১৭ মে ২০২৪, ০৩ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫
`


চিলির নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান

-

চলতি সপ্তাহে বিমান বাহিনীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গেছে বলে মনে করছেন চিলির কর্মকর্তারা।
যেখান থেকে গতসোমবার সি-১৩০ পরিবহন উড়োজাহাজটি শেষবার যোগাযোগ করেছিল তার ৩০ কিলোমিটার দূরে ধ্বংসাবশেষ ভাসমান অবস্থায় খুঁজে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
ড্রেইক পাসেজ নামক একটি জলভাগে ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত হয়েছে। বিমানটি ৩৮ জন আরোহী নিয়ে চিলির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর পুনতা আরেনাস থেকে অ্যান্টার্কটিকায় দেশটির ‘প্রেসিডেন্ট এদুয়ার্দু ফ্রেই মনতালভা’ ঘাঁটিতে যাচ্ছিল। বুধবার চিলির বিমান বাহিনীর কমান্ডার এদুয়ার্দু মসকেইরা সাংবাদিকদের বলেন, ‘খুঁজে পাওয়া ধ্বংসাবশেষটি অভ্যন্তরীণ জ্বালানি ট্যাংকের স্পঞ্জের অবশিষ্টাংশের অংশ হতে পারে।’
ওই ধ্বংসাবশেষটি নিখোঁজ বিমানেরই অংশ কি না, তা নিশ্চিত করতে বিমান বাহিনী ‘আনুষঙ্গিক পরীক্ষা’ করবে বলে জানান তিনি। পুনতা আরেনাস থেকে রওনা হওয়ার অল্প কিছুক্ষণ পর সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৩ মিনিটে সি-১৩০ বিমানটির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
চিলির বিমান বাহিনী বিমানটির যাত্রাপথের একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে ওই দিনই সন্ধ্যা ৭টা ১৭ মিনিটের দিকে বিমানটির ‘প্রেসিডেন্ট এদুয়ার্দু ফ্রেই মনতালভা’ ঘাঁটিতে পৌঁছানোর কথা ছিল। বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার পরপরই আকাশ ও সাগরপথে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়। ড্রেক পাসাজের বরফময় পানিতে চালানো এই তল্লাশি অভিযানে সাহায্য করতে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ব্রিটেন ও উরুগুয়ে বিমান পাঠিয়েছে। বিমানটির যাত্রীদের মধ্যে চিলির সেনাবাহিনীর তিন কর্মকর্তা, দু’জন বেসামরিক কর্মী, একজন শিক্ষার্থী ও বিমান বাহিনীর ১৫ জন সদস্য ছিলেন। বিমান বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে ৩৭ বছর বয়সী এক নারী ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement