২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাজনীতি

-

জীবনের কোনো পর্যায়েই আমি কোনো দলীয় বা অন্য কোনো রাজনীতি করিনি। আশির দশকে একটি টেলিভিশন সিরিজ দেখেছি যেটিতে নায়কের ভ‚মিকায় ‘হার্ট’ নামে এক মেধাবী ছাত্রের একটি উক্তি মনে পড়ে। তাকে কেউ একজন রাজনীতি বিষয়ে প্রশ্ন করলে তার সোজাসাপ্টা উত্তর ছিল- ‘আই হেট পলিটিকস’। আমি তেমন মেধাবী না হলেও এবং পলিটিকসকে ঘৃণা না করলেও অপছন্দ করি। তবে বিশ্বের সব দেশেই রাজনীতি করেন, এমন লোকের অভাব নেই। কিছু লোককে রাজনীতি করতেই হয়। তা না হলে দেশে সরকার গঠন করবে কে, উন্নয়নমূলক কাজ করবে কে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করবে কে, যুদ্ধ ঘোষণা ইত্যাদি করবে কে? এসব বিষয়ে নীতিনির্ধারণ করা রাজনীতিকদেরই কাজ। দেশভেদে রাজনীতি যেমন পরিচ্ছন্ন হয় আবার নোংরাও হয়। ব্রিটেনের রাজনীতিক ও অন্যান্য দেশের রাজনীতিকদের কার্যকলাপের পরিচ্ছন্নতার মান এক রকম নয়। উপরোক্ত হার্ট ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষপর্বের ছাত্র। তিনি সম্ভবত আইনের ছাত্র ছিলেন।

১৯৬৬ সালে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস এম হলে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র, সে সময় আমার এক সহপাঠী আবদুর রশীদ একদিন বলল, ‘শেখ সাহেব বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্রের সাথে আলাপ করতে চান। চলো, যাই।’ আমি বললাম, ‘তুমি যাও। তিনি কী বলেন আমাকে এসে বলো। যে সময় তোমরা যাচ্ছ তখন আমার পূর্বনির্ধারিত কাজ আছে।’ সে গেল। ফিরে এলে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘শেখ সাহেবের বাসায় গেছিলা?’ সে বলল, ‘গেছিলাম।’ আমি বললাম, ‘কী বললেন তিনি?’ রশীদ বলল, ‘শেখ সাহেব আমাদেরকে ভালো করে লেখাপড়া করতে বলেছেন।’ আমি বললাম, ‘নেতার মতোই কথা বলেছেন তিনি।’

এ সময়েই রশীদের সাথে একবার সিএসপি অফিসার আহমদ ফজলুর রহমানের আজিমপুরের বাসায় বেড়াতে যাই। আমার সাথে তার পূর্ব পরিচয় ছিল না। রশীদ আমাকে তার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার আব্বা কি করেন।’ আমি বললাম, ‘তিনি সিভিল সাপ্লাই ডিপার্টমেন্টে কাজ করেন।’ তিনি সহসা নেচে উঠে বললেন, ‘সিভিল সাপ্লাই ডিপার্টমেন্টে? তাইলে তো ইনি অনেক ঘুষ খাইছেন; অনেক কিছু করছেন।’ আমি শান্তভাবে বললাম, ‘আব্বা ঘুষ খান না বলে চাকরি করে তিনি কিছুই করতে পারেননি। আমরা ভাড়াবাড়িতে থাকি আর আমি স্কলারশিপের টাকায় হলে থেকে লেখাপড়া করি।’ তিনি আর কিছু বললেন না। তার বাসা থেকে বিদায় নিয়ে আসার সময় এই প্রাণোচ্ছল লোকটি তার একটি ছোট শিশুকে কোলে করে আমাদের দুইজনকে রাস্তা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে গেলেন। রশীদ শেষ পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের ডিজি হয়েছিল। যতদূর মনে পড়ে, পরে আহমদ ফজলুর রহমান সম্ভবত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আরেক সিএসপি অফিসার রুহুল কুদ্দুসের সাথে জড়িয়ে পড়েছিলেন। রশীদ পরলোকগত না হলে এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পারতাম।

আরেকবার ১৯৬৬ সালেই, হলের সিঙ্গেল সিটেড কক্ষে থাকি। এক সকালে ঘুম ভাঙার আগেই দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ পেলাম। দরজা খুলে দেখি, জগন্নাথ হলের সহপাঠী সুশান্ত কুমার রায়। এত সকালে তাকে দেখে অবাক হলাম। তাছাড়া সে আর কোনো দিন আমার কক্ষে আসেনি এবং এ হলেও তাকে কোনো দিন দেখিনি। জানতে চাইলাম, ‘এত সকালে? কী ব্যাপার’? সে বলল, ‘আমি হল থেকে বাথরুমের পাইপ বেয়ে পেছন দিয়ে পালিয়ে এসেছি। জগন্নাথ হলে এনএসএফ-এর একটি শাখা খুলতে চাই বলে ‘তারা’ আমাকে মারতে চায়।’ আমি তার বিপদের কথা বুঝলাম। যে হলে এনএসএফ-এর একটি ছাত্রও নেই সেখানে সে এর একটি শাখা খুলবে! ভয়ানক ব্যাপার! বললাম, ‘বসো’।

তাকে রুমে বসিয়ে টয়লেট ও বাথরুমের কাজ একবারে সেরে এলাম। কাপড় পাল্টিয়ে বললাম, ‘চলো’। আমি কিছুই ভাবছি না এখনো। এর কী করতে পারি? এসব কিছুই আমার মাথায় আসছে না। তাকে নিয়ে হলের ক্যান্টিনে এলাম। নাস্তা সেরে ক্যান্টিনেই তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আমাকে কী করতে হবে’? সে বলল, ‘আমাদের প্রভোস্টের কাছে আমাকে নিয়ে চলো। তার কাছে তারা আমার বিরুদ্ধে নালিশ করেছে। তুমি তাকে আমার সম্বন্ধে কিছু বলবা।’

সুশান্ত আমার ঘনিষ্ঠ সহপাঠীদের একজন। অর্থনীতির অনার্স ক্লাস ছাড়াও একসাথে গণিত ও স্ট্যাটিস্টিকস সাবসিডিয়ারি ক্লাস করি। সায়েন্স বিল্ডিংয়ে সাবসিডিয়ারি ক্লাস করে প্রায়ই একসাথে ফিরি। তাকে ভালোই জানি। তার জন্য তার হলের প্রভোস্টের কাছে যেতে আমার বাঁধল না। আগেই বলেছি, আমি দলমত নিরপেক্ষ একজন সাধারণ ছাত্র। তাকে নিয়ে প্রভোস্টের কাছে গেলাম। প্রভোস্ট বিখ্যাত জিসি দেব সকালের নাস্তা করছিলেন। দু’জন ছাত্র তার সাথে দেখা করতে এসেছে খবর পেয়ে সেই অবস্থায়ই তিনি বেরিয়ে এলেন। দুধভাত খাচ্ছিলেন মনে হলো। হাঁটু পর্যন্ত ধুতি পরা উদোম পেটে দুধের ফোঁটার সাথে একটি ভাত আটকে আছে। তিনি এসে জানতে চাইলেন, আমরা কারা। সুশান্ত বলল, ‘কিছু ছাত্রের ভয়ে আমাকে হল থেকে সকালে পালিয়ে যেতে হয়েছে। তাই আপনার কাছে এসেছি।’

ব্যাপারটি তার কানে এসেছে। তিনি রেগে গেলেন। বললেন, ‘ও। আমি শুনেছি তোমার কথা। সিলেটী গুণ্ডা। আমার সাথে বাতচিত করতে এসেছ?’ আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘তুমি কে হে?’ আমার নাম বললাম। তিনি জানতে চাইলেন, ‘কোন হলে থাক?’ আমি বলার আগেই সুশান্ত বলল, ‘এস এম হলে।’ তিনি সুশান্তকে বললেন, ‘তাহলে তোমার কিছু ভালো বন্ধুও আছে!’ আমাকে বললেন, ‘এস এম হলে সব ভালো ছাত্ররা থাকে। আমার হলে যতসব গুণ্ডাপাণ্ডা।’ বিনীতভাবে বললাম, ‘স্যার। সে ভালো ছাত্র। তাকে একটু দেখবেন।’ তিনি বললেন, ‘ঠিক আছে। আমি বলে দেবো। তবে আর যেনো ওরকম না শুনি।’ স্যারকে সালাম জানিয়ে চলে এলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স অ্যানেক্সে এলাম। আসার পথে সুশান্ত তার সংগঠন করার কথা তুলল। চুপ করে মাথা নিচু করে সারাটা পথ হাঁটছি আর তার কথা শুনছি। এ ব্যাপারে আমার সত্যিই কিছু করার নেই। এখানে পৌঁছে দেখি, ভবনের যেদিক দিয়ে আমরা দোতলায় অর্থনীতি বিভাগে উঠি তার পাশে নিচতলায় সিঁড়ির গোড়ার বারান্দার রেলিংয়ে এনএসএফ নেতা আমাদের অর্থনীতি বিভাগের এবং হলের জ্যেষ্ঠ ছাত্র জমির আলী ভাই বসে আছেন। আমি সুশান্তকে তার হাতে তুলে দিয়ে বললাম, ‘এর নাম সুশান্ত কুমার রায়। জগন্নাথ হলের অর্থনীতির ছাত্র। সে তার হলে আপনার সংগঠনের একটি শাখা খুলতে চায়।’

এই বলে আর দাঁড়ালাম না। সুশান্তকে তার কাছে রেখে আমি উপরে চলে গেলাম। এর বেশ কিছু দিন পর এস এম হলে জমীর আলী ভাইকে একদিন কাউকে বলতে শুনলাম, জগন্নাথ হলে এনএসএফ-এর শাখা সংগঠিত হয়েছে। এ ব্যাপারে সুশান্ত আমাকে আর কিছু বলেনি বা আমার কাছে আর আসেওনি। আমাকে জড়ায়নি বলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। ভাবলাম, সুশান্ত তাহলে এখন আর তার হলে একা নয়। জগন্নাথ হলের জন্য এটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। ‘বিপ্লব’ও বলা যায়। এই সুশান্ত বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর ভারতে চলে যায়। শুনেছি, সে দিলি­র ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট-এ কাজ করে। কোনো দিন ভারতে যাইনি। তবে ভারতের রাজধানী দিলি­তে উচ্চশিক্ষার জন্য গেছেন এমন দু-একজন সহপাঠীকে আমি তার কথা জিজ্ঞেস করেছি। কিন্তু কেউ তার খোঁজ দিতে পারেননি।

এস এম হলে ছাত্রাবস্থায় চারবার হলের ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেখেছি। কিন্তু কোনোবারই আমি তাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিনি। কারণ নির্বাচন হতো দলীয় ভিত্তিতে। নির্বাচনের আগে বিশেষত এপসুর ‘প্রগতি’ এবং এনএসএফের ‘অগ্রদূত’ প্যানেলে যারা প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতেন তাদের প্রজেকশন সভা হতো এবং তাদের মুরুব্বি ছাত্রনেতারা তাদের পরিচয় করিয়ে দিতেন। উভয় দলের প্রজেকশন মিটিং আমি দেখেছি। একটি মজার ঘটনা হলো, ভোটের দিন প্রতিদলের চিহ্নিত সমর্থকদের দলীয় কর্মীরা আদর সমাদর করে হল অডিটরিয়ামের যে দরজা দিয়ে ভোট দেয়ার জন্য প্রবেশ করার কথা সে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিত। কিন্তু কোনো দলই যেহেতু জানত না, আমি কাকে ভোট দেবো তাই অডিটরিয়ামের পুবের নির্জন দীর্ঘ বারান্দা দিয়ে ধীর পায়ে হেঁটে ভোট দিতে যেতাম।

উল্লেখ্য, আমি প্রথমবর্ষে এবং তৃতীয়বর্ষে ক্লাস রিপ্রেজেনটেটিভ পদে দুইবার নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দু’বারই এপসুর প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছি। একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি যারা ছাত্ররাজনীতি করত, তাদের মেধার মান আমার তুলনায় কম বা বেশি যাই হোক না কেন, তারা আমার চেয়ে ঢের বেশি চালাক চতুর। সে চাতুর্য, তদবিরবাজি ও ধান্ধাবাজি তারা কর্মজীবনেও প্রয়োগ করত বলে তাদের মেধা যাই হোক, তারা কর্মজীবনে এবং অবসর জীবনেও বেশ সফল। এর চাক্ষুষ প্রমাণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ সমাপ্ত করে পাকিস্তানের পিআইডিই করাচির অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানে সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে একটি প্রেস্টিজিয়াস পদ স্টাফ ইকোনমিস্টে নিয়োগ পেয়ে যোগদান করে পেয়েছি। সেখানে ঊর্ধ্বতন মেধাবী গবেষকরাও ঠাহর করতে পারেননি, আসলে আমার রাজনৈতিক মতাদর্শ কী। আমি নিখাদ একজন অর্থনীতির গবেষক ছিলাম।
প্রায় তিন বছর পর সেখান থেকে আমাকে প্রায় শূন্য হাতে বিদায় নিতে হয়েছে। এ বিদায়লগ্নে আমার প্রথম রিসার্চ সুপারভাইজার রিসার্চ ইকোনমিস্ট ড. এআর খান ডিরেক্টর প্রফেসর নূরুল ইসলাম এবং দ্বিতীয় সুপারভাইজার রিসার্চ ইকোনমিস্ট ড. এসআর বোসের সামনে আমাকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন ‘একটু বেশি বাঙালি তো’। অদৃষ্টের পরিহাস, তিনি নিজে এবং ডিরেক্টর ও ড. বোস তিনজনই বাঙালি। শুনেছি, তার রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে সরকার তাকে সিএসএস পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি দেয়নি। এই প্রতিষ্ঠানে আসার আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। তবে এ কথা সত্য, এইচএসসি পরীক্ষার ফল বেরুবার পর এক সন্ধ্যায় খাবার খেয়ে উঠে আব্বা মাকে বললাম, ‘আমি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ব না অর্থনীতিতে পিএইচডি করে রাজনীতি করব।’ মা বলেছিলেন, ‘তোর যেটা ভালো লাগে, সেটাই পড়।’ আব্বা বললেন, ‘আমি তরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ামু না, তারা ঘুষ খায়।’ সে লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর নির্জন সন্ধ্যায় রেসকোর্সের গলফ খেলার কোর্টে বেশ কিছু দিন ইংরেজি বক্তৃতার রেওয়াজ করেছি। কোনো ছাত্র সংগঠনে যোগ দেইনি। পরে আমার মত পাল্টে যায়।

আমি পিআইডিইতে যোগ দেয়ার পরপর আমার রিসার্চ সুপারভাইজার ড. এআর খান প্রতি সপ্তাহেই বারদুয়েক আমার কক্ষে এসে জিজ্ঞেস করতেন, সিএসএস পরীক্ষা দেব কি না। প্রতিবারই আমার একই উত্তর ‘পিএইচডি করার সুযোগ পেলে আমি সিএসএস পরীক্ষা দেবো না।’ প্রতিবারই তিনি বলতেন, ‘এটা আপনি পাবেন।’ বস্তুতই আমি সিএসএস পরীক্ষা দেইনি। তবে ছাত্রজীবনে রাজনীতি করিনি বলে কোনো আফসোস নেই। এখনো কোনো দলীয় রাজনীতির সাথে আমি নেই। বিবেকের তাড়নায় কিছু লিখি। আমি এখনো ছাত্র রাজনীতির বিপক্ষে। কারণ ছাত্রদের শুদ্ধ জীবনযাপনের এটাই একমাত্র পথ।

ঢাকার একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা যাতে একসময় প্রায়ই লিখতাম তাতে ছাত্ররাজনীতির কুফল বিষয়ে একটি নিবন্ধ পাঠিয়েছিলাম। তারা আমার লেখাটি ছাপেননি। জানতে চাইলে তারা বললেন যে, তারা ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে নন। ছাত্ররাজনীতি ছাত্রদের জন্য যতটা না প্রয়োজন তার চেয়েও বেশি প্রয়োজন গণবিচ্ছিন্ন রাজনীতিকদের জন্য। শিক্ষা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গোল্লায় যাক, তাতে কিছু যায় আসে না, রাজনীতিকদের গদি অটুট রাখতে হবে- এটাই বড় কথা। তাই এ প্রথার বিলুপ্তির সম্ভাবনা ক্ষীণ।

লেখক : অর্থনীতির অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর ও ভাইস প্রিন্সিপাল, মহিলা সরকারি কলেজ, কুমিল্লা।


আরো সংবাদ



premium cement