২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ফের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধের কাজ শুরু করেছে ইরান

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কোনো আলোচনা নয় : তেহরান
-

পারমাণবিক বোমা তৈরির পথে আরো এক পদক্ষেপ এগিয়ে গেলো ইরান। গত শনিবার আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ উসকে তেজস্ক্রিয় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজ শুরু করেছে তেহরান। নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রে ১৬৪ আইআর-৬ সেন্ট্রিফিউজের বাক্সগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে বিজ্ঞানীদের হাতে তুলে দেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। এই পদার্থ ও ইউরেনিয়ামের সংযোগে যেমন বিদ্যুৎ তৈরি করা যায়, তেমনি পারমাণবিক অস্ত্রও বানানো যায়। গত মঙ্গলবার অন্যান্য আন্তর্জাতিক পক্ষের সাথে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসে ইরান। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রকে ফের চুক্তিতে অংশীদার করা নিয়ে আলোচনা হয়।
এমন সময়ে সরাসরি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজ শুরু হওয়ায় তেহরানের উদ্দেশ্য নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বে। এ দিকে সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পরমাণু ইস্যুতে নিজ দেশের এমন অবস্থানের কথা জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদেহ। তিনি বলেন, যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত ওয়াশিংটনের সাথে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ কোনো আলোচনা চায় না ইরান। তার দাবি, অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অথবা অন্য কোথাও ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরোক্ষ কিংবা প্রত্যক্ষ কোনো আলোচনা হয়নি এবং নতুন করে এ ধরনের কোনো আলোচনার প্রয়োজনও নেই।
খাতিবজাদেহ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান আবারো আলোচনায় বসবে কিনা তা নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসার ওপর। যখন আলোচনার টেবিলে সভায় উপস্থিত থাকবে তখন আমরা আলোচনা চালাতে পারি। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত পরোক্ষ কিংবা প্রত্যক্ষ কোনো আলোচনা হবে না। ইরান পারমাণবিক অস্ত্রের দৌড়ে শামিল হলে মধ্যপ্রাচ্যে সমীকরণ সম্পূর্ণ পালটে যাবে বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি এর আগে জানিয়েছেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ খাতে সবচেয়ে বড় সাফল্য হচ্ছে আইআর-৯ সেন্ট্রিফিউজের মেকানিক্যাল পরীক্ষা। এটি ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেন্ট্রিফিজউজ। এটি ইরানিরা নিজস্ব পদ্ধতিতে তৈরি করেছেন এবং তা ভালো কাজ করছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য-যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে ইরান। সেটির শর্ত মতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি থেকে বিরত থাকে দেশটি। বিপরীতে তেহরানের ওপর থেকে বেশ কিছু আর্থিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় যুক্তরাষ্ট্রসহ চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশগুলো।


আরো সংবাদ



premium cement