১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


পোশাকশ্রমিকদের বেতন-বোনাস

-

এ দেশের অর্থনীতি অনেকাংশে তৈরী পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। আর এই শিল্প দাঁড়িয়ে আছে পোশাকশ্রমিকদের ওপর ভর করে। পোশাকশ্রমিকরা ভালো এবং সুরক্ষিত থাকলে এ খাতের উৎপাদনশীলতা বাড়বে। অথচ এই খাতসংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারক বা নিয়োগকর্তাদের অনেকেই এ ব্যাপারে উদাসীন। প্রতি ঈদেই আমরা দেখতে পাই, পোশাকশ্রমিকদের একাংশ বকেয়া বেতন-বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ করছে। কিছু কারখানার মালিক ঈদে সময়মতো শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করে না বা গড়িমসি করেন। কর্মক্ষেত্রে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও পোশাকশ্রমিকরা পরিবারের কথা ভেবে ঝুঁকি নিয়ে স্বল্প মজুরিতে কাজ করে যান, যা স্বাভাবিক জীবনধারণের জন্য অপ্রতুল। কিন্তু ঈদের মতো গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসবও যদি তারা পরিবার নিয়ে আনন্দের সাথে উদযাপন যাপন করতে না পারে, সেটি দুঃখজনক। এত সস্তায় নিজেদের শ্রম বিক্রি করা সত্ত্বেও পাওনা বেতন-বোনাসের দাবিতে কেন তাদের রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হবে? কারখানার মালিকরা অতিরিক্ত মুনাফা করতে গিয়ে শ্রমিকদের বঞ্চিত করাÑ এটা অমানবিক। এটা থেকে বের হয়ে আসা প্রয়োজন। তাই ঈদে পোশাকশ্রমিকদের বেতন-বোনাস সময়মতো পুরোপুরি পরিশোধসহ যেকোনো দুর্যোগে সাধ্যমতো শ্রমিকদের পাশে থাকা সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকদের পেশাগত ও মানবিক দায়িত্ব।
মো: সাকিবুল হাসান সজীব
মিরপুর, ঢাকাৎ


আরো সংবাদ



premium cement