১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


মসজিদগুলোকে সিনাগগ-বারে রূপান্তর করছে ইসরাইল

-

টাইবেরিয়াসের অন্যতম ঐতিহাসিক নিদর্শন প্রাচীন উমারি মসজিদ। এটি মসজিদে জায়দান নামেও পরিচিত। একটি বড় গম্বুজ এবং একটি মিনারসহ মামলুক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত হয়েছে মসজিদটি। ঐতিহাসিক এই মসজিদটি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে।
ইসরাইলের আরব নাগরিকদের অধিকার আদায়ের জন্য গঠিত ‘হাই ফলোআপ কমিটির মুখপাত্র কামাল খতিব আনাদোলু এজেন্সিকে বলেছেন, ‘বেশির ভাগ ফিলিস্তিনির মতো টাইবেরিয়াসের বাসিন্দারাও নাকবার (১৯৪৮ সালের ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ) পরে সিরিয়া ও লেবাননে পালিয়ে গেছে। জায়দানি পরিবার অবশ্য সংলগ্ন শহর নাসেরেতে চলে গেছে। খতিব বলেছিলেন যে, ‘জায়দানি পরিবার ইসরাইলি কর্তৃপক্ষকে উমারি মসজিদটি সংস্কারের অনুমতি দেয়ার জন্য বলেছিল। তবে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ টাইবেরিয়াস পৌরসভা এটির সংস্কার করবে বলে যুক্তি দিয়ে তাদের সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল, কিন্তু বাস্তবে কিছুই ঘটেনি।’ তিনি বলেন, ‘মসজিদটিতে ইসরাইল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মুসল্লি এবং দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় বর্তমানে মসজিদটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে।’ সমীক্ষায় দেখা গেছে, ইসরাইলে ৪০টি মসজিদ হয় ধ্বংস, বন্ধ বা ত্যাগ করা হয়েছে। অন্য দিকে ১৭টি মসজিদকে রেস্তোরাঁ বা জাদুঘরে পরিণত করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, সাফেদের উত্তরের শহরে অবস্থিত আল-আহমার মসজিদকে একটি কনসার্ট হলে পরিণত করা হয়েছে। এ ছাড়া সিজারিয়া শহরের আল-জাদিদ মসজিদকে মদের বারে পরিণত করা হয়েছে। খতিব স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, প্রাক-নাকবা যুগে মসজিদগুলোতে নিয়মিত মুসল্লিরা নামাজ আদায় করত। নকবার পরে অবশ্য মসজিদগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছিল, বিশেষত গ্রাম অঞ্চলগুলোতে। অন্য মসজিদগুলোকে উপাসনালয়, বার, জাদুঘর, ক্যাফে বা রেস্তোরাঁয় পরিণত করা হয়েছিল।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement