২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফ্রিজে রাখা এক বছরের পুরনো নুডলস খেয়ে ৯ জনের মৃত্যু

ফ্রিজে রাখা এক বছরের পুরনো নুডলস খেয়ে ৯ জনের মৃত্যু - ছবি - সংগৃহীত

ফ্রিজের এককোণে পড়েছিল নুডলস। দু-একদিন নয়, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রাখা ছিল সে নুডলস। পরিবারের কর্ত্রী প্রাণ ধরে ফেলতে পারেননি। এক বছর পর কী মনে করে সেই নুডলস দিয়েই বানিয়েছিলেন সুস্বাদু সুয়ানতাঞ্জি (বিশেষ একধরনের চিনা স্যুপ)। নিজে তো খেয়েই ছিলেন। রাতে টেবিলে পরিবারের বাকি সদস্যদেরও তা পরিবেশন করেন কর্ত্রী। এ ক্ষেত্রে পরিণতি যা হওয়ার ছিল , তাই হয়েছে। খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের ৯ জনের। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে চীনের উত্তর-পূর্ব প্রদেশ হিলংজিয়াংয়ের জিক্সি শহরে।

চিকিত্‍‌সকেরা জানান, গাঁজানো কর্ন ফ্লাওয়ার থেকে তৈরি হয় নুডলস। সেটি ফেলে রাখায় বংগ্রেকিক নামে বিশেষ ধরণের এক অ্যাসিড তৈরি হয়েছিল। সেই অ্যাসিডই পরিবারে মৃত্যু ডেকে আনে।

ইংল্যান্ডের ডেইলি স্টার পত্রিকার সূত্রে খবর, বিষাক্ত সুয়ানতাঞ্জি খাওয়ার পাঁচ দিনের মাথায়, ১০ অক্টোবর মৃত্যু হয় পরিবারের সাত সদস্যের। এর দু'দিন পর অষ্টম ব্যক্তি মারা যান। অবশেষে সোমবার মৃত্যু হয় অসুস্থ হয়ে পড়া পরিবারের নবম ব্যক্তি লি'র। লি নামের এই মহিলাই নুডলস পরিবেশন করেছিলেন।

ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই চীনের স্বাস্থ্য কমিশন এ বিষয়ে একটি সতর্কতা জারি করে। এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেয়া হয়।

সৌভাগ্যবশত, পরিবারের তিনটি বাচ্চাই ওইদিন কর্ন নুডলস দিয়ে তৈরি ওই খাবার খেতে অস্বীকার করে। সুয়ানতাঞ্জি স্যুপ তাদের অপছন্দের বলেই মুখে তোলেনি। তাই তারা বেচে গিয়েছে। হিলংজিয়াং সেন্টার ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন-এর খাদ্য সুরক্ষা কর্ককর্তা ফাই চীন নিউজ সার্ভিসকে জানান, বংগ্রেকিক অ্যাসিডের বিষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শরীরের পক্ষে মারাত্মক হতে পারে।

তিনি জানান, গাঁজানো খাবার খাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বংগ্রেকিক বিষক্রিয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়। পেটেব্যথা, অতিরিক্ত ঘাম, দুর্বলতা থেকে অসুস্থ ব্যক্তি কোমায় পর্যন্ত চলে যেতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এর বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হতে পারে। তার কারণ, এই অ্যাসিড লিভার, কিডনি, হার্ট ও ব্রেনের মতো গুরুত্বপূর্ণ অরগ্যানগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

গাও ফাইকে কোট করে ডেইলি স্টার জানাচ্ছে, এই ধরনের খাদ্য বিষক্রিয়ায় কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষেধক ওষুধ নেই। তাই শরীরে একবার এর বিষক্রিয়া হলে মৃত্যুহার ৪০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। গাঁজানো নারকেল থেকেও এই অ্যাসিড তৈরি হয়। এই ভয়ানক বিষক্রিয়ার কারণেই কয়েক বছর আগে ইন্দোনেশিয়ার একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
বিতর্কিত ক্যাচের ছবির ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন ‘মাশা আল্লাহ’ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি মিরসরাইয়ে অবৈধ সেগুনকাঠসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল