মঙ্গলগ্রহে রোবট পারসিভারেন্স প্রথমবারের মতো ২১ ফুট পথ অতিক্রম করেছে। পাঠিয়েছে লালগ্রহের বেশি কিছু ছবিও। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা তাই আশায় বুক বেঁধেছেন, এবার তারা গ্রহটির প্রাণের অস্তিত্বের খবর হয়তো জানতে পারবেন। গত বছরের ৩০ জুলাই মঙ্গলগ্রহের উদ্দেশে পৃথিবী ছেড়েছিল রোবট পারসিভিয়ারেন্স। দীর্ঘ যাত্রার পর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি লালগ্রহটির জিরো গহ্বরে অবতরণ করে রোবটটি।
অবতরণের দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরে রোবট পারসিভারেন্স পৃথিবীতে পাঠিয়েছে মঙ্গলের বেশ কিছু ছবি। তারপর যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মঙ্গলের মাটিতে নিজ চাকায় যাত্রা শুরু করল পারসিভারেন্স। ২১ ফুট পথও অতিক্রম করেছে রোবটটি। সারা দিনে এটি মাত্র ২০০ মিটার (৬৫৬ ফুট) পথ চলার ক্ষমতা রাখে। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের পাসাডেনায় অবস্থিত নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির পারসিভারেন্স ডেপুটি মিশন ম্যানেজার রবার্ট হোগ বলেন, ‘আমি গর্বিত। আমি আনন্দের সাথে জানাতে চাই, পার্সিভারেন্স লালগ্রহের যেখানে নেমেছিল, ওই স্থানের নাম দিয়েছি অক্টাভিয়া ই বাটলার ল্যান্ডিং। পারসিভারেন্সের মাস্টক্যাম-জে থেকে আমাদের বিস্তারিত পাঠানো হয়েছে। আমরা মঙ্গলের সমতল ভূমি দেখতে পেয়েছি। কিছু পাথুরে ভূমিও নজরে এসেছে। সবটাই সুপার ক্যামেরায় ধারণ করা হচ্ছে। হাই রেজুলেশন প্যানারোমা ক্যামেরাও ব্যবহার করা হচ্ছে। পারসিভারেন্স পথ চলছে ঘড়ির কাঁটার মতো বা ঘড়ির কাটার বিপরীতে।’ বিজ্ঞানীরা বলছেন, মঙ্গলগ্রহে কখনো প্রাণের অস্তিত্ব থেকে থাকলে এবার তা জানা যাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা