সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম হলো নৌপথ। সাতটি ফেরিঘাট থাকলেও বেশির ভাগ মানুষ যাতায়াত করে কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাট দিয়ে। এই নৌপথে দুর্ভোগের শেষ নেই। এখানে নেই সরকারি নৌযান। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় স্পিডবোট কিংবা মালের নৌকা দিয়ে। এসব নৌযান কূলে না গিয়ে যাত্রীদের কোমর পানিতে নামিয়ে দেয়। যাত্রী ওঠানামার জন্য নেই কোনো সুব্যবস্থা। লাইফ জ্যাকেট থাকা সত্ত্বেও সব সময় যাত্রীদের তা দেয়া হয় না, রাতে নেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। চলছে অবৈধ লাল বোট, সেখানে বকশিশের নামে চাঁদাবাজি, নেই মানসম্মত টয়লেট, পর্যাপ্ত ছাউনির অভাবে বৃষ্টিতে ভিজতে হয় যাত্রীদের, রোগীদের জন্য সি-অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও এক দিনের জন্যও তা ব্যবহার করা হয়নি। দুই পাড়ে সেতুর ওপর ভ্যানে আনা-নেয়ার চার-পাঁচ মিনিটের পথ যেতে ভাড়া দিতে হয় জনপ্রতি ২০ টাকা। এ ছাড়াও চলছে নানান হয়রানি। এসব কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এমনকি ২০১৭ সালের ২ এপ্রিল ১৮ জন প্রাণ হারিয়েছে সন্দ্বীপের।
সংশ্লিষ্ট ঘাট কর্তৃপক্ষের নজরে বারবার আনা হলেও আজ পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি। তাই নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে চার লাখ সন্দ্বীপবাসীর দুর্ভোগ নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়।
জিসান মাহমুদ, সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা