০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


হায়া সোফিয়া মসজিদে রূপান্তর তুরস্কের সার্বভৌম অধিকার

অমুসলিম দেশগুলোর সমালোচনার জবাবে এরদোগান
-

অমুসলিম বিশ্বের ব্যাপক অন্যায্য সমালোচনা উপেক্ষা করে তুরস্কের ঐতিহাসিক ‘হায়া সোফিয়া’ জাদুঘরকে মসজিদ বানানোর সিদ্ধান্তে অটল দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। এ সিদ্ধান্তকে তিনি তুরস্কের ‘সার্বভৌম অধিকারের ব্যবহার’ বলে উল্লেখ করেছেন।
গত শনিবার ভিডিও কনফারেন্সে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যারা নিজ দেশে ইসলামোফোবিয়ার (মুসলিমদের ওপর ঘৃণা) বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় না তারা তুরস্কের সার্বভৌম অধিকার ব্যবহারের ইচ্ছার ওপর আক্রমণ করছে।’
প্রায় দেড় হাজার বছর আগে অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের প্রধান গির্জা (ক্যাথেড্রাল) হিসেবে হায়া সোফিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়। কয়েক শতাব্দী পর অটোমান শাসকরা এটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করেন। ১৯৩৪ সালে এটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করে তৎকালীন ধর্মনিরপেক্ষ তুর্কি সরকার। এ ছাড়া হায়া সোফিয়াকে বিশ্ব ঐতিহ্য স্থাপনা ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো।
বহুদিন ধরেই বিখ্যাত এ স্থাপনাটিকে আবারো মসজিদে রূপান্তরের কথা বলছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। বছর দুয়েক আগে সেখানে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতও করেছিলেন তিনি। হায়া সোফিয়াকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না বলে গত শুক্রবার রায় দিয়েছেন তুরস্কের একটি আদালত। এর কিছুক্ষণ পরেই স্থাপনাটিকে আবারো মসজিদে রূপান্তরের ঘোষণা দেন এরদোগান। এর পরপরই অন্তত ৮৬ বছর পর ফের আজান দেয়া হয় হায়া সোফিয়ায়।
অমুসলিম বিশ্বের নাক গলানো
ইস্তাম্বুলের হায়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরিত করাকে উসকানিমূলক পদক্ষেপ মন্তব্য করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে গ্রিস, দুঃখ প্রকাশ করেছে ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্রও এ ঘোষণায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার গ্রুশকো বলেছেন, তুরস্কের এই সিদ্ধান্তের জন্য দুঃখপ্রকাশ করছে মস্কো। ওয়ার্ল্ড কাউন্সিল অব চার্চ এরদোগানের কাছে লেখা এক চিঠিতে হায়া সোফিয়াকে মসজিদ বানানোর উদ্যোগে দুঃখ ও হতাশা প্রকাশ করেছে। অমুসলিম নেতাদের এসব সমালোচনায় পাত্তা না দিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, হায়া সোফিয়া সব ধর্মের মানুষের জন্যই উন্মুক্ত থাকবে।


আরো সংবাদ



premium cement