২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাশিয়ার সাথে উত্তেজনার মধ্যেই তুরস্কে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট

অস্ত্রবিরতি কার্যকর করে মীমাংসায় পৌঁছানোর তাগিদ এরদোগানের; ইউক্রেন সীমান্তে কৌশলগত ‘ইস্কান্দার’ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন রাশিয়ার
-

রাশিয়ার সাথে তীব্র সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই তুরস্ক সফরে গেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। গত শনিবার ইস্তাম্বুলে পৌঁছে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগানের সাথে বৈঠকে মিলিত হন তিনি। ইস্তাম্বুলে দুই শীর্ষ নেতার বৈঠক শেষে এরদোগান জানান, উদ্বেগজনক এই উত্তেজনা নিরসনে তার দেশ সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত রয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি বলেন, এ অঞ্চলের বিদ্যমান হুমকি এবং এসব হুমকি মোকাবেলার ব্যাপারে কিয়েভ ও আঙ্কারা একই মনোভাব পোষণ করে। দুই নেতার যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান আশাবাদ জানিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক আইন এবং ইউক্রেনের ভৌগোলিক অখণ্ডতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে কূটনৈতিক রীতিনীতির ভিত্তিতে সংলাপের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে এ সঙ্ঘাতের অবসান ঘটবে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে অস্ত্রবিরতি কার্যকর এবং শিগগিরই রাশিয়ার সাথে আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসায় পৌঁছানোর তাগিদ দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।
ইস্তাম্বুলে দুই নেতার বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার উসকানি ও সেটি মোকাবেলার উপায়। এর বাইরে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য, পর্যটন ও ক্রীড়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন এরদোগান-জেলেনস্কি। দুই প্রেসিডেন্টের বৈঠকের পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে উভয় দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এর আগে শুক্রবার রাতে এরদোগানকে ফোন করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। এ সময় এ অঞ্চলের বিদ্যমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন নেতা। পুতিনের কাছে আঙ্কারার অবস্থান স্পষ্ট করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। রুশপন্থী গেরিলাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা নিয়ে দনবাস এলাকা নিয়ে সম্প্রতি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা প্রকট আকার ধারণ করে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সমাবেশ করেছে মস্কো। রাশিয়ার পক্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধেরও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। রুশ কর্মকর্তা দিমিত্রি কোজাক-এর ভাষায়, ‘একটা গুলিও পায়ে নয়, মুখে চালানো হবে।’ এমন পরিস্থিতিতে মিত্র দেশ তুরস্কে ছুটে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
এ দিকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই তুরস্কের নিয়ন্ত্রণে থাকা বসফরাস প্রণালী ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি যুদ্ধজাহাজ কৃষ্ণসাগরে প্রবেশ করেছে। তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ৪ মে পর্যন্ত কৃষ্ণসাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ দু’টি অবস্থান করবে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এরদোগানকে ফোন করে ইউক্রেন সঙ্কট এবং কৃষ্ণসাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি নিয়ে কথা বলেন পুতিন। এ সময় এরদোগান রুশ প্রেসিডেন্টকে আশ্বস্ত করে বলেন, ইউক্রেনের সাথে সহযোগিতার অর্থ এই নয় যে, আঙ্কারা মস্কোর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, সরাসরি কোনো পক্ষ না নিয়ে তুরস্ক এ অঞ্চলে মধ্যস্থতাকারী বা শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী হিসেবে ভূমিকা পালনের চেষ্টা করছে।
ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন রাশিয়ার
এ দিকে রাশিয়ার কৌশলগত ‘ইস্কান্দার’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে বলে পার্স টুডের খবরে বলা হয়েছে। অন্য দিকে রুশ গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ইরানের ফার্স বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, রাশিয়া মার্চ মাসের শেষ দিক থেকেই ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে। বিশেষ করে ক্রিমিয়া, বোরোনোঝ ও রোস্তভ অঞ্চলে রুশ সেনাবাহিনীর তৎপরতা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, রাশিয়ার সেনাবাহিনী ভোরোনোঝ অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘ইস্কান্দার’ মোতায়েন করছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
নোয়াখালীতে প্রবাসীর স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি দেখিয়ে চাঁদা আদায় দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল দেখে না : কাদের আশুলিয়ায় বাঁশবাগান থেকে নারী পোশাক শ্রমিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার মিয়ানমারের কর্মকর্তারা ফেরত গেলেন, কিন্তু রোহিঙ্গা সঙ্কট কি আরো জটিল হচ্ছে দিনাজপুরে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, চালক-হেলপার নিহত মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ সখীপুরে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট

সকল