৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মসজিদে বিস্ফোরণের তদন্ত দ্রুত শেষ হবে : সিআইডি

মসজিদে বিস্ফোরণের তদন্ত দ্রুত শেষ হবে : সিআইডি - ছবি : সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত শিগগিরই শেষ করা হবে। এরই মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া গেছে। একজন ডিআইজির নেতৃত্বে সিআইডির একটি টিম ঘটনাস্থল ঘুরে এসেছেন। আমরা অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছি।

মঙ্গলবার দুপুরে নিজ দফতরের সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) প্রধান ও পুলিশের অতিরিক্ত আইজি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান এসব তথ্য জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা আলামত ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আরও কিছু কাজ বাকি আছে। এসব কাজ শেষ করতে বেশি সময় লাগবে না। মাত্র কয়েকদিন আগে মামলাটির তদন্তভার সিআইডি পেয়েছে।

সিআইডি প্রধান বলেন, সিআরপিসি অনুযায়ী তদন্তের কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই মামলার তদন্ত কাজ শেষ করতে চাচ্ছি। আমাদের তদন্তে সবগুলো পয়েন্ট কভার করবো।

তিনি আরো বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে যেসব তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সেসব কমিটি এখনও প্রতিবেদন দেয়নি। প্রতিবেদন দিলে সেগুলো পর্যালোচনা করবো।

গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজের সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন ৩৭ জন। এ পর্যন্ত ৩১ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ৫ জনের অবস্থা এখনও আশংকাজনক। এর সবাই আইসিইউতে আছেন। এদের প্রত্যেকের শ্বাসনালীসহ শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে।

ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ প্রাথমিকভাবে বলছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট ও গ্যাস পাইপলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস জমে এ বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, জেলা প্রশাসন, তিতাস গ্যাস, ডিপিডিসি, সিটি করপোরেশন পৃথক পাঁচটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ ঘটনায় অবহেলার অভিযোগে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির ৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সিআইডির ঢাকা বিভাগীয় ডিআইজি মাইনুল হাসান বলেন, তদন্তের অংশ হিসেবে তিতাস গ্যাস, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং মসজিদ কমিটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদরে জন্য শিগগিরই তাদের চিঠি দেয়া হবে। কার কী দায়িত্ব ছিল, কারা দায়িত্বে অবহেলা করেছিল সে বিষয়টি চিহ্নিত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, মসজিদে দুইটি বিদ্যুতের লাইন ছিল। বৈধভাবে সেখানে দুইটি লাইন থাকার কথা না।

ডিআইজি বলেন, অভিযোগ রয়েছে- গ্যাসের লাইনে ত্রুটির বিষয়টি আগেই সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছিল। ত্রুটি মেরামতের জন্য নাকি ঘুষ দাবি করা হয়েছিল। সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ রয়েছে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদ একটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর জায়গা। তাই এ বিষয়ে স্থানীয়দের বক্তব্য নেয়া হবে। ফায়ার সার্ভিস, তিতাস গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের বিশেষজ্ঞ মতামত নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement