২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এভারেস্টে ‘ট্রাফিক জ্যামে’ বাড়ছে লাশের সংখ্যা

- ছবি : সংগৃহীত

গত এক সপ্তাহে হিমালয়ের চূড়ায় সাতজন পর্বতারোহী মারা গেছেন। সেখানে গত এক বছরে এর চেয়ে কম মানুষ মারা গেছেন। সর্বশেষ তিনজন পর্বতারোহী পর্বতারোহণের ধকল সামলাতে না পেরে মারা গেছেন। মাত্র কয়েকদিন আগেই রেকর্ড সংখ্যক পর্বতারোহী উঠেছেন হিমালয়ের চুড়ায়।

যদিও পর্বতারোহণে আগ্রহীদের অনুমতি দেবার হার কমানোর জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই আহ্বান জানিয়ে আসছে পরিবেশবাদী বেশ কিছু গ্রুপ। কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েকটি মৃত্যুর পর নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কেন হিমালয় চূড়ায় ভিড় বাড়ছে?

কেন এভারেস্ট এবং হিমালয়ের অন্য শৃঙ্গগুলোয় ভিড় বাড়ছে?
গত সপ্তাহে যখন প্রথম দুর্ঘটনা ঘটে, সে সময়ই নির্মল পুরজা নামে একজন পর্বতারোহীর তোলা এক ছবিতে দেখা যায়, হিমালয়ের শীর্ষে আরোহণের দীর্ঘ সারি, যেখানে পর্বত চূড়ার বিপজ্জনক ও কঠিন পরিবেশে মানুষ কষ্ট করে ওপরে উঠছে।

পুরজার ওই ছবি সারা পৃথিবীর নজর কাড়ে যখন সাতজন পর্বতারোহীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। তবে এবারই প্রথম নয়, ২০১২ সালেও একজন জার্মান পর্বতারোহীর তোলা ছবিতে দেখা গিয়েছিল চূড়ায় ওঠার দীর্ঘ সারি।

ভিড় বাড়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষের কাছে পর্বতারোহণের জনপ্রিয়তা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তাদের সকলের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ যেমন নেই, অনেকেরই আবার সেই শারীরিক সামর্থ্যও নেই। আর এমন প্রস্তুতি-হীন অবস্থায় যারা আসে, নিজেদের সঙ্গে সঙ্গে তারা তাদের শেরপার জীবনও বিপন্ন করে তোলে।

এমন ভিড় কি স্বাভাবিক?
গাইডদের হিসেব অনুযায়ী, হ্যাঁ। পর্বতারোহণের মৌসুমে এমনই ভিড় হয় সেখানে। সঙ্গে আবহাওয়া কেমন থাকবে তার ওপরেও নির্ভর করে ভিড় কেমন হবে। অর্থাৎ যদি শীর্ষে চড়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় পান পর্বতারোহীরা তাহলে এত ভিড় হয় না। কিন্তু যদি দুই বা তিনদিনের মধ্যে চূড়ায় উঠতে হয়, তাহলে ভিড় যেমন বেশি হয়, তেমনি বিপদের শঙ্কাও বাড়ে।

কারণ কোন কোন শৃঙ্গ এমন ভয়াল যে তাতে যে কোন দুর্ঘটনার মুখে পড়েন পর্বতারোহীরা। এ মৌসুমে বিশ্বের স্বচ্ছ পর্বতের চূড়ায় আরোহণের জন্য নেপাল ৩৮১টি পারমিট দিয়েছে। প্রতিটি পারমিট অর্থাৎ প্রতিজন পর্বতারোহীকে এজন্য ১১ হাজার মার্কিন ডলার গুনতে হয়েছে।

এভারেস্টে এই ভিড় কতটা বিপজ্জনক?
১৯৯২ সালে এভারেস্ট চূড়ায় উঠেছিলেন দুজমোভিত বলছেন যে, এটা যথেষ্টই বিপজ্জনক। কারণ যারা লাইনের পেছনে অপেক্ষা করতে থাকে, তাদের অক্সিজেনের ঘাটতি হবার সম্ভাবনা থাকে। এবং যখন বাতাসের গতিবেগ অনেক বেশি থাকে, তখন অক্সিজেন ছাড়া নিঃশ্বাস নেয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তখন দ্রুত শরীরের তাপমাত্রা নেমে যেতে শুরু করে। অনেকে এ থেকেই প্রথমে অসুস্থ হয়, পরে কেউ কেউ মারাও গেছেন।

এভারেস্টে মৃত্যুর হার কেমন?
রেকর্ড বলছে এই পর্বতশৃঙ্গ জয় করতে গিয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন প্রায় তিন শত মানুষ। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যদিও এই মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে, তবে মৃত্যুর হার- অর্থাৎ যারা বেস ক্যাম্পের ওপরে আরোহণের সময়ে মারা গেছেন তাদের অনুপাত শতকরা এক শতাংশ।

২০১০ সাল পর্যন্ত, এভারেস্টে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল মাত্র ৭২ জন। এসব মৃত্যুর বেশিরভাগ ঘটেছে তুষার ধস বা পতনের কারণে, আর এসব কারণ লাশ উদ্ধারেও বাধা সৃষ্টি করে।

এসব মৃত্যুর কারণ কী?
একজন পর্বতারোহী পর্বত আরোহণ সংক্রান্ত শারীরিক সমস্যার কারণে মারা যেতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাকিউট মাউন্টেন সিকনেস, যার ফলে মাথা ঘোরা, বমি এবং মাথা ব্যথা হবে একজন পর্বতারোহীর। পেশাদার পর্বতারোহীদের মতে এভারেস্ট শৃঙ্গে আরোহণ হিমালয়ের অন্যান্য অংশের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ।

এক্ষেত্রে প্রচলিত রুট ব্যবহারের পরামর্শ দেন তারা। কারণ সে পথে পর্বতারোহণের জন্য প্রচুর অবকাঠামো রয়েছে, বিশ্রামের জায়গা আছে। আর বিপদে পড়লে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধারের সুবিধাও রয়েছে। যে কারণে এসব রুটে কোন পর্বতারোহী বিপদে পড়লেও মারা পড়ার সুযোগ কম। বিবিসি।


আরো সংবাদ



premium cement
জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে বিশ্বকে চমকে দিলো ভানুয়াতু বিতর্কিত ক্যাচের ছবির ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন ‘মাশা আল্লাহ’ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি মিরসরাইয়ে অবৈধ সেগুনকাঠসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু

সকল