মিয়ানমারের অন্তত ছয়জন এমপি দেশটির সেনাসদস্যদের হাতে আটক হওয়ার ভয়ে সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সাথে
সংশ্লিষ্ট কমিটির এক উপদেষ্টা এ তথ্য জানিয়েছেন।
অভ্যুত্থানের শুরুর দিকে মিয়ানমারের কয়েকজন পুলিশ সদস্য পরিবার-পরিজন নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। পরে নিরাপত্তারক্ষীদের অভিযান থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষজনও মিয়ানমার থেকে
পালিয়ে মিজোরামে আশ্রয় নিতে শুরু করেন।
ভারতের এক পুলিশ কর্মকর্তা দেশটিতে মিয়ানমারের আইনপ্রণেতাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করে বলেছেন, গত ফেব্রুয়ারির মধ্যভাগ থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে আসা এক হাজার ৮০০ জনের
মধ্যে তারা রয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মিয়ানমারের সিআরপিএইচ কমিটির উপদেষ্টা জানান, আইনপ্রণেতারা মিয়ানমারের চীন ও সাগাইং অঞ্চলের বাসিন্দা। তারা রাজ্য ও ফেডারেল আইন পরিষদের সদস্য।
তারা ক্ষমতাচ্যুত এনএলডির সদস্য। তিনি আরো বলেন, ‘এই মুহূর্তে এমপিরা মিয়ানমারে খুবই বিপদের মধ্যে আছেন। তাদেরকে খোঁজা হচ্ছে। সেনারা তাদের খুঁজছে।’
মিয়ানমারের আইনপ্রণেতাদের ভারতে আশ্রয় নেয়ার ঘটনায় নয়াদিল্লি কূটনৈতিক জটিলতায় পড়তে পারে। কেননা, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাথে ভারত সরকারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তবে,
ভারত প্রকাশ্যে প্রতিবেশী দেশটিতে সাম্প্রতিককালের সঙ্ঘাতের বিরোধিতা করেছে। মিয়ানমারের আইনপ্রণেতাদের ভারতে আশ্রয় নেয়ার বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি
বলেছেন, তার কাছে এ সম্পর্কে বলার মতো কোনো তথ্য নেই। বৃহস্পতিবার এক অনলাইন সংবাদ ব্রিফিংয়ে বাগচি বলেন, ‘আমি আজকেও মিয়ানমারে সঙ্ঘাতের নিন্দা জানাই। পাশাপাশি,
সেখানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমাদের সমর্থনের কথা জানাই।’
মিয়ানমারের মানবাধিকার সংগঠন এএপিপি জানিয়েছে, দেশটিতে কয়েক হাজার আটককৃতের মধ্যে দেড় শ’র বেশি এমপি ও ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি রয়েছেন। সারা দেশে
সামরিক শাসনবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে অন্তত ৬০০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে সামরিক সরকারের কারো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা