০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা

রায়ের তারিখ ধার্যের আবেদন রাষ্ট্রপক্ষের : আদেশ ৩০ সেপ্টেম্বর

বিএনপি
বকশিবাজারস্থ ঢাকা আলিয়া মাদরাসা মাঠের অস্থায়ী আদালতে খালেদা জিয়া - ফাইল ছবি

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন সমাপ্ত করে রায় ঘোষণা করার জন্য আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ মো: আখতারুজ্জামানের আদালতে আজ বুধবার এ আদেশ দেন।

এদিকে এ মামলায় দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানের পক্ষে করা অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়েও আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর আদেশ দেয়া হবে। সে পর্যন্ত জামিন দেয়া হয়েছে মনিরুল ইসলাম খানকে। তবে গ্রেফতারকৃত জিয়াউল ইসলাম মুন্নার জামিন আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।

মামলার প্রধান আসামি বেগম খালেদা জিয়ার জামিনও আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

আজ আদালতে দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, মামলা পরিচালনায় আসামি পক্ষ আদালতকে সহযোগিতা করছে না। তাই তিনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সমাপ্তি ঘোষণা করে রায়ের দিন ধার্যের আবেদন করেন।

অপরদিকে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া আদালতকে বলেছেন, খালেদা জিয়ার সিনিয়র আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কাল্পনিক মামলা দেয়া হয়েছে। তারা এ বিষয়ে জামিনের জন্য উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করছেন। এছাড়া কয়েকজন অসুস্থ থাকায় তারা আদালতে আসতে পারছেন না। তারা এ মামলার শুনানি পেছনোর জন্য সময় চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের বিষয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর আদেশের তারিখ নির্ধারণ করেন।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদার অনুপস্থিতিতে মামলার বিচারের আদেশ দেয়ায় আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানের পক্ষে মামলার কার্যক্রম মুলতবি চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। আদালত ওই আবেদন নামঞ্জুর করলে বিচারকের প্রতি অনাস্থা দেন তাদের আইনজীবীরা।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

অপর আসামিরা হলেন- খালেদার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

দুদকের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। রায়ের পর থেকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement
গ্রিড লাইনের ত্রুটিতে সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ভুক্তভোগী নারী ও তার পাশে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের হয়রানির প্রতিবাদ বাড্ডায় নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার কথিত স্বামী পলাতক গ্রেফতারকৃতদের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করবে খতমে নবুওয়ত ঝিনাইদহ-১ আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নায়েব আলী জাতীয় গ্রিডে ত্রু‌টি, সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ বিপর্যয় ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাবিতে নিয়মিত ২০ আসন বরাদ্দ রেকর্ড গড়ে সাদিক খান আবারো লন্ডনের মেয়র আগামী ২ মাসের মধ্যে ভাঙ্গা-খুলনা-যশোর পর্যন্ত ট্রেন চালু হবে : জিল্লুল হাকিম ফতুল্লায় ব্যবসায়ী অপহরণ, গ্রেফতার ৭ তাপদাহের কারণে গোসল করতে গিয়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু

সকল