চীন-পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাণিজ্য অস্ত্র ব্যবহারের চিন্তা ভারতের
- কলকাতা ২৪
- ০৪ জুলাই ২০২০, ০০:৫৬
পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনা বাহিনীর হাতে এক কর্মকর্তাসহ ২০ জনের বেশি ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনায় সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। চীনকে উচিত জবাব দিতে মরিয়া ভারত লাদাখে বিপুল অস্ত্র ও সেনা মোতায়েন করেছে। পিছু হটার পাত্র নয় চীনা লাল ফৌজ, তারাও সীমান্তে সৈন্য বৃদ্ধি করে আরো অনড় অবস্থানে। ফলে রক্তক্ষয়ী সঙ্ঘাত অনিবার্য বলে মনে করছেন অনেকেই।
তবে এমন পরিস্থিতে মোদি সরকার শুধু সামরিক ভাষায় নয়, কঠোর বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ আরোপ করে চীনকে শিক্ষা দেয়ার বিকল্প কৌশল নিয়েও ভাবছে। এরই মধ্যে বিকল্প এই প্রস্তাবকে সামনে রেখে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা শুরু করেছে নয়াদিল্লি। নির্দিষ্ট কিছু দেশের কম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে এই নিয়ম লঘু হতে চলেছে বলেও জানা গেছে। সঠিকভাবে প্রয়োগ এবং তার প্রভাবও দেখা হবে। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
এই প্রস্তাব যদি সর্বসম্মতিতে পাস হয় তাহলে তা ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র আওতায় পাবলিক প্রোকিউরমেন্ট অর্ডার ২০১৭ আওতায় আসবে। উচ্চপর্যায়ে এই আলোচনা বিশেষ নজর দিয়ে দেখা হচ্ছে। অতি স্পর্শকাতর এই বিষয়ে বিভিন্ন ফলাফল থাকতে পারে এবং চীনের সাথে সামগ্রিক কূটনৈতিক সম্পর্ককে মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ৫৯টি চীনা অ্যাপ্লিকেশনকে ব্লক করেছে ভারত সরকার।
চীনের সাথে সীমান্ত সঙ্ঘাত নিরসনে একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকেও কোনো সুরাহা মেলেনি। এমন পরিস্থিতিতে শেষ নিদান ‘বাণিজ্য অস্ত্র’ ব্যবহারের কথা বিবেচনা করছে নয়াদিল্লি। তবে এর ফলাফল কতটা ভয়ানক হতে পারে সেটা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা