করোনায় আক্রান্ত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। রাজধানীর উত্তরার বাসায় আইসোলেশনে আছেন তিনি। চলছেন চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী। ইতোমধ্যে তার স্ত্রী রাহাত আরার করোনা নেগিটিভ এসেছে। আজকালের মধ্যে বিএনপি মহাসচিবের আবারো করোনা টেস্ট করা হবে।
মির্জা ফখরুলের ব্যক্তিগত সহকারী ইউনুস আলী গতকাল সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, মহাসচিব ভালো আছেন। ক্রিটিকাল কোনো উপসর্গ নেই। স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউ ও করোনা বিশেষজ্ঞ ডা: রায়হান রাব্বানীর তত্ত্বাবধানে তাদের চিকিৎসা চলছে। তিনি জানান, আগামী ১৯ জানুয়ারি মহাসচিবের স্বাস্থ্যের বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। এরপর ২০ জানুয়ারি চিকিৎসকরা তাদের পর্যবেক্ষণ দেবেন।
গত ৯ জানুয়ারি সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হন বিএনপি মহাসচিব ও তার স্ত্রী রাহাত আরা। পরে পরিবারের আরো কয়েকজনের করোনাও পজিটিভ আসে। গত শনিবার পুনরায় বিএনপি মহাসচিবের স্ত্রী রাহাত আরার করোনা পরীক্ষা করা হলে রেজাল্ট নেগিটিভ আসে। করোনা শুরু হওয়ার পর বিএনপির বিভিন্ন পর্র্যায়ের অসংখ্য নেতা করোনায় আক্রান্ত হন। আক্রান্তদের অনেকে মারাও গেছেন। গত বছরের ১০ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হন। গুলশানের বাসায় ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রেখে তার চিকিৎসা হয়। কিন্তু করোনা উত্তর নানা জটিলতায় তিনি এখনো আক্রান্ত রয়েছেন। চিকিৎসাধীন আছেন রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে।
গত বছর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসুরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান কামাল ইবনে ইউসুফ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা চিকিৎসার মাধ্যমে সেরে উঠলেও করোনায় মারা যান দলের ভাইস চেয়ারম্যান কামাল ইবনে ইউসুফ, কেন্দ্রীয় নেতা খুররম খান চৌধুরী, খন্দকার আহাদ আহমেদ, আবদুল আউয়াল খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসানসহ বেশ কিছু নেতা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা