ফেলা, অ্যাকাউন্ট সাময়িক অথবা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া, বিষয়বস্তুর সাথে যুক্ত হওয়ার সুযোগ কমিয়ে দেয়া, অ্যাকাউন্ট থেকে ফলো বা ট্যাগ করার সুযোগ বন্ধ করে দেয়া, লাইভ কন্টেন্ট আপলোডের সুযোগ সীমিত করে ফেলা এবং নিদেনপক্ষে শ্যাডো-ব্যানিং নামক একটি পদ্ধতি প্রয়োগ করা যার মাধ্যমে একটি পোস্টের দৃশ্যমান হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা যায়। (হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩)।

কেউ কেউ বলেছেন, তাদের পোস্টে শুধু ‘প্যালেস্টাইন’ শব্দটার উল্লেখ থাকার কারণেই ইনস্ট্যাগ্রাম ‘কমিউনিটি গাইডলাইন’ ভঙ্গের অজুহাতে সেসব সরিয়ে ফেলছে। কেউ কেউ তো আরো ভয়াবহ অভিযোগ তুলেছেন। ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে স্টোরি করার দায়ে তাদের ইনস্ট্যাগ্রাম বায়োগ্রাফির পাশে ‘টেরোরিস্ট’ শব্দটি জুড়ে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বিবিসি থেকে অনুসন্ধান করা হলে মেটা দুঃখ প্রকাশ করে বলে ‘আরবি শব্দের ভুল অনুবাদের’ কারণে এমনটি হয়েছে। (আল জাজিরা, ফিচারস, অক্টোবর ২৪, ২০২৩)। অজুহাতটি একেবারেই ঠুনকো, অগ্রহণযোগ্য।

তবে প্রতিবাদী বিশ্বতারুণ্যও থেমে নেই। তারাও রাতারাতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ফাঁকি দেয়ার পথ বের করে নিয়েছে। সৃজনশীল তারুণ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বুদ্ধির সীমাবদ্ধতা বুঝে ফেলেছে। কয়েকটি খুব সহজ কৌশল খাটিয়ে তারা বোকা বানাচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে। যেমন যেকোনো শব্দকে ডট, স্ল্যাশ, স্টার কিংবা অন্য যেকোনো মানানসই চিহ্ন দিয়ে ভেঙে ভেঙে লিখা; অথবা স্পর্শকাতর শব্দগুলোর বানানে ইংরেজি অক্ষরগুলোকে প্রাচীন ল্যাটিন অক্ষর দিয়ে প্রতিস্থাপন করা। এটা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ধরতে পারে না, অথচ যেকোনো মানুষ পড়ে বুঝতে পারে। ৩১ বছর বয়েসী মিসরীয় যুবক মোহাম্মদ দারবিশ তো একটা ওয়েবসাইটই খুলে বসেছে যেখানে ইংরেজি অথব আরবিতে যা কিছুই টাইপ করা হোক সেটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাছে দুর্বোধ্য অথচ মানুষের কাছে সহজবোধ্য অক্ষরে টাইপ হতে থাকবে। (আলজাজিরা, ফিচারস, অক্টোবর ২৪, ২০২৩)। সন্দেহ নেই, হেরে যাচ্ছে পেশিশক্তি, জয় হচ্ছে মুক্তবুদ্ধির। ফুঁসে উঠছে বিশ্বব্যাপী সাধারণ জনগণ। পাশ্চাত্যের সরকারগুলো পড়ছে সাংঘাতিক চাপের মুখে। এগিয়ে আসছে মার্কিন নির্বাচন। ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রশাসন দেশজুড়ে ফুঁসে উঠতে থাকা জনরোষ উপেক্ষা করতে পারবে?

লেখক: আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, শান্তি এবং সঙ্ঘাত বিশ্লেষক
Email: yusuf.researcher.68@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement