কারাগারে থাকা সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে ডিভিশন দেয়ার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে কারাবিধি অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে ওসি মোয়াজ্জেমের পক্ষে তার আইনজীবী আবেদন করলে শুনানী শেষে এ আদেশ দেন।
আইনজীবী শুনানীকালে আদালতে বলেন, আসামি মোয়াজ্জেম হোসেন ওসি হিসেবে নবম গ্রেডের অফিসার। তিনি এখনো চাকুরিরত। ২০১২ সালের ৩০ জুলাইয়ের গেজেট অনুযায়ী তিনি প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা ও নাগরিক। তাই তিনি কারাগারে প্রথম শ্রেণির কয়েদীর মর্যাদার সকল সুযোগ সুবিধা পেতে পারেন। এই কর্মকর্তা কর্মজীবনে বিভিন্ন আসামি গ্রেফতার করেছেন। তাদের অনেকে জেলখানায় আছে। সাধারণ আসামিদের সাথে মোয়াজ্জেম হোসেন থাকলে তার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। এ জন্য আমরা তার জন্য প্রথম শ্রেণির ডিভিশন প্রার্থনা করছি।
রাষ্ট্রপক্ষে নজরুল ইসলাম শামীম এর বিরোধীতা করে বলেন, তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এজন্য আমরা ডিভিশনের বিষয়ে আপত্তি জানাচ্ছি।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ডিভিশনের বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে কারা বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আদেশে দেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি নিয়ে ফেসবুকে লাইভ করে আলোচিত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন গত ১৫ এপ্রিল আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় গত ২৭ মে তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানা মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ওই দিনই মোয়াজ্জেম হোসেনের রিুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
পরোয়ানা জারির ২০ দিন পর ১৬ জুন মোয়াজ্জেম হোসেনকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন তাকে একই ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন একই বিচারক। আগামী ৩০ জুন মামলাটি চার্জগঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য ধার্য রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা