৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উপসাগরীয় দেশগুলোর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ

উপসাগরীয় দেশগুলোর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ - প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পারস্য উপসাগরীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলভুক্ত (জিসিসি) দেশগুলোতে নতুন করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাসহ বিবিধ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

জিসিসির বৃহত্তম দেশ সৌদি আরবের আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে চলমান নিষেধাজ্ঞা আগামী ১৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে ১৭ মে থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলেও ২০টি দেশের সাথে বিমান যোগাযোগ চালু করছে না দেশটি।

অবশ্য সৌদি নাগরিক, কূটনীতিক, স্বাস্থ্যকর্মী ও তাদের পরিবারকে এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ২০ দেশ হলো আর্জেন্টিনা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, জাপান, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, পাকিস্তান, ব্রাজিল, পর্তুগাল, ব্রিটেন, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, লেবানন ও মিসর।

এই নিষেধাজ্ঞা অন্য দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে যারা এই ২০ দেশে সৌদি আরবে প্রবেশের ১৪ দিন পূর্বে কাটিয়ে এসেছে।

এছাড়া সৌদি আরবে আসার আগে প্রত্যেককে করোনা পরীক্ষার পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রেজাল্ট অর্জন করতে হবে। এই পরীক্ষা দেশটিতে আসার ৭২ ঘণ্টা আগেই করতে হবে।

নতুন করে এই নিয়মটি আগামী বৃহস্পতিবার থেকে চালু হতে যাচ্ছে।

এদিকে কুয়েত গত ফেব্রুয়ারি থেকেই করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশীদের দেশটিতে প্রবেশে নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা চালু করে রেখেছে।

২১ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হওয়া ওই ব্যবস্থার আওতায় কুয়েতে যাওয়া সব সফরকারীকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হোটেলে সাত দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার বাধ্যবাধকতা করা হয়েছে। কোয়ারেন্টিন শেষে সফরকারীকে দেশটিতে প্রকাশ্যে আসতে আরো সাতদিন অপেক্ষা করতে হয়।

করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণে শুক্রবার থেকে ভারতে পরবর্তী নির্দেশ না পর্যন্ত সব ধরণের বাণিজ্যিক বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কুয়েত। কুয়েতে প্রবেশের ১৪ দিন আগে ভারত থেকে সফর করে তৃতীয় কোনো দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রেও একই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য থাকবে বলে কুয়েতি কর্তৃপক্ষ জানায়।

জিসিসিভুক্ত অপর দেশ ওমানে ২৪ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশনা দেয়া না পর্যন্ত ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে যাত্রীবাহী বিমান চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এই তিন দেশে ওমানে প্রবেশের ১৪ দিন আগে কেউ কাটিয়ে আসলেও তার ক্ষেত্রে এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে। তবে ওমানি নাগরিক, কূটনীতিক, স্বাস্থ্যকর্মী ও তাদের পরিবার নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবেন।

অপরদিকে কাতার দেশটিতে সফরকারীদের জন্য নিজস্ব 'গ্রিন লিস্ট' নীতি গ্রহণ করেছে। প্রতি দুই সপ্তাহ অন্তর এই 'গ্রিন লিস্ট' ভুক্ত দেশগুলোর বিষয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

গ্রিন লিস্টভুক্ত দেশগুলো থেকে আসা সফরকারীদের আবশ্যিকভাবে করোনা সংক্রমণ পরীক্ষা করতে হয় এবং এক সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়। ষষ্ঠ দিনে আবার তাদের পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার রেজাল্ট পজিটিভ হলে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে স্থানান্তর করা হয়। অপরদিকে নেগেটিভ হলেও সপ্তম দিনেই তারা নির্ধারিত কোয়ারেন্টিন শেষ করতে পারেন।

জিসিসির ক্ষুদ্রতম দেশ বাহরাইনে সফরের ক্ষেত্রে সবাইকেই করোনা সংক্রমণ পরীক্ষায় পিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলকভাবে করতে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে নির্দেশনা রয়েছে। বাহরাইনে প্রবেশের পরপরই প্রথম পরীক্ষা, পাঁচদিন পর দ্বিতীয় পরীক্ষা এবং দশম দিনে তৃতীয় শেষ পরীক্ষা করিয়ে নিতে হয়।

এছাড়া মঙ্গলবার থেকে চালু হতে যাওয়া নতুন বিধান অনুসারে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত থেকে আসা সফরকারীদের বাহরাইনে প্রবেশের ৪৮ ঘণ্টা আগেই করোনা সংক্রমণ পরীক্ষা করে নেগেটিভ রেজাল্ট অর্জনের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।

সূত্র : সিয়াসত ডেইলি


আরো সংবাদ



premium cement