২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

‘চুক্তি পুনরুজ্জীবনে ইরান ও বিশ্বশক্তি কাছাকাছিই রয়েছে’

ভিয়েনায় পরমাণু সমঝোতায় আলোচনা - ছবি : আনাদোলু এজেন্সি

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ‍ও নিরাপত্তা বিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেফ বোরেল বলেছেন, ২০১৫ সালে ইরানের সাথে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবনে ঐক্যমতের কাছাকাছি রয়েছে তেহরান ও বিশ্বশক্তি।

শনিবার কাতারের রাজধানী দোহায় চলমান দোহা ফোরাম ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে এই মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে গত বছরের এপ্রিল থেকে ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবনে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় ইরানের সাথে ব্রিটেন, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া ও জার্মানি আলোচনা শুরু করে।

এর আগে চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ায় ইরান যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধির সাথে আলোচনায় বসতে অস্বীকার করেছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল আলোচনায় পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করছে।

আলোচনায় কাছাকাছি পৌঁছালেও এর মধ্যে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দাবি করেছে যে, ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে ইরানের সাথে এর ব্যবসায় যেন তার প্রভাব ফেলা না হয়।

এদিকে শুক্রবার ইরানের সাথে পরমাণু সমঝোতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান আলোচক এনরিকা মোরা জানিয়েছেন, শনিবার তিনি ইরানের প্রধান আলোচকের সাথে সাক্ষাতের জন্য তেহরান সফরে যাচ্ছেন।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি বাস্তববাদী আচরণ করতো, তবে অল্প সময়েই চুক্তিতে পৌঁছা সম্ভব হতো।
১৯৭০ এর দশকে রাজতান্ত্রিক শাসনে ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় প্রথম পরমাণু প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর এই প্রকল্প থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে দাঁড়ালেও ইরান প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রাখে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শক্তি ইরানের পরমাণু প্রকল্পের মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টার জন্য দেশটিকে অভিযুক্ত করে আসছিলো। ইরানকে ‘পরমাণু অস্ত্র অর্জনে বাধা দিতে’ দেশটির ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয়া হয়েছিলো।

ইরান সবসময়ই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। তেহরানের দাবি, তাদের পরমাণু কর্মসূচির উদ্দেশ্য সম্পূর্ণভাবে শান্তিপূর্ণ।

ইরানের সাথে পরমাণু সমঝোতায় বিভিন্ন সময়ই বিশ্বশক্তির আলোচনা হয়।

২০১৫ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যস্থতায় ভিয়েনায় ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স ও জার্মানি পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করে। জয়েন্ট কম্প্রেহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন বা সংক্ষেপে জেসিপিওএ নামে পরিচিত এই চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। এর বিনিময়ে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করতে সম্মত হয়।

তবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নিয়ে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেন। যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে ইরান চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে সীমিত পরমাণু কর্মসূচি জোরদার করে।

বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তিনি জানিয়েছেন, ইরানকে আগে তার পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে আসতে হবে। অপরদিকে ইরান আগে দেশটির ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি করছে।

যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করায় নতুন করে শুরু হওয়া পরমাণু আলোচনায় তেহরান ওয়াশিংটনের কোনো প্রতিনিধির সাথে বৈঠকে অস্বীকার করেছে।

সূত্র : রয়টার্স


আরো সংবাদ



premium cement
বিচারকের আসনে জয় চৌধুরী হামাস ও ফিলিস্তিনি গ্রুপগুলোর মধ্যে ঐক্য আলোচনার আয়োজন করছে চীন গফরগাঁওয়ে রাজিব হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার ও বিচার দাবি লক্ষ্মীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আটক টিভিতে বিব্রতকর সাক্ষাৎকারের পর অবস্থান পাল্টালেন বিএনপি নেতা শ্বশুরের ঘর থেকে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রির কাছে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদানে অধ্যক্ষ-চেয়ারম্যান গ্রেফতার আবারো পিএমএল-এনের সভাপতি হচ্ছেন নওয়াজ শরিফ বিষখালী নদী থেকে ২২ ঘণ্টা পর নিখোঁজ জেলের লাশ উদ্ধার ৩ জেলায় বয়ে যাচ্ছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ

সকল