২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


যুদ্ধবিমান রফতানির প্রস্তাব অনুমোদন জাপানের

-

শান্তিবাদী নীতি থেকে সরে যুদ্ধবিমান রফতানির ঘোষণা দিয়েছে জাপান। ব্রিটেন ও ইতালির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি নতুন ফাইটার জেট বিমান রফতানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে দেশটির মন্ত্রিসভা। যেসব দেশের সঙ্গে জাপানের প্রতিরক্ষা চুক্তি রয়েছে এবং যেখানে চলমান কোনো সংঘাত নেই, সেইসব দেশে ফাইটার জেট বিক্রি করতে অস্ত্র রপ্তানির নিয়ম শিথিল করেছে দেশটি। চীন ও উত্তর কোরিয়া থেকে সম্ভাব্য হুমকি উল্লেখ করে ২০২৭ সাল নাগাদ সামরিক খাতে ব্যয় দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিটি ফাইটার জেট বিক্রি করতে মন্ত্রিসভার অনুমতির প্রয়োজন হবে।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে ব্রিটেন-ইতালির যৌথ উদ্যোগে টেম্পেস্ট নামের নতুন যুদ্ধবিমান তৈরির পদক্ষেপ নেয় জাপান। এই যুদ্ধবিমানগুলোতে পাইলটদের সহায়তা করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও উন্নত সেন্সর ব্যবহার করা হয়। ২০৩৫ সাল নাগাদ এই জেটবিমানগুলো মোতায়েন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য কোনো দেশের সঙ্গে এই প্রথম প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। আগামী এপ্রিলে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে এমন পদক্ষেপের ঘোষণা দিল দেশটি। এই সফরে তিনি ওয়াশিংটনের সঙ্গে টোকিওর জোট এবং প্রতিরক্ষা অংশীদারত্বে আরো জড়িত হওয়ার জন্য জাপানের প্রস্তুতির ওপর জোর দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিশিদা বলছেন, ভবিষ্যতের অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রকল্পে অংশীদার হিসেবে টোকিওর বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় রাখতে তৃতীয় দেশগুলোতে যুদ্ধবিমান রপ্তানির অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন।
জাপান সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিমাসা হায়াশি বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যেন আপস না করা হয়, তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষমতাসম্পন্ন যুদ্ধবিমান তৈরির পরিকল্পনা অবশ্যই উপলব্ধি করতে হবে।’ তবে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মিনোরু কিহারা জানিয়েছেন, রপ্তানির জন্য ‘কঠোর সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়া’ মেনে চলার মাধ্যমে জাপান ‘শান্তিবাদী দেশের মৌলিক দর্শনের’ প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র অধিকৃত জাপান একটি সংবিধান প্রণয়ন করে যেখানে বলা হয়, দেশটি যুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য কোনো বাহিনী মোতায়েন করা থেকে বিরত থাকবে।


আরো সংবাদ



premium cement