সিয়াম : প্রতি বছর যে শিক্ষা অনুপ্রাণিত করে
- মুহাদ্দিস ডক্টর এনামুল হক
- ২৬ এপ্রিল ২০২১, ২০:২৬
মানবতার বন্ধু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা: হেরা গুহায় নবুওয়াত প্রাপ্তির পর তেরোটি বছর মক্কায় ইসলামের দাওয়াত পেশ করেছিলেন। কিছু লোক তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাঁর নেতৃত্বে সঙ্ঘবদ্ধ হন। কিন্তু মক্কার বেশির ভাগ মানুষ মুশরিক নেতাদের দাপটের কারণে ইসলাম গ্রহণ করেনি। অপর দিকে মদিনা বা ইয়াসরিবের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের একটি বড় অংশ ইসলাম গ্রহণ করেন। তাদের প্রচেষ্টায় ইয়াসরিবে ইসলামী দাওয়াতের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয় ও দাওয়াতের প্রসার ঘটে। এমতাবস্থায় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা: ও তাঁর অনুসারীদের ইয়াসরিবে হিজরাত করার নির্দেশ দেন। ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে মুহাম্মাদুর রাসূল সা: হিজরত করে সেখানে পৌঁছেন। গড়ে তোলেন একটি নগররাষ্ট্র। তখন থেকে ইয়াসরিব হয় ‘মদিনা মুনাওয়ারাহ’।
হিজরাতের আগে মুহাম্মাদুর রাসূল সা:-এর দাওয়াতি তৎপরতা পরিচালিত হয়েছে মুশরিকদের মধ্যে। হিজরাতের পর আরেক শ্রেণী তাঁর সামনে আসে। এরা ছিল ইয়াহুদি। মদিনার উপকণ্ঠে তাদের বিভিন্ন গোত্র বসবাস করত। এরা ‘তাওরাতের অনুসারী’ বলে দাবি করত। আসলে তারা তাওরাতকে বিকৃত করে ফেলেছিল। তাওরাতের যেসব আয়াত তখনো অবিকৃত ছিল সেগুলোকে তারা মনগড়া ব্যাখ্যা দ্বারা বিকৃত করে ফেলেছিল।
ইসলাম মাদানী যুগে প্রবেশ করার পর আরেক শ্রেণীর মানুষের আবির্ভাব ঘটতে শুরু করে। এরা ছিল মুনাফিক। এদের কেউ কেউ ইসলামের সত্যতা স্বীকার করত কিন্তু এরা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যেতে প্রস্তুত ছিল না। এদের কেউ কেউ ইসলাম ও জাহিলিয়াতের মধ্যে দোদুল্যমান ছিল। কেউ কেউ আসলে ইসলামকে অস্বীকারই করত; কিন্তু ফিতনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে মুসলিমদের দলে প্রবেশ করত। এদের কেউ কেউ একদিকে মুসলিমদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখত, অন্য দিকে ভালো সম্পর্ক রাখত ইসলামের দুশমনদের সাথে। শেষাবধি যারাই বিজয়ী হোক না কেন, এতে যেনো তাদের স্বার্থহানি না ঘটে, সে বিষয়ে তারা ছিল খুবই সজাগ। এরাই সবচেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর ও ইসলামের দুশমন।
সাইয়্যেদুল মুরসালিন রাসূল সা: মক্কা হতে মদিনায় হিজরত করেছেন, মদিনায় তাঁর একটা মজবুত অবস্থান ও নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে; এমন বিষয়ে মক্কার কাফির মুশরিকরা পেরেশান ও উদ্বিগ্ন। তারা মদিনা আক্রমণের ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করেছে। ইতোমধ্যে বাণিজ্য কাফেলা এবং মক্কার আবু জাহেলের নেতৃত্বে কাফিরদের আক্রমণ প্রতিহত করার মতো ঈমানি মজবুতী, তাকওয়ার পরাকাষ্ঠা, শুধুমাত্র আল্লাহর দ্বীনের স্বার্থে নিজের আপনজন, আত্মীয়স্বজনের চেয়ে ইকামাতে দীনের বিষয় মু’মিনের জন্য স্মর্তব্য ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেটি হৃদয়ে গ্রথিত করা এবং প্রতিপক্ষের যেকোনো পরিস্থিতির মুকাবিলায় ঈমান ও তাকওয়ার বলে বলীয়ান হয়ে ময়দানে দৃঢ়ভাবে থাকার জন্য সওমের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিধান ফরজ করা হয়েছে। আল্লাহর বাণী:‘ওহে যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে (তোমরা গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনো) তোমাদের ওপর সিয়ামকে বিধিবদ্ধ করে দেয়া হয়েছে যেমনভাবে তাদের ওপর বিধিবদ্ধ ছিল, যারা তোমাদের আগে ছিলেন যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো। (সূরা আল বাকারা, আয়াত : ১৮৩)।’ সহিহ সনদে হাদিসে এসেছে, ‘আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমান ও ইহ্তিসাব তথা হিসাব-কিতাব করে রমাদানের ‘সওম’ পালন করে তার পূর্বপরের সব অপরাধ মাফ করে দেয়া হবে, আর যে ব্যক্তি বিশ্বাস ও হিসাব-কিতাব করে রমাদানের রাতগুলো দাঁড়িয়ে ইবাদত করবে তার পূর্বপরের সব অপরাধ মাফ করে দেয়া হবে, আর যে ব্যক্তি বিশ্বাস ও হিসাব-কিতাব করে লাইলাতুল কদরে ইবাদত করবে, তার পূর্বপরের অপরাধগুলো মাফ করে দেয়া হবে। সহিহুল বুখারি, হাদিস ৩৮, ১৮০২, ১৯১০, সহিহ মুসলিম, হাদিস ১৮১৭, ২৮২৫।
অপর হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে করিম সা: বলেছেন, বনি আদমের প্রত্যেক ভালো কাজের প্রতিদান দশগুণ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, তবে ‘সওম’ ছাড়া। যেহেতু তা কেবল আমার জন্য, আর আমি নিজেই এর প্রতিদান দেবো। কেননা একজন সওম পালনকারী তার প্রবৃত্তিকে আমার জন্যই স্রেফ নিবৃত্ত রেখেছে এবং খানাপিনা থেকেও বিরত থেকেছে, (কাজেই এমন মহান কাজের প্রতিদান আমার নিজ হাতে দেয়াই শ্রেয়)। রোজাদারের জন্য রয়েছে আনন্দের দুটো মুহূর্ত। এক. যখন সে ইফতার করে। দুই. যখন সে তার মহান রবের সাথে সাক্ষাৎ করবে। আর রোজাদারের মুখের গন্ধ মহান আল্লাহর কাছে মিশকে আম্বরের চেয়েও অধিক সুগন্ধিযুক্ত। প্রকৃতপক্ষে ‘সিয়াম’ (রোজাদারের জন্য) ঢালস্বরূপ। সুতরাং তোমাদের কেউ যখন রোজার দিনে রোজা রাখবে, তখন যেন যৌন মিলন না করে, অশ্লীল বাক্যালাপও না করে।- সহিহুল বুখারি, হাদিস ১৮০৫, সহিহ মুসলিম, হাদিস ২৭৬০
দ্বিতীয় হিজরির শাবান মাসে সিয়ামের বিধান নাজিল করার মাধ্যমে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বান্দাকে তাকওয়ার পরাকাষ্ঠা ও শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই নিজেদেরকে উপস্থাপিত করার প্র্যাকটিক্যাল আমল বাতলিয়ে দিলেন। পাশাপাশি, প্রথম রমাদানে জিহাদের বিধান নাজিল করে ইসলাম প্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনাবলিও বিধিবদ্ধ করে দেন। আল্লাহর বাণী, অনুমতি দেয়া হলো তাদেরকে যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হচ্ছে, কেননা তারা মজলুম এবং আল্লাহ অবশ্যই তাদেরকে সাহায্য করার ক্ষমতা রাখেন। (সূরা আল হাজ, আয়াত : ৩৯) অন্যত্র আল্লাহ বলেন, আর তোমরা আল্লাহর পথে তাদের সাথে যুদ্ধ করো, যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে, কিন্তু বাড়াবাড়ি করো না। কারণ যারা বাড়াবাড়ি করে আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন না। (সূরা আল বাকারা, আয়াত: ১৯০)
