২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ নিয়ে পশ্চিমাদের খেলা

মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ নিয়ে পশ্চিমাদের খেলা - ছবি সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশ ধ্বংস করে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কয়েকটি দেশকে অনুগত করেছে, নানা কৌশলে কয়েকটি দেশকে ধ্বংস করার নীল নকশা নিয়ে এগুচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো নিয়ে পশ্চিমাদের কর্মকাণ্ডে বেশ কিছু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কয়েক পর্বে বিষয়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব। শুরুতেই আফগানিস্তান নিয়ে শুরু করছি-

প্রথমত, রাশিয়া ২৫ ডিসেম্বর ১৯৭৯ তার সাম্রাজ্যবাদী মনোভাব নিয়ে আফগানিস্তানে এক সামরিক ক্যু’র মাধ্যমে রুশপন্থী নুর মোহাম্মদ তারাকিকে ক্ষমতায় বসায়। একে তো তখনকার সময় পর্যন্ত রাশিয়া দেশে দেশে তার সমাজতন্ত্রবাদ প্রতিষ্ঠার জন্যে বিপ্লব ঘটিয়ে ‘ক্লায়েন্ট রাষ্ট্র’ বানানোর জন্যে উঠে পড়ে লেগেছিল। তার এই পথে বাধা ছিল আরেক সাম্রাজ্যবাদী দেশ আমেরিকা ও সাম্রাজ্যবাদী পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো। এই নিয়ে সমগ্র বিশ্বে এক ধরণের স্নায়ুযুদ্ধ চলছিল। ইংরেজিতে একে বলা হতো ‘কোল্ড ওয়ার’। একদিকে আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিম ইউরোপের ন্যাটো দেশগুলো আর অন্যদিকে রাশিয়ার নেতৃত্বে পূর্ব ইউরোপের ওয়ারশ ফ্যাক্ট দেশগুলো এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এই স্নায়ুযুদ্ধ সারা বিশ্বে চরম আকার ধারণ করেছে। আমেরিকা যেমন তার ধনতন্ত্র বা পুঁজিবাদী সিস্টেম টিকিয়ে রাখার জন্যে অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল তেমনি ধনতন্ত্রের শোষণ ও ধনী-দরিদ্রের আকাশ-পাতাল পার্থক্যকে পুঁজি করে গরিব হটাও এবং সাম্যবাদের শ্লোগান দিয়ে তার সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যে আদাজল খেয়ে লেগেছিল। সব দেশেই ধনীদের বিরুদ্ধে উস্কানি দিয়ে যাচ্ছিল। ধনীদের শেষ করে সাম্যের রাজ কায়েম করবে। যেখানে সবাই সমান হয়ে যাবে।

এই অবস্থায় যখন আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলো ১৯৭৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টধর্মের বড়দিন উদযাপনে ব্যস্ত, ঠিক ওই দিনকে সামনে রেখেই আফগানিস্তান দখল করে নেয় রাশিয়া। রাশিয়ার নাকি আরো উদ্দেশ্য ছিল : পরে হয় পাকিস্তান অথবা ইরান দখল করা। এতে করে আরব সাগর অথবা পারস্য উপসাগরের সাথে নিজের পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ সমুদ্র পথে সহজ হবে বলে তারা মনে করেছিল। তখনো পূর্বাঞ্চলের সকল মুসলিম দেশ তাদের দখলে ছিল। যথা কিরগিজিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান ও আজারবাইজান ইত্যাদি।
তখনকার দিনে পাকিস্তান ও ইরান ছিল সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার পরম বন্ধু রাষ্ট্র। অন্যদিকে ভারত রাশিয়ার একান্ত বন্ধু রাষ্ট্র। আমেরিকার পক্ষে কোনোভাবেই রাশিয়া এভাবে আফগানিস্তান দখল করে করবে- তা মানা একেবারে অসম্ভব। এছাড়া রাশিয়া সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্মলগ্ন থেকেই সব ধর্মের বিরুদ্ধে শ্লোগান ও কার্যত নাস্তিকতাও প্রতিষ্ঠা করার কাজ করছিল। উল্লেখিত সব মুসলিম দেশসহ বহু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা জবরদখল করে নিয়ে মুসলিমদেরকে নাস্তিক বানানোর জন্য চরম অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছিল।

মসজিদ-মাদরাসা, গির্জা সবই বন্ধ করার পদক্ষেপ নিয়ে সবাইকে নাস্তিক বানানোর জন্যে কঠিন পদক্ষেপ নিতে গিয়ে লাখ লাখ মুসলমানকে হত্যা করেছিল। নিজের শত বছরের বাপ-দাদার ভিটা-বাড়ি ও জন্মগত এলাকা থেকে জোর করে অন্য এলাকাতে স্থানান্তর করতে গিয়ে পথিমধ্যেই ক্ষুধা, ক্লান্ত আর ঠাণ্ডাতে লাখ লাখ মুসলমান মারা গিয়েছিল। এশিয়ায় ইসলামের প্রাণকেন্দ্র সমরখন্দ বোখারাকে (বোখারী শরীফ হাদিস সংগ্রহকারী ইমাম বোখারীর র:-এর জন্মস্থান) ধ্বংস করে দিয়েছিল। স্বাভাবিক কারণে বিশ্বমুসলিমেরা রাশিয়াকে নাস্তিক মতবাদী জুলুমবাজ, ইসলাম ও মুসলমানের দুষমন মনে করত।

আফগানিস্তান পাহাড়ে ঘেরা শত বছরের একটি মুসলিম দেশ। ধনী দেশ না হলেও মোটামুটি চলার মতো ছিল। মুসলমানদের অনেক ঐতিহ্য এই আফগানিস্তানে বিদ্যমান ছিল। যাদেরকে সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশেরাও যুদ্ধে পরাজিত করতে পারেনি। বরং নিজের অসংখ্য সৈন্য হারিয়ে নিজেরাই পরাজয় বরণ করেছিল।

আর ওই দেশটিকে রাশিয়া তার কিছু অনুসারীদেরকে উস্কানি দিয়ে ক্যু’র মাধ্যমে দখল করে নিয়েছিল সত্তরের দশকে। আমেরিকা দেশটিকে উদ্ধারের নামে আফগান ও অন্যান্য মুসলিম দেশ থেকে বীর যুবকদের দ্বারা গেরিলাবাহিনী গঠন করে যুদ্ধ শুরু করিয়ে দিয়েছিল। আর সেই গেরিলা যুদ্ধে পাকিস্তান সরকার ও পাকিস্তানি ভূখণ্ডকে ব্যবহার করছিল। ওই সময় আমেরিকা ও তার পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলো রাশিয়ার সাথে স্নায়ুযুদ্ধে মশগুল ছিল। সমাজতন্ত্রের প্রসার ও শেষ করার জন্যে রাশিয়া উঠে পড়ে লেগেছিল। কিন্তু রাশিয়ার এই জবরদখল মানা সম্ভব ছিল না। অতএব, মুসলমানের দরদি সেজে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সৌদি বিন লাদেনের মতো ধনী পরিবারের যুবককে ও আরো হাজার হাজার মুসলিম যুবককে অর্থ, অস্ত্র ও সমর্থন দিয়ে পাকিস্তানিদের মাধ্যমে রাশিয়াকে এক দশক পরে অর্থাৎ ১০৮৯ সালের ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তান ছাড়তে বাধ্য করল। বিন লাদেনকে যুদ্ধজয়ী-হিরো বানিয়ে জগৎ বিখ্যাত করলো। আমেরিকা মনে করেছিল সৌদি ধনাঢ্য পরিবারের যুবক ও অন্য মুজাহিদেরা তাদের গোলামি ও জি-হুজুরি করবে এবং তাদের অনুগত আরেকটি অনুগত দেশ হবে। সবকিছুই তো আর পরিকল্পনা অনুযায়ী হয় না। রাশিয়া আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার পর শেষ পর্যন্ত তাদের দৃষ্টিতে তালেবান নেতা মোল্লা ওমরের নেতৃত্বে ক্ষমতা দখল করে ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী দেশ পরিচালনা শুরু করে।

আমেরিকা দেখলো, এটা তো তাদের আদর্শের বিপরীত। আমেরিকা দেশটিকে দখল না করার জন্য যেন অনুতপ্ত হচ্ছিল। কারণ, আফগানিস্তান ভৌগোলিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে। সেখানে থেকে পাকিস্তান, ইরান, চীন, ভারত ও রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের ওপর নজরদারি করতে খুবই উপযোগী দেশ। তাই সুযোগের অপেক্ষা করছিল। বিন লাদেন যুদ্ধ জয়ের পর তার অনুসারীদেরকে নিয়ে মোল্লা ওমরের মেহমান হিসেবে আফগানিস্তানে থেকে গেল। বিন লাদেনের জন্মভূমি মুসলমানদের পবিত্র স্থান সৌদি আরবের রাজপরিবার আমেরিকার গোলামি করা এবং তাদের নানা অপকর্মের প্রতিবাদ শুরু করল। যুদ্ধের পর একবার দেশে গিয়ে আমেরিকার সৈন্য পবিত্র ভূমিতে অবস্থান করার প্রতিবাদের কারণে গ্রেফতার হয়েছিল। ছাড়া পাওয়ার পর আবার আফগানিস্তানে এসে বসবাস শুরু করলেন। আল কায়েদা নামে একটি সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তিনি। যারা বিশ্বব্যাপী আমেরিকার আধিপত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করে দিলো। আরব দেশে আমেরিকার মুসলমানদের তেল সম্পদ লুটের বিরুদ্ধে বিশেষ করে সৌদি আরবে মার্কিন সৈন্যদের অবস্থানের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু করে দিলো।

ইতোমধ্যে তালেবান শাসিত মোল্লা ওমরের সরকারের ইসলামী আইন কানুনে শাসন, আমেরিকা ও তার দোসরদের মোটেও পছন্দ ও সহ্য হচ্ছিল না। কারণ, তাদের সবার ভয় হলো আফগানিস্তানকে অনুসরণ করে যদি এই ইসলামী হুকুমাত প্রতিষ্ঠার আন্দোলন অন্যান্য দেশেও শুরু হয়ে যেতে পারে। এতে করে তাদের সাম্রাজ্যবাদী শোষণ শেষ হয়ে যেতে পারে। তাই তালেবানি হুকুমাতকে শেষ করে তাদের দালাল হিসেবে (পশ্চিমা অনুসরণকারী) কাউকে ক্ষমতায় বসাতে হবে এই চিন্তায় ও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। এছাড়াও আফগানিস্তানে মাটির নিচে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজ সম্পদ রয়েছে যা এ পর্যন্ত আফগানিরা অর্থ ও কারিগরি অভিজ্ঞতার অভাবে উঠাতে সক্ষম হয় নাই।

তাই সময় সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। শেষ পর্যন্ত আমেরিকাতে নিউ ইয়র্কসহ চারটি স্থাপনায় বিমান হামলা ঘটল যেটা সারা বিশ্বে ২০০১ সালের ৯/১১ নামে খ্যাত। আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটিতে টুইন টাওয়ারকে ধ্বংস করাসহ আরো তিনটি স্থানে বিমানের সাহায্যে আক্রমণ করা হলো। আমেরিকা নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়াই বিন লাদেনকে দোষী সাব্যস্ত করে আফগান সরকারকে বলা হলো, বিন লাদেনকে আমেরিকার হাতে হস্তান্তর করার জন্য। মোল্লা ওমরের তালেবান সরকার সাফ জানিয়ে দিলো, আফগান জাতি কোনো মেহমানকে বিনা প্রমাণে হস্তান্তর করার ইতিহাস নেই। আর যায় কোথায় কয়েক দিনের মধ্যেই সেপ্টেম্বর ২০০১ পাকিস্তানকে ভয় ও লোভ দেখিয়ে ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোকে প্রভাবিত করে আফগানিস্তানের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। আগেই রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত একটি গরিব দেশকে কয়েক দিনের মধ্যেই কোনো প্রকার প্রতিরোধ ছাড়াই বোমা আর মিসাইল মেরে তছনছ করে দিলো। তালেবান খালি হতে মহাপরাক্রমশালী শক্তির কাছে পরাজিত হয়ে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে আবার গেরিলা যুদ্ধে চলে গেল। এই যুদ্ধে অসংখ্য আলেম ও তালেবান যোদ্ধাকে অত্যাচার করে মেরে ফেলা হলো। অনেক তালেবান সদস্যকে জেলখানায় বন্দি করে রাখা হলো।

এবার আমেরিকা ও তার পশ্চিমা দোসররা গতবারের মতো ভুল করেনি। হামিদ কারজাইয়ের মতো মেরুদণ্ডহীন দালালকে ক্ষমতায় বসিয়ে ওই দেশে ঘাঁটি করে থেকে গেলো। তার পর অনেক তালেবান সদস্যকে ধরে নিয়ে গুয়ানতানামোর এক কারাগারে আটকে রাখলো। এছাড়া পাকিস্তান থেকে মুসলিমকে তালেবানকে জঙ্গি বানিয়ে জেনারেল মোশারফকে কিছু ডলার দেয়ার বিনিময়ে ধরে নিয়ে গুয়ানতানামোর বন্দীশিবিরে আটক করে রেখে দিলো। অনেক তালেবানকে বন্দী করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অঘোষিত গোপন বন্দী শিবিরে আটকে রাখা হয়।

এদিকে আমেরিকা ও তার দোসররা মনে করেছিল আফগানিস্তানে থেকে সব উদ্দেশ্য অর্জন করবে। কিন্তু বিধিবাম। যে জাতি ব্রিটিশকে নাস্তানাবুদ করে পরাজিত করেছে। রাশিয়ার মতো একটি পরাশক্তিকে পরাজিত করে অর্থনৈতিক ভাবে নাস্তনাবুদ করেছে। যে কারণে আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার কিছু দিন পরেই অর্থ-সম্পদ ও বিশাল সাম্রাজ্য হারিয়ে নিজেদের সাবেক রাশিয়া অংশটুকু নিয়ে তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে টিকে আছে।
আফগান জাতি সেই ২০০১ সাল থেকে আমেরিকা ও তার দোসরদের ঘুম হারাম করে ছাড়ছে। বর্তমানে ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা।’ তালেবানের তীব্র আক্রমণে পরাজিত হয়ে কোনো রকমে মান ইজ্জত নিয়ে বেরিয়ে যাবার জন্য পাকিস্তান আর সেই পুরনো শত্রু রাশিয়ার কাছে ধর্ণা দিচ্ছে। বারবার কাতার, তুরস্ক ও মস্কোতে তালেবানের সাথে সভা করছে তারা। হয়তো একটা মীমাংসা হয়ে যেতে পারে।

শেষ পর্যন্ত কাতারের সাহায্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাড়াহুড়া করে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার জন্য নানা চলচাতুরির মধ্যে আফগান তালেবান নেতাদের সাথে কোনোভাবে সমঝোতা করে। তারা কিছু সৈন্য ফেরত নিয়ে বাকি সৈন্য ভোটে জেতার পর ফেরত নেবে ভাবছিলেন। কিন্তু বিধিবাম তার ভাগ্যে দ্বিতীয়বার জেতা সম্ভব হলো না। যদিও তাড়াহুড়া করে সমঝোতা করে তালেবানের সাথে কিন্তু এখনো ক্ষমতাসীন গনি সরকারের সাথে তালেবান কোনো সমঝোতায় পৌঁছতে পারেনি। এ কারণে এখনো পশ্চিমাদের লাগিয়ে দেয়ায় প্রতিদিন রক্তপাত হচ্ছে। আশা করি একসময়ের শান্তির দেশ আফগানিস্তানে একটি সমঝোতা হয়ে আবার শান্তির বাতাস বইবে।
লেখক : প্রবাসী সমাজকর্মী।

email: callaziz786@yahoo.co.uk


আরো সংবাদ



premium cement
বিতর্কিত ক্যাচের ছবির ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন ‘মাশা আল্লাহ’ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি মিরসরাইয়ে অবৈধ সেগুনকাঠসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল