২২ মে ২০২৪, ০৮ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলকদ ১৪৪৫
`


মধ্যপ্রাচ্যে যথেষ্ট দুর্বল হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, প্রভাব বেড়েছে ইরানের

মধ্যপ্রাচ্যে যথেষ্ট দুর্বল হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, প্রভাব বেড়েছে ইরানের - সংগৃহীত

ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে তেহরানের প্রভাব রুখতে যেই জোট গঠন করেছে উপসাগরীয় আরব দেশগুলো, সেই উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) কাতার সঙ্কটের কারণে এখন অনেক বেশি বিভাজিত ও দুর্বল। ইতোমধ্যেই সামরিক মহড়া সীমিত করতে বাধ্য হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইতোমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্য সফরে গিয়ে কাতারের ওপর আরোপিত অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে এসেছেন।

জিসিসি গঠিত হয়েছে ৬টি সদস্যরাষ্ট্রের সমন্বয়ে: বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। গত বছরের ৫ই জুন একযোগে কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে বাহরাইন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর।

কাতারের ওপর অবরোধ আরোপিত হলে কাতার ইরানের সাথে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করে, সম্পর্ক ভালো হয়। সংকট শুরুর সঙ্গে সঙ্গে কাতার এয়ারওয়েজের জন্য নিজের আকাশসীমা খুলে দিয়েছে ইরান, দোহায় পাঠিয়েছে খাদ্যসামগ্রী। যুক্তরাষ্ট্র ইরান পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার পরও, কাতার একটুও নতি স্বীকার করেনি। জিসিসিকে সবসময়ই ইরানের আঞ্চলিক প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখা হতো। মার্কিন সামরিক বাহিনীর জন্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ভাবা হতো এই জোটকে।

বাহরাইনে যেমন মার্কিন নৌবাহিনীর পঞ্চম বহর অবস্থান করছে। কুয়েতে রয়েছে মার্কিন সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ড। মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে রয়েছে আমেরিকান যুদ্ধবিমান, ড্রোহ ও সেনা। দুবাইর জেবেল আলি বন্দর হলো মার্কিন নৌবাহিনীর ব্যস্ততম বৈদেশিক বন্দর। কাতারের প্রকান্ড আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে রয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড।

ওমানে কোনো মার্কিন সেনা নেই। তবে দেশটি নিজের বিমান ঘাঁটি ব্যবহার করতে দেয় মার্কিন বাহিনীকে। ইরানের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে মার্কিন ও পশ্চিমা কূটনীতিকদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবেও কাজ করে ওমান। সৌদি আরব আবার ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ওপর নির্ভরশীল।

আশির দশকে পারশ্য উপসাগরে মার্কিন স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনে বলপ্রয়োগের যেই ঘোষণা দিয়েছিলেন ততকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার, তখন থেকেই উপসাগরীয় দেশগুলো মার্কিন বাহিনী এনে রেখেছে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়েও ক্রমেই অস্বস্তিতে আছে উপসাগরীয় দেশগুলো। কাতার সঙ্কট শুরুর প্রায় সাথে সাথে ট্রাম্প তাতে সমর্থন দেন। অবশ্য পরে তিনি পুরোনো অবস্থান থেকে সরে আসেন।  উপসাগরীয় অনেক দেশই ওয়াশিংটনে লবিস্টের পেছনে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে।


আরো সংবাদ



premium cement