প্রথম রমাদানে সিয়ামব্রত অবস্থায় কাফির মুশরিকদের আক্রমণের মুকাবিলায় যেভাবে সাহাবায়ে কিরামদের বদরে সম্মুখ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিল, তেমনি পরবর্তীতে প্রতি বছর রমাদান মাস, সিয়াম পালন এবং এ মাসের তাবৎ ইবাদত অনুশীলনে সত্য ন্যায়ের জন্য আপসহীন ঈমানি মজবুতি অর্জনের প্রেরণা লাভ করে থাকি। কিয়ামত পর্যন্ত ইসলাম, মুসলমান, ইসলামী আন্দোলন, ইকামাতে দ্বীনের যেকোনো কাফেলা সারা বিশে^ নির্যাতিত, নিষ্পেষিত হচ্ছে, সেসবের মুকাবেলায় ঈমানি দৃঢ়তা ও তাকওয়ার মানদণ্ডে উন্নীত হওয়ার প্রতি বছর রমাদানে প্রেরণা পাবে ঈমানদার মুসলিমরা।
মুসলমানদের শক্তির উৎসই হচ্ছে কুরআন। এ অমিয় শক্তির কারণেই ঈমানদাররা অসত্য, অন্যায় ও অনাচার রুখতে জীবন বিলিয়ে দিতেও কুণ্ঠাবোধ করে না। শত-সহস্র জুলুম-নির্যাতন, নিপীড়ন বরণ করেছেন এবং ঈমানি চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ফাঁসির কাষ্ঠে হাসিমুখে জীবন বিলিয়ে দেন। রমাদানের সিয়াম সাধনা প্রতি বছর এ প্রেরণায় উজ্জীবিত করে থাকে।
কুরআন নাজিলের এ মাসে ব্যক্তি পর্যায় হতে তথা পার্সন টু পার্সন, বাসা-বাড়ি, পাড়ামহল্লা, গ্রামগঞ্জ, মক্তব-মসজিদে সহিহ কুরআন শিক্ষার আয়োজন করা যায়। দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের জনপদে বহু মুসলমান কুরআন তিলাওয়াত করতে পারেন না। আবার সহিহ তিলাওয়াতকারী সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। জাগতিক জীবনে আমাদের কাউকে যদি রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রী-মিনিস্টার কর্তৃক কোনো গুরুত্বপূর্ণ চিঠি প্রেরণ করা হয়, তাহলে সেটি পড়তে ও বুঝতে আমরা খুব ব্যস্ত ও আগ্রহী হয়ে যাই। অথচ বিশ্বজাহানের রাজাধিরাজ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা তাঁর প্রিয় হাবিব মানবতার মহান শিক্ষক মুহাম্মদ সা:-এর মাধ্যমে যে মহাপবিত্র কিতাব কুরআনুল করিম পাঠালেন, সেটি পড়তে, বুঝতে ও মান্য করতে আমরা সেরকম আগ্রহ, পেরেশানি ও চেষ্টা করি না। এ কিতাব কঠিন মুসিবতের দিনে তিলাওয়াতকারীর জন্য অকাট্য দলিল হিসেবে উপস্থাপিত হবে এবং তিলাওয়াতকারীর জন্য জান্নাতের সুপারিশ করবে। এ কিতাব পাঠ করে হাজার হাজার কাফির মুশরিক ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে প্রবেশ করে মুসলমান হচ্ছেন এবং নওমুসলিমরা দু’এক বছরের মধ্যে কুরআন তিলাওয়াত ও এর মর্ম বুঝার যোগ্যতা অর্জন করে থাকেন। অথচ জন্ম থেকে মুসলমান হয়েও আমরা সে অনুভূতি ও চেতনায় উজ্জীবিত হচ্ছি না। প্রতি বছর রমাদান আমাদের সে অনুপ্রেরণা ও প্রেষণা সৃষ্টি করছে, যেন আমরা কুরআন নাজিলের মাসে এদিকটি উপলব্ধি করে বাস্তবায়নে সচেষ্ট হই।
প্রতি বছর রমাদান আল্লাহর পথে আহ্বানকারীর জন্য উত্তম সুযোগ দিয়ে থাকে। এ মাসে মানুষের হৃদয়-মন ভালো কাজে থাকে বেশি উদগ্রীব। মসজিদমুখিতা বেড়ে যায়। কল্যাণমূলক কাজে পারস্পরিক প্রতিযোগিতা দৃশ্যমান হয়। স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাধারণ দান-সদকা ও ফরজ জাকাত আদায়ের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। কুরআন ও হাদিসের আলোচনা মানুষ ধৈর্যসহকারে শুনতে উদ্বুদ্ধ হয়। দাঈ ইলাল্লাহর কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ এ মাসের সব দাওয়াহমূলক কাজ আন্তরিকভাবে করতে সমর্থ হলে অবশিষ্ট এগারো মাসের জন্য সেভাবে আলোকিত মানুষ তৈরি হতে পারে।
প্রতি বছর রমাদানে সারা বিশ্বের মুসলমানদের অভিন্ন ও বিরতিহীন রুটিন অনুযায়ী শক্তিশালী প্রশিক্ষণ কোর্সের এক মহা-আয়োজন করা হয়। স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের যেমন কোর্সভিত্তিক প্রশিক্ষণের আওতায় পেশাগত স্কিল অর্জন করাসহ গুণগত সার্বিক মানোন্নয়নের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে, তেমনি মু’মিন পুরুষ ও মহিলাদের বছরে এক মাস লাগাতার প্রশিক্ষণে নিজেদের ঈমান ও আকিদার বিশুদ্ধির নির্মল ব্যবস্থা করা হয়। এক মাসব্যাপী ট্রেনিংয়ে আয়ত্ত করা রসদ নিয়ে পরবর্তী এগারোটি মাস সে সবের ওপর কায়েম থাকা সহজ হয়। পুরো রমাদানে দিন ও রাতে রাজা-প্রজা, ধনী, দরিদ্র এবং বর্ণ নির্বিশেষে সিয়াম ও কিয়াম সাধনায় সমগ্র বিশে^র মুসলমান নজিরবিহীন ঐক্য ও আনুগত্যের অনুপম নিদর্শন স্থাপন করে। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সুন্দর ও কল্যাণময় সমাজ-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের গণপ্রশিক্ষণকার্যক্রম হিসেবেই রমাদান প্রতি বছর ঈমানদারদের কাছে সুমহান বার্তা নিয়ে হাজির হয়।
রমাদান প্রতি বছর আসে কুরআনের শিক্ষাকে পৃথিবীময় ছড়িয়ে দিতে; মানবরচিত বাতিল মতবাদের কায়েমি স্বার্থবাদীদের সব ষড়যন্ত্র ও কূটকৌশল নস্যাৎ করতে; নির্যাতিত, নিপীড়িত ও ভূলুণ্ঠিত মানবতার পাশে দাঁড়াতে; বদর যুদ্ধ ও ফতহে মক্কার ঐতিহাসিক ঈমানি চেতনায় নিজেকে বুলন্দ করতে। আমরা তো সেই উত্তরাধিকার, যারা শিখিয়েছেন সিয়াম পালনের মাধ্যমে অসত্য অন্যায় ও বাতিলের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রাখতে; ব্যক্তি পর্যায় হতে শুরু করে সমাজের পরতে পরতে ইকামাতে দ্বীন তথা ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের কাফেলায় উজ্জীবিত হওয়ার দীপ্ত শপথ নিতে; শাহ জালাল, শাহ পরাণ, তিতুমীর, শরীয়তুল্লাহ, শাহ আমানত, খান জাহান আলী, শাহ মখদুমের ত্যাগ ও কোরবানির এ ভূখণ্ড এবং ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্ব যারা কুরআনের সমাজ কায়েমে হাসি মুখে শাহাদতের সুধা পান করেছেন, তাদের মতো সাহসী ও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে; প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই প্রতি রমাদানে কমপক্ষে একটি নেক আমলে নিজেকে পাবন্দ এবং কমপক্ষে একটি মন্দ কাজ চিরতরে বর্জন করতে। মহান আল্লাহ সামর্থ্য দান করুন। আমিন
লেখক : প্রধান মুহাদ্দিস (কামিল হাদিস বিভাগ), বিজুল দারুল হুদা কামিল স্নাতকোত্তর মাদরাসা, দিনাজপুর
dr.anambirampur@gmail.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা