আশা করি, আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। দোয়া করি আল্লøাহ পাক আপনাকে দীর্ঘজীবী করুন। আল্লøøাহ তায়ালা আপনাকে যতদিন বাঁচিয়ে রাখে, ততদিন আপনি জনগণের নেত্রী হয়ে থাকুন।
আমার বাবা মো: ওয়ালেক মিয়া একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু কোনো সম্মাননা বা সনদ পাননি। তিনি যুদ্ধ করেছেন দেশের স্বার্থে, মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে। তাই তিনি কখনো সনদের পেছনে দৌড়াননি। আমার বাবা সরল প্রকৃতি মানুষ। তাঁর কমান্ডার ছিলেন চন্দনাইল গ্রামের মৃত খগেন্দ্র বাবু যিনি বাবাকে ভালো করে চিনতেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কমান্ডার খগেন্দ্র বাবুকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাসায় ডাকেন। ওই সময়ে আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: ওয়ালেক মিয়া তাদের সাথে অস্ত্র জমা দিতে যান। বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে একটি কলা ও রুটি বাবাকে খেতে দেন। তাদের সাথে আরো অনেকেই গিয়েছিলেন, তাদের সবাই আমার বাবাকে চিনতেন। তাদের মধ্যে, সবাই এখন মৃত. শুধু বাবাই জীবিত আছেন। মুরাদনগরের এমপি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন আমার বাবাকে আশা করি, আওয়ামী লীগ পরিবার হিসেবে ভালো করে চিনেন। দলের নেতা জাহাঙ্গীর আলম সাহেবও বাবার অনেক কাছের লোক। তিনি আমার বাবাকে আওয়ামী লীগের পরিবার হিসেবে চিনেন। মুরাদনগরের বর্তমান কমান্ডার মো: হারুনও বাবাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভালো করে চিনেন। বাবা ৯০ বছর বয়সেও দলের সব কর্মকাণ্ডে উপস্থিত থাকেন। বাবা এই দেশ স্বাধীন করেছেন। কিন্তু ভিটেমাটি ছাড়া তার নিজের কোনো থাকার স্থান নেই। থাকেন অন্যজনের পুকুর পাড়ে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি যেমন পিতাকে ভালোবাসেন, দেশের অগণিত মানুষও যেমন তাকে ভালোবাসে, ঠিক আমার বাবা ওয়ালেক মিয়াও বঙ্গবন্ধুকে নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন। তাই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি ধরে রাখা এবং আপনার সম্মুখে সাথে করার সুযোগ দেয়ার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। আমাদের জমিজমা বা ভিটেমাটি কিছুই নেই। তাই আপনার কাছে আবেদন করছি, তাকে যেন তার প্রাপ্ত সম্মান এবং সাহায্য দেয়া হয়।
নজরুল ইসলাম
পিতা- মো: ওয়ালেক মিয়া
বড়পিপরিয়া, মুরাদ নগর, কুমিল্লা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা