০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


হজ ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনা হবে : ধর্মমন্ত্রী

-

আগামী বছর হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আনা হবে বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো: ফরিদুল হক খান। গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেসরকারি হজযাত্রী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তবে কোন কোন বিষয়ে পরিবর্তন আনা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি মন্ত্রী। ফরিদুল হক খান বলেন, বাংলাদেশ থেকে যাতে মানুষ যৌক্তিক খরচে হজ পালন করতে পারে সেই বিষয়ে আমরা তৎপর রয়েছি। হজযাত্রীদের নিবন্ধন থেকে শুরু করে যে দাফতরিক প্রক্রিয়াগুলো রয়েছে, সেগুলো আরো কিভাবে সহজ করা যায়, হজযাত্রীদের আরেকটু বেশি কমফোর্ট দেয়া যায়- সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি। আগামী বছর হজ ব্যবস্থাপনায় আমরা অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারব বলে আশা করছি। আল্লাহ আমাদের এই আশা পূরণ করার তৌফিক দান করুন। সরকার হজযাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে বদ্ধপরিকর।
মন্ত্রী বলেন, হাশরের ময়দানে যা হবে হজ করতে গিয়ে মিনাতেও তাই হবে। কেউ কাউকে চিনবে না ওখানে। এ কথাটার উদ্দেশ্য হলো, আমি হজযাত্রী, আমি আল্লাহর মেহমান- এটুকুই যাতে পরিচয় থাকে, এর বাইরে যেন কারো পরিচয় না থাকে। আমি প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রী, সচিব, অমুক এই পরিচয়টা ওখানে থাকবে না। পরিচয় থাকবে আমি আল্লাহর মেহমান। এই মনোবৃত্তি নিয়ে যদি হজ করতে যান তবে প্রশান্তি নিজেও পাবেন, অন্য সবাই প্রশান্তি পাবে। তিনি আরো বলেন, ওখানে গিয়ে যদি বলা যায়, এ রুমে ছয়জন ও কোত্থেকে এলো। কে না কে, এই রুমের মধ্যে দিয়ে দিছে আমাদের সাথে- তাইলে হবে ভাই? হজ করার মূল চিন্তা এবং চেতনা যেটি, সেটি এক জায়গায় গিয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের সবাইকে ভাবতে হবে আমরা আল্লাহর মেহমান। সবাই এক, অদ্বিতীয় এবং অভিন্ন, সবার মধ্যে সেই হৃদ্যতা থাকতে হবে। আমি কোন বংশের, কোন স্ট্যাটাসের সেটি সেখানে খাটানো ঠিক হবে না।
ধর্মমন্ত্রী হজযাত্রীদের উদ্দেশে আরো বলেন, হজের সময় কোনো যান্ত্রিক কারণে যদি কোনো অসুবিধা সৃষ্টি হয়, তখন আল্লাহকে ডাকতে হবে। কাউকে দোষারোপ করা যাবে না। কেউ চায় না হজযাত্রী কষ্ট পাক, হজযাত্রার কোনো কিছু অসুন্দর হোক- এটা কেউ কখনো কামনা করে না। সরকারও করে না, সরকারের যারা প্রতিনিধিত্ব করেন তারাও করে না, যারা সহযোগী তারাও করেন না, যারা এজেন্সি মালিক তারাও করেন না।
গত বছর একজন এজেন্সি মালিক হজযাত্রীদের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন জানিয়ে ফরিদুল হক খান বলেন, এ বছরও একজন নিয়েছেন। এ রকম যদি এজেন্সি মালিক হন সেটা ভিন্ন কথা। একজন এজেন্সি মালিক পলাতক থাকার পরেও গত বছর কোনো হজযাত্রী থেকে যাননি। এবার যেটা হচ্ছে সেটাও আমরা করতে সক্ষম হবো ইনশা আল্লাহ।
গত বছর মালিক পালিয়ে যাওয়ায় হজ এজেন্সিকে জরিমানা করা হয়েছে, জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জরিমানা করা হয়েছিল ৫০ লাখ টাকা। এখন এজেন্সি মালিকরা অনেক সচেতন হয়েছেন। এজেন্সি মালিকরা কোনো অন্যায় করলে তাদের ওপর কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তারা অন্যায় করলে সেদিকে আমরাও লক্ষ্য রাখব।
হজযাত্রীদের উদ্দেশে ফরিদুল হক খান বলেন, তাদের (এজেন্সি) ত্রুটি-বিচ্যুতি হতেই পারে। ছোটখাটো বিচ্যুতি, যেগুলো ক্ষমা করার যোগ্য, সেগুলো ক্ষমা করবেন। যেগুলো ক্ষমা করার যোগ্য না, সেগুলোর বিষয়ে অভিযোগ করবেন। ওখানে (সৌদি আরবে) আপনারা অভিযোগ করতে পারবেন, দেশে এসেও অভিযোগ করতে পারবেন।
এ সময় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মু আ: হামিদ জমাদ্দারসহ মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চার দিনে ঢাকা থেকে নিবন্ধন করা ৩০ হাজার বেসরকারি হজযাত্রীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।


আরো সংবাদ



premium cement