০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


জেনেভায় ১৬ জুন বাইডেন-পুতিন বৈঠক জেনেভায় ১৬ জুন বাইডেন-পুতিন বৈঠক

-

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন আগামী ১৬ জুন জেনেভায় দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। বিভিন্ন ইস্যুতে নানা রকমের টানাপড়েন ও উত্তেজনার মধ্যেই এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। হোয়াইট হাউজ ও ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বিষয়টি এরই মধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে। জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম পুতিন এবং তার মধ্যে মুখোমুখি বৈঠক হবে।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন পিসাকি একটি বিবৃতি দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছেÑ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য পুতিন ও বাইডেনের মধ্যে এই বৈঠক হতে যাচ্ছে। বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সব ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে বলে তিনি জানান। পরে তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন, বাণিজ্যিক বিমান অবতরণ করিয়ে বেলারুশের এক ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিককে আটকের বিষয়ে দেশটির সাথে আলোচনার পরিকল্পনা বাইডেনের রয়েছে। তবে এই ঘটনায় রাশিয়ার কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে বলে তারা বিশ্বাস করেন না বলে জানান পিসাকি। এর আগে বাইডেন জানিয়েছিলেন তিনি পুতিনের সাথে আলোচনায় মার্কিন নির্বাচনের রাশিয়ার হস্তক্ষেপের চেষ্টা বন্ধ করতে বলবেন। এ ছাড়া মার্কিন নেটওয়ার্কে রাশিয়া থেকে চালানো সাইবার হামলা বন্ধ, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বে রুশ হুমকি এবং ক্রেমলিনের সমালোচক আলেক্সাই নাভালনিকে মুক্তি দিতে বলবেন।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে বিবৃতি দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, কৌশলগত পরমাণু স্থিতিশীলতা এবং করোনাভাইরাসের মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই ও আঞ্চলিক সঙ্ঘাতের মতো বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করবেন। সম্ভাব্য বৈঠকের তারিখ এবং স্থান নিয়ে প্রায় মাসব্যাপী দু’পক্ষ নানান তথ্য এবং বক্তব্য আদান-প্রদানের পর জেনেভায় ১৬ জুনের বৈঠকের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।
এই মাসের শুরুতে রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেল, বৈঠক নিয়ে রুশ ও মার্কিন প্রশাসনের খুব বেশি প্রত্যাশা নেই। দুই পরাশক্তি দেশের নেতাদের বৈঠকে কোনো বিশেষ অগ্রগতি আশা করা হচ্ছে না। কারণ দুই নেতার কেউই বিরোধ মেটানোর মতো মনোভাব দেখাচ্ছেন না। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে পুতিনের সাথে বাইডেনের সম্পর্ক পুনরায় শুরু করার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। রাশিয়ার সাথে সম্পর্কোন্নয়ন করার ক্ষেত্রে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টরা এভাবে বর্ণনা করতেন। মার্কিন কর্মকর্তারা মনে করছেন, পুতিনের সাথে বাইডেনের মুখোমুখি বৈঠকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলের অবস্থা পরিবর্তনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, বাইডেনের কাছ থেকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য জানার সুযোগ পাবেন তারা।


আরো সংবাদ



premium cement