২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


চট্টগ্রাম নগরীতে খাল খনন উদ্বোধন

সুশাসন ছাড়া উন্নয়ন অর্থবহ হয় না : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

-

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে ফিরে এসে ঘোষণা করেছিলেন এত ধ্বংস ও মৃত্যুর পরও যে মাটি ও মানুষ পেয়েছি তা দিয়েই সোনার বাংলা গড়ে দুখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পিতার প্রত্যয় অনুযায়ী মাটি ও মানুষের সমন্বয়ে দেশকে বিশে^ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। তিনি আরো বলেন, সুশাসন ছাড়া কোনো উন্নয়ন অর্থবহ ও জনকল্যাণমুখী হয় না। জনগণের আকাক্সক্ষা, চাওয়া-পাওয়ার সঠিক প্রতিফলনই হলো প্রকৃত, সুদূরপ্রসারী ইতিবাচক উন্নয়ন। এই সত্যটা জনপ্রতিনিধিদের উপলব্ধি করে জনগণের সাথে মিশে যেতে হবে।
তিনি গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডে বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে আমবাগান সড়ক উন্নয়ন শেষে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে যখন ব্রতী হয়েছিলেন তখন খুব বেশি সময় তিনি পাননি। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট তাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর ২১ বছর দেশ পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত হয়েছে এবং আমরা গোলামে পরিণত হয়েছিলাম। এখন আমরা মুক্ত হয়েছি এবং বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম সারা দেশের অর্থনৈতিক হৃৎপিণ্ড এবং সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের স্বর্ণদুয়ার। এই সত্যটিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপলব্ধি করেন বিধায় চট্টগ্রামে একাধিক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন এবং করতে যাচ্ছেন।
এসব প্রকল্প চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক গুরুত্বকে বাড়াবে এবং তার ব্যাপ্তি জাতীয় স্তর পেরিয়ে বৈশি^কপর্যায় পর্যন্ত প্রসারিত হবে। তিনি সিটি করপোরেশনকে নিজেদের আয় বৃদ্ধির নতুন নতুন উপায় অন্বেষণ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন।
চসিক মেয়র মো: রেজাউল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দীন আহমদ। বক্তব্য রাখেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল আলম, প্যানেল মেয়র মো: গিয়াস উদ্দিন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম আশরাফুল আলম, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, মো: ইসমাইল, সংরক্ষিত কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা, শাহিন আক্তার রোজী, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, আবু সিদ্দিক। উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম।
সভাপতির বক্তব্যে চসিক মেয়র মো: রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমাদের সীমিত আয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও ব্যয় নির্বাহ করতে হিমশিম খেতে হয়। তাই সরকারি থোক বরাদ্দ না থাকলে উন্নয়ন থেমে থাকবে। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের সেবা সংস্থাগুলোর সকল কাজের সমন্বয়ের দায়িত্ব প্রদান বড় কথা নয়, এতে কাজের কাজ কিছুই হয় না। তাই প্রয়োজন আইনগত ক্ষমতা দেয়া। মেয়র জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্পে নগরীর ৩৬টি খালকে অন্তর্ভুক্ত করা হলে যে খালগুলো এর বাইরে রয়েছে সেগুলোকে পুনরুদ্ধার ও খননের জন্য সিটি করপোরেশনকে দায়িত্ব ও প্রকল্প না দেয়া পর্যন্ত নগরীতে শতভাগ জলাবদ্ধতা নিরসন হবে না।


আরো সংবাদ



premium cement