২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিজ্ঞানের কিছু অভিনব আবিষ্কার

- ছবি : সংগৃহীত

আধুনিক প্রযুক্তি বিশ্ব জয় করেছে। প্রযুক্তির অবদানে বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। প্রযুক্তি যেমন মানুষকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিয়েছে তেমনি কঠিন কাজগুলো সহজ করে দিয়েছে। তা ছাড়া প্রযুক্তির আকাশ ছোঁয়া সাফল্যের বিপরীতে রয়েছে সভ্যতা ধ্বংসের হাতছানি। তবে এর কুফল মানুষের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ জন্য আমাদের সচেতন হতে হবে। কারণ মানুষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে পারে আবার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে এগিয়ে চলেছে আধুনিক মানুষ। প্রযুক্তি বিজ্ঞানের আবিষ্কার। প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার নির্ভর করে এর পরিচালকের ওপর। মানুষের সব উদ্ভাবনই ভালো ও মন্দ উভয় কাজে ব্যবহার করা যায়।

প্রযুক্তি মানুষের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা বিশেষ নেয়ামত জ্ঞানে এসব আবিষ্কার মানুষের জন্য হারাম বা অভিশাপ নয়। বিজ্ঞানের যত আবিষ্কার তা ব্যবহার করা হারাম বলে তা থেকে পিছিয়ে থাকার কোনো সুযোগ নেই। যুগে যুগে নবী ও রাসূলগণ তাদের যুগে সেরা প্রযুক্তির ব্যবহার করেছেন। তাদের দাওয়াতি কাজ থেকে শুরু করে সব কাজে পারদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন। কাজেই প্রযুক্তি ইসলাম ও মুসলমানসহ সমগ্র মানবজাতির জন্য কল্যাণকর।

আগামীতে আরো চমকপ্রদ প্রযুক্তি আসছে আমাদের সামনে, যা হয়তো জীবন সম্পর্কে ধারণা বদলে দেবে। তবে এখন বিজ্ঞানের অভিনব কিছু আবিষ্কার সম্পর্কে এখানে তুলে ধরব।

বিশ্বজুড়ে ‘ওয়াইফাই’ : গ্রামে বেড়াতে গেলে ইন্টারনেট নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় আমাদের প্রায় সবার। এখনো এশিয়া, আফ্রিকা, এমনকি ইউরোপের ৫০ শতাংশ প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছায়নি। কিন্তু শিগগিরই এ সমস্যা থাকবে না। ভার্র্জিন গ্রæপের পক্ষ থেকে ‘ওয়ান ওয়েব’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান কাজ করে চলেছে। তারা ১০ বছরের মধ্যে সমগ্র পৃথিবী ‘ওয়াইফাই’-এর আওতায় নিয়ে আসবে। ২০১৮ সালেই ১০টি স্যাটেলাইট নিক্ষেপ করছে তারা, ২০২৭ সালের মধ্যে পৃথিবী ঘিরে রাখবে ‘ওয়ান ওয়েব’-এর ৯০০ স্যাটেলাইট। পৃথিবীর সব প্রান্তে মরুভ‚মি সাগর, পাহাড়ের চূড়ায়, গিরিখাতে পৌঁছে যাবে ‘ওয়াই ফাই’, ইন্টারনেট নিয়ে আর কখনো কাউকে সমস্যায় পড়তে হবে না কোথাও।

ক্যান্সার শনাক্ত করবে গুগল : গুগল এক্স ল্যাবরেটরিতে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা অগ্রগতির জন্য কাজ করে চলেছেন বহু দিন ধরেই। ন্যানো-টেকনোলজি ও মেডিসিনে চমৎকার সব আবিষ্কার করেছে গুগলের রিসার্চ ল্যাব। তালিকার নতুন সংযোজন ক্যান্সার শনাক্তকারী পিল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে তা নিরাময়ের সম্ভাবনা থাকে বেশি। শনাক্ত করতে যত দেরি হয় তত মৃত্যুঝুঁকি বাড়তে থাকে। তাই গুগলের এই পিল ক্যান্সার প্রতিরোধে অসাধারণ ভ‚মিকা পালন করবে বলে সবার প্রত্যাশা।

মাথা প্রতিস্থাপন : বিগত চার দশক ধরে পৃথিবীজুড়ে সেরা বিজ্ঞানী-গবেষক-ডাক্তাররা নিরলস সাধনা করে চলেছেন প্যারালাইসিসের নিরাময় আবিষ্কার করার জন্য। প্যারালাইসিসের মুখ্য কারণ মেরুদণ্ডের মাঝের স্পাইনাল কর্ডে (মেরুরজ্জু) আঘাত পাওয়া। তাই স্পাইনাল কর্ড কিভাবে কাজ করে, সেটিকে কিভাবে আরো সুরক্ষিত করা যায় কিংবা আহত কর্ড সারিয়ে তোলা যায় সেটি অনেক দিন ধরেই গবেষকদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি ডক্টর ক্যানাভেরোর একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার করেছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানের এ ক্ষেত্রটিতে। তিনি স্পাইনাল কর্ড কেটে, মেরামত করে চুম্বক আবেশের সাহায্যে জোড়া দেয়ার পরিকল্পনা করেছেন। এ জন্য একটি অস্ত্রোপচারেই খরচ পড়বে দেড় কোটি ডলারের বেশি (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৩০ কোটি টাকা)! তিনি এরই মধ্যে চীনে মৃতদেহের ওপর এ অস্ত্রোপচার করে সফল হয়েছেন, এখন জ্যান্ত মানুষের ওপর পরীক্ষা করে দেখার বাকি! অনেকের মতে, তার এই আবিষ্কার প্রকৃতির শৃঙ্খলা ধ্বংস করে ফেলবে, ডেকে আনবে বিপর্যয়। কারণ অসম্ভব বিত্তবান যেই মানুষগুলো আছেন, তারা ইচ্ছামতো শরীর বদলে ফেলতে পারবেন। কল্পনা করে দেখো, বৃদ্ধ বয়সে বুড়িয়ে যাওয়া শরীর থেকে মাথাটা আলাদা করে আরেকটি তরুণ শরীরে বসিয়ে যুগ যুগ ধরে বেঁচে আছে একটি মানুষ! শুনতে কল্পবিজ্ঞানের কোনো গল্প মনে হলেও ডক্টর ক্যানাভেরোর মতে, এমন কিছুই হয়তো ঘটতে চলেছে ভবিষ্যতে।

ত্বকে মিশে যাবে প্রযুক্তি : স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রফেসর জিনান বাও এবং তার দল সম্প্রতি পৃথিবীর প্রথম ইলেকট্রনিক বায়োপলিমার আবিষ্কার করেছেন যেটি ব্যবহার করার পর ত্বকে মিশে যাবে। এক দিন হয়তো কোনো রকম স্মার্টফোন বা কম্পিউটার ছাড়াও ত্বকের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত কাজগুলো সেরে ফেলতে পারবে সবাই। অসম্ভব পাতলা ওজনহীন ও শরীরের জন্য একদম ক্ষতিকর নয়- এই প্রযুক্তি, এর মাধ্যমে মানবদেহের অজানা রহস্য উদঘাটন হবে বলে গবেষকরা আশা করছেন।

পানি থেকে জ্বালানি : পৃথিবীও কিন্তু বসে নেই। গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা কিভাবে হাইড্রোজেন জ্বালানি প্রস্তুত করা সম্ভব, তা নিয়ে ব্যাপক সোরগোল শুরু করেছেন। ‘সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক লিক্রনিন জানিয়েছেন, তাদের পদ্ধতি অনুযায়ী হাইড্রোজেনকে এক বিশেষ তরল পদার্থের সাহায্যে অজৈব জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। এত আলাদা কোনো বিদ্যুৎ বা এনার্জি খরচ হবে না, বরং সূর্য আর বাতাস থেকে যে শক্তি দিয়ে বাতাস তৈরি হয়, তা দিয়েই হাইড্রোজেন জ্বালানি তৈরি করা যাবে।

রোবোটিক হাত : বিজ্ঞানীমহলে অক্টোপাস বেশ জনপ্রিয় প্রাণী। অক্টোপাস নানা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ও অনুপ্রেরণা দিতে ব্যবহার করা হয়। এ যুগের সেরা কিছু আবিষ্কার যেমন ‘সাকশন কাপ’ (যা রোবটদের যে বস্তু ধরতে সাহায্য করে) অথবা আট পা ওয়ালা আন্ডার ওয়াটার রোবট (যা পানির নিচে সাঁতার কাটতে পারে এবং ভারী যেকোনো কিছু বহন করতে পারে) ইত্যাদি অক্টোপাসকে অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে। সম্প্রতি অক্টোপাসের আটটি শুঁড়ের অবলন্বনে এমআইটির দারবেলোফ ল্যাবরেটরি পরিধানযোগ্য রোবোটিক হাতের মডেল তৈরি করেছে। নিজের হাতের গতির সাথে মিল রেখে বিপজ্জনক কাজে এই বাড়তি হাত ব্যবহার করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে নিজ হাত ব্যবহার না করলেও চলবে।

সত্যিকারের টেলিপ্যাথি : মস্তিষ্ক নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এখন বেশ এগিয়ে গেছে। ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও স্পেনের বিজ্ঞানীরা মিলে এরই মধ্যে বিশ্বের প্রথম ‘টেলিপ্যাথি’ যেগাযোগ করতে সফল হয়েছেন। ইলেকট্রো এনসিফেলোগ্রাম নামক এক প্রযুক্তির মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফ্রান্স ও ভারতে অবস্থানরত দুই বিজ্ঞানী মস্তিষ্কের সিগনাল দিয়ে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করেছেন। এই যোগাযোগের ফলে কোনো কথা বা ইঙ্গিত ছাড়াই তারা দু’টি মস্তিষ্কের মধ্যে কিছু শব্দ আদান-প্রদান করেছেন, যা এ সময়ের সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর স্নায়ুবিজ্ঞান গবেষণা হিসেবে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

বায়োনিক ব্রেন : আরএমআইটির বিজ্ঞানীরা মস্তিষ্কের মেমোরি (স্মৃতি) কোষকে অনুসরণ করে আরো শক্তিশালী মেমোরি যন্ত্র আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন। এ অত্যাধুনিক যন্ত্র আকারে ক্ষুদ্র ও স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি গতিসম্পন্ন। আলাদাভাবে মেমোরি যন্ত্রের পাশাপাশি একই প্রযুক্তি দিয়ে কম্পিউটার মাদার বোর্ড ও মেমোরিকে আরো কার্যকর করা যাবে, জানালেন আরএমআইটির গবেষক শরৎ শ্রীরাম। পুরোপুরি মস্তিষ্কের সিগন্যাল সিস্টেম অনুকরণ করে যেকোনো যন্ত্রকে ‘বায়োনিক ব্রেন’-এর কাছাকাছি নিয়ে আসা সম্ভব। আর এ আবিষ্কার সেই সুদূরপ্রসারী যাত্রার মাইলফলক।

মহাকাশে ভারতীয় যান : সম্প্রতি মহাকাশ যান ‘মঙ্গলায়ন’ যখন মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথে প্রবেশ করল, তখন পৃথিবীর প্রতিটি টেলিভিশনেই তাদের ব্রেকিং নিউজে এটি সম্প্রচার করতে ব্যস্ত। যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের মতো শক্তি রাষ্ট্রের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের উপমহাদেশের কোনো মহাকাশ যান মঙ্গলগ্রহ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে, তা সত্যিকার অর্থে তাগ লাগিয়ে দেয়ার মতো।

ছয় নম্বর আঙুল : বলিউড অভিনেতা ঋত্বিক রোশনের ডান হাতে দুটো বুড়ো আঙুল অনেকে হয়তো দেখে থাকবেন। সেই অতিরিক্ত আঙুল কোনো কাজে না লাগলেও বিজ্ঞানীরা এখন এমন প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন যেন দুই হাতেই একটি যান্ত্রিক আঙুল সংযুক্ত করে একদম অন্য ১০টা আঙুলের মতো ব্যবহার করা যাবে। ব্লুটুথের মাধ্যমে ইচ্ছামতো সেটি দিয়ে সত্যিকারের আঙুলের মতো নাড়াচাড়া করতে পারবে।

ডেনি কোল্ড নামে নিউজিল্যান্ডের একজন ডিজাইনার থ্রিডি প্রিন্টার দিয়ে এমন একটি আঙুল তৈরি করেছেন যেটি একটি রিস্টব্যান্ড দিয়ে কবজির সাথে লাগিয়ে নেয়া যাবে! (থ্রিডি প্রিন্টার আরেক চমকপ্রদ জিনিস। সেটি দিয়ে মানুষ জামাকাপড় থেকে শুরু করে পিস্তল পর্যন্ত প্রিন্ট করে ফেলছে।) পায়ে একটি সেন্সর থাকবে ব্লুটুথের মাধ্যমে সত্যিকারের আঙুলের মতো নাড়াচাড়া করবে। সঙ্গীত, অস্ত্রোপচার ইত্যাদি যেসব ক্ষেত্রে সূ² আঙুলের প্রয়োজন পড়ে সেসব ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তি একরকম বিপ্লব বয়ে আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ছাড়া পৃথিবীর মতো সাতটি নতুন গ্রহ আবিষ্কার করার কথা ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। পৃথিবীর ছায়াপথে একটি ছোট নক্ষত্রের চার পাশে ঘুরতে থাকা সাতটি পৃথিবীসদৃশ গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের এই নতুন আবিষ্কার সম্প্রতি জার্নাল নেচারে প্রকাশিত হয়েছে। ওয়াশিংটনে নাসার সদর দফতরের এক সংবাদ সম্মেলনেও নতুন গ্রহ আবিষ্কারের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সাতটি গ্রহের আকার ও ভর মোটামুটি পৃথিবীর মতোই। এগুলোর তিনটির মধ্যে প্রাণের বিকাশে সহায়তাকারী মহাসাগর থাকার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। পৃথিবী থেকে ৪০ আলোকবর্ষ দূরের নক্ষত্রটিকে ঘিরে গ্রহগুলোর সন্ধানকে বিরল আবিষ্কার মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণা দলের প্রধান বেলজিয়ামের লিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ মাইকেল গালোন নতুন এই আবিষ্কার সম্পর্কে বলেন, ‘এ প্রথমবার একটি নক্ষত্রকে ঘিরে এতগুলো গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে। গ্রহগুলোর মধ্যবর্তী স্থানে রয়েছে একটিমাত্র নক্ষত্র। এর নাম দেয়া হয়েছে ট্রাপিস্ট-১। বিজ্ঞানীদের অনুমান সেখানে মিলতে পারে প্রাণের সন্ধানও, থাকতে পারে পানিও।

এ দিকে ‘লোফার’ রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করে নতুন প্রায় তিন লাখ ছায়াপথ আবিষ্কার করেছেন জ্যোতিবিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের আশা এর মাধ্যমে কৃষ্ণগহ্বার ও ছায়াপথ কিভাবে সৃষ্টি হয় সে সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যাবে।

বিজ্ঞানের আবিষ্কারের ফলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এসেছে সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্বাচ্ছন্দ্য। আদিম যুগ থেকে বর্তমান যুগ পর্যন্ত মানবসভ্যতার বিকাশ ঘটেছে। তার মূলে রয়েছে বিজ্ঞান। বিজ্ঞান আর সব রোগ-শোক জয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষ তার যুগ যুগান্তরের স্বপ্ন ও সাধনার অনবদ্য ফসল দিয়ে সভ্যতার এ বিশাল ইমারত গড়ে তুলেছে। নিজের প্রাণশক্তি তিল তিল করে সঞ্চিত করে, বুকের রক্ত বিন্দু বিন্দু ঢেলে দিয়ে রচনা করেছে সভ্যতার এই তিলোত্তমা মূর্তি। সে সভ্যতার বেদিমূলে রয়েছে বাহুর শক্তি, মস্তিষ্কের বুদ্ধি, ইন্দ্রিয়ের অনুভ‚তি এবং হৃদয়ের ভালোবাসা। বিজ্ঞান মানুষের অতন্দ্র সাধনার ফসল। বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে বেগ, সভ্যতার পদক্ষেপকে করেছে দ্রুতকর, পৃথিবীকে করেছে ছোট। বিজ্ঞান মানুষকে দিয়েছে অনিঃশেষ শক্তির অপ্রতিরোধ্য জয়যাত্রা।
rahimkhulna8@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement