২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যৌথ নেতৃত্বাধীন একক কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয়দের অংশগ্রহণ থাকতে হবে

রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধান
-

 

রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় কর্মরত ৫০টিরও বেশি সিএসও এনজিওর নেটওয়ার্ক কক্সবাজার সিএসও এনজিও ফোরাম (সিসিএনএফ) রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় তহবিল ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকার, স্থানীয় সিএসও, রোহিঙ্গা প্রতিনিধি, আরআরআরসি, জেলা প্রশাসক ও আইএসসিজির অংশগ্রহণ সমৃদ্ধ একটি একক কর্তৃপক্ষের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে। কাল ২২ অক্টোবর যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসঙ্ঘ ও জাপানের উদ্যোগে অনুষ্ঠিতব্য দাতা সম্মেলনের প্রাক্কালে আয়োজিত এই ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সিসিএনএফ নেতৃবৃন্দ দাতা ও উন্নত দেশগুলোর বর্তমান ভূমিকার সমালোচনা করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অনতিবিলম্বে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য ধনী দেশ ও জাতিসঙ্ঘের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাকে দ্বিগুণ জোরদার করার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন সিসিএনএফের কো-চেয়ার এবং কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী। এতে বক্তৃতা করেন টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী, সিসিএনএফের কো-চেয়ার, পালসের নির্বাহী পরিচালক এবং কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী এবং মুক্তি কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী বিমল দে সরকার, আইডিএফ নির্বাহী পরিচালক জহিরুল আলম (চট্টগ্রাম), হেল্প কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেম (উখিয়া) অগ্রযাত্রার সভাপতি নীলিমা আক্তার চৌধুরী (কক্সবাজার) এবং সিসিএনএফ সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
রাশেদ মোহম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রতি সংশ্লিষ্টদের মনোযোগ রয়েছে, কিন্তু নাফ নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা জেলে সম্প্রদায় এখনো সেখানে মাছ ধরতে না পেরে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।’ তিনি স্থানীয়দের জন্য আসা বিভিন্ন সহায়তার পূর্ণ স্বচ্ছতার আহ্বান জানান।
আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন থেকে সিসিএনএফ স্থানীয় সিএসও/এনজিওগুলোর বিকাশের জন্য পুল ফান্ড এবং গ্র্যান্ড বার্গেইনের আলোকে প্রত্যক্ষ অর্থায়নের অনুরোধ করে আসছে। জাতিসঙ্ঘ এজেন্সিