০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


চি ঠি প ত্র

-

অসহায়দের পাশে দাঁড়ান
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়-আতঙ্ক সবার মাঝে বিরাজমান। ফলে স্মরণকালের ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছে। এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। দেশজুড়ে বিরাজ করছে থমথমে অবস্থা। কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বর্তমান সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে। কিছু কিছু এলাকা ইতোমধ্যে লকডাউন করে দিয়েছে। সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু পেটের দায়ে অনেকে নিয়ম তোয়াক্কা না করেই কর্মস্থলে যোগ দেন। শ্রমজীবী মানুষের ভাইরাস সম্পর্কে বাড়তি সচেতনতা অলম্বন করা খুবই প্রয়োজন। ভাইরাসের প্রভাবে ও সাধারণ ছুটি ঘোষণা হওয়ার কারণে শ্রমজীবী ও অসহায় মানুষের উপার্জন বন্ধ হওয়ার উপক্রম। তাই এহেন মুহূর্তে সরকারের পাশাপাশি বিত্তশালীদের এসব পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের কষ্ট লাঘব করা নিতান্তই জরুরি ।
আলতাফ হোসেন হৃদয় খান
পাঁচলাইশ,বায়েজিদ বোস্তামী, চট্টগ্রাম।
রাস্তা সংস্কার করতে হবে
সুজানগর থেকে চিনাখড়ার প্রধান সড়ক ১১ কিলোমিটারের রাস্তা। সম্পূর্ণ সড়ক এখন ‘ধুলার মহাসমুদ্র’। বেহাল দশা যে, চার চাকার গাড়ি চলা দূরের কথা সাইকেল পর্যন্ত চলানো যাচ্ছে না। সুজানগর, চিনাখড়া, শান্তিপুর, গুরাদাহ, পুড়াডাঙ্গা প্রভৃতি বড় হাটবাজার ভালোভাবে জমছে না এই রাস্তার বেহাল দশার কারণে। অথচ বাংলাদেশের বেশির ভাগ পেঁয়াজ সরবরাহ করা হতো এ সব হাটের মাধ্যমে। বিরাট বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীসহ প্রায় ৩০ গ্রামবাসী। এ ছাড়া এই রাস্তার ধুলোবালি বায়ু দূষিত করে এলাকাবাসীর স্বাস্থ্যহানি করছে। স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের চলাচল বিঘিœত হওয়াসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, প্রতিদিন প্রায় এক থেকে দেড় লাখ পথচারীকে।
এমতাবস্থায় অতি দ্রুত রাস্তা মেরামত করার জন্য সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয়সহ স্থানীয় সরকার ও জনপ্রতিনিধিকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
শাবলু শাহাবউদ্দিন
সাদুল্লাপুর, সুজানগর, পাবনা

কেন রক্তদান করবেন?
‘তুচ্ছ নয় রক্ত দান, বাঁচাতে পারে একটি প্রাণ।’ রক্তদান হলো প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের স্বেচ্ছায় রক্ত দেয়ার প্রক্রিয়া। সব ধর্মেই মুমূর্ষুকে দানের কথা বলা হয়েছে। সেই দান যদি হয় রক্ত, তবে তার মহত্ব ছাড়িয়ে যায় অন্য সব কিছুকে। কিন্তু আমাদের দেশের হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় রক্তের সরবরাহ কম। তাই প্রতি বছর অনেক রোগী রক্তের অভাবে মারা যায়। হাসপাতালে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের রক্তের প্রয়োজন। কিন্তু তারা রক্তের অভাবে চিকিৎসা বা অপারেশন করাতে পারছেন না। তারা আপনার আমার দিকে চেয়ে আছেন। ‘রক্ত দিলে হয় না ক্ষতি, জাগ্রত হয় মানবিক অনুভূতি’। রক্তদানে সহায়তা করতে এগিয়ে আসছে অনেক সামাজিক সংগঠন। আপনারাও পারেন এরূপ স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন গড়ে তুলতে; যা থেকে আপনি এবং আপনার আশপাশের মানুষজন পেতে পারে উপকার এবং সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে ভালোবাসার দৃঢ় বন্ধন। আপনি কি জানেন, রক্তদানের মাধ্যমে সমাজসহ নিজেরও উপকার করছেন? রক্তদানে মানসিক তৃপ্তি মেলে, রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, নিশ্চিত হয় বিনামূল্যে রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট, নিয়মিত রক্তদানকারীর হার্ট ও লিভার ভালো থাকে, নিয়মিত রক্তদানে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায় এবং বিনামূল্যে বিভিন্ন রোগের রিপোর্ট পাওয়া যায়। এ ছাড়া রক্তদান করলে পুরো শরীর উজ্জীবিত হয়। এটি একটি মানবিক দায়বদ্ধতা ও সামাজিক অঙ্গীকার। যে পেশায়ই থাকুন না কেন, সমাজের জন্য আপনার কিছু না কিছু করার আছে। রক্তদান করা কল্যাণমূলক কাজের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। আসুন, প্রতিজ্ঞা করি, আমরা নিয়মিত রক্তদান করব এবং অন্যের বিপদে এগিয়ে আসব। আমরা পারি সমাজটা বদলে দিতে। আমরা যদি এগিয়ে আসি এবং আমাদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারি তাহলে বাংলাদেশে থাকবে না আর কোনো রক্তসঙ্কট।

মো: রাশিদুল ইসলাম
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া


আরো সংবাদ



premium cement