২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বোমা পড়তেই তারা বলেন : আল্লাহু আকবার

বোমা পড়তেই তারা বলেন : আল্লাহু আকবার - ছবি : ইয়েনি সাফাক

বিশ্বে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ব্যস্ত পশ্চিমা শক্তিরা গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের স্বৈরাচারী অত্যাচার ও নিপীড়ন দেখে না। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিদের প্রতিবেশী আরব দেশগুলোও লিপ্ত হয়েছেন নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থকেন্দ্রিক দ্বন্দ্ব ও সঙ্ঘাতের আবর্তে। নিজেদের প্রভাব বিস্তার আর ক্ষমতার দ্বন্দ্বে তারা এখন নিজেরাই পরস্পরের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে ধরছেন। সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন ও লেবাননে চলছে এক ধরণের ক্ষমতার লড়াই। সামান্য রাজনৈতিক স্বার্থে আরবের কয়েকটি মুসলিম দেশ তাদের শত্রু রাষ্ট্র ইসরাইলের সাথেও আঁতাত করছে।

এমন অস্থির আঞ্চলিক সমীকরণের পূর্ণ ফায়দা তুলছে ইসরাইল। তারা আক্রমণ করে যাচ্ছে গাজায় ও পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের। দখল করা হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের ভূমি। মসজিদুল আকসারও দখল নিতে চাইছে তারা। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন ফিলিস্তিনিদের ওপর তাদের অত্যাচার বাড়িয়ে দিয়েছে। দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের পরিবর্তে চলছে সমগ্র ফিলিস্তিনকে দখল করার চেষ্টা। এসব অপকর্মে বিরুদ্ধে কথা না বলে পশ্চিমারা যেন নীরব সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে এ জায়নবাদী রাষ্ট্রটিকে।

যখন বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর শাসকরা আর তাদের মিডিয়া নিপীড়িত ও নিঃস্ব মানুষদের পাশে না দাড়িয়ে শোষক ও অত্যাচারকে সমর্থন করে। তারা গরিব আর অসহায়দের সাহায্য করার বদলে গরিবের রক্তচোষা ধনীদের মদদ যুগিয়ে যায়। তখন আল্লাহ ও তার বিধানের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রাখা ছাড়া আর কোনো সমাধানই থাকে না এসব মজলুম ও নিঃস্ব মানুষদের। কারণ একমাত্র আল্লাহর করুণা ও তার আইনই পারে মজলুমদের রক্ষা করতে। ঘটনাচক্রে এমনই দৃশ্যর দেখা মিলেছে ফিলিস্তিনের গাজায়।

ফিলিস্তিনের গাজায় ওপর যখন মুহুর্মুহু ইসরাইলি রকেট হামলা আর উপর্যুপরি বোমার্ষণ চলছে। তখন একটি পরিবারের নারী,পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা তাদের ঘরের এক কোণে অবস্থান নিয়েছেন। যখনই তাদের বাড়ির মধ্যে রকেট ও বোমার আঘাত আসছে, তারা আল্লাহু আকবর বলে শুধু ওই আল্লাহকেই স্মরণ করছেন; যিনি সমগ্র সৃষ্টির মালিক আর সবার জীবন ও মৃত্যু দানকারী। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, অনেক বোমা আর রকেট হামলার মধ্যেও তারা বেঁচে গেছেন। এটা আল্লাহর করুণা ছাড়া সতিই অসম্ভব ছিল।

ইসরাইলের নির্মম অবরোধের কারণে গাজা উপত্যকার ৫০ শতাংশ মানুষ আজ বেকার। মিসর আর ইসরাইলের অবরোধে গাজা এখন এক উন্মুক্ত কারাগার। গাজা উপত্যকার অধিবাসীদের মাসের পর মাস বিদ্যুৎ বিচ্ছিন করে রাখা হয়েছে, সুপেয় নিরাপদ পানির অভাবে রাখা হয়েছে। সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলেও ইসরাইলি নৌবাহিনী তাদের বাধা দেয়। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বিমান থেকে বোমা ফেলে আর ট্যাংক থেকে গোলা বর্ষণ করে এ গাজা ইপত্যকার অবকাঠামোগুলো আর বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত করে দিয়েছে। বাস্তবিকভাবেই এ গরিব, অসহায় ও অত্যাচারিত গাজাবাসীদের পাশে কেউ নেই, তাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।

সূত্র : ইয়েনি সাফাক, আনাদোলু এজেন্সি


আরো সংবাদ



premium cement