২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সুদানে সংঘর্ষের মধ্যেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ল

দেশ ছেড়ে পালাতে পারে ১০ লক্ষাধিক বেশি মানুষ
-

উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে সামরিক বাহিনীর সাথে দেশটির আধা-সামরিক বাহিনীর সঙ্ঘাত বন্ধে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়তে রাজি হয়েছে উভয় পক্ষ। আগের যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার ঠিক আগে নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার খবরের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ উভয়পক্ষ আরো পাঁচ দিনের মেয়াদ বাড়াতে সম্মত হয়। এ দিকে জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান সোমবার জানিয়েছেন সুদানে সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে দেশটি ছেড়ে পালাতে পারে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ। সুদানের যুদ্ধরত সামরিক দলগুলো সোমবার যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ আরো পাঁচ দিনের জন্য বাড়াতে সম্মত হয়েছে। অবশ্য রাজধানী খার্তুমে নতুন করে ভারী সংঘর্ষ ও বিমান হামলার পর মানবিক সঙ্কট কমানোর জন্য পরিকল্পিত এই যুদ্ধবিরতির কার্যকারিতা নিয়ে আগেই সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছিল। এর আগে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতি চুক্তি করেছিল সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনী। সোমবার সন্ধ্যায় সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে যুদ্ধরত পক্ষগুলো এটির মেয়াদ বাড়াতে সম্মত হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়।
যদিও আগের যুদ্ধবিরতি অসম্পূর্ণভাবে পালন করা হয়েছিল, তারপরও আনুমানিক ২০ লাখ মানুষকে ওই এক সপ্তাহে সহায়তা বিতরণের সুযোগ দেয়া হয়েছিল বলে দুই দেশ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে। সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরো বৃদ্ধির ফলে দুর্গতদের আরো মানবিক সহায়তা, প্রয়োজনীয় পরিষেবা পুনরুদ্ধার এবং দীর্ঘমেয়াদে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আলোচনার জন্য আরো সময় পাওয়া যাবে।’
অবশ্য যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে সুদানের বাসিন্দারা নীল নদের সঙ্গমস্থলের আশপাশে খার্তুম, ওমদুরমান এবং বাহরি সংলগ্ন তিনটি শহরেই যুদ্ধের কথা জানিয়েছিলেন। গত তিন দিনের তুলনায় সোমবার লড়াইয়ের তীব্রতা বেশি ছিল বলেও জানান তারা। গত ১৫ এপ্রিল শুরু হওয়া সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যকার এই লড়াইয়ের ফলে শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং প্রায় ১৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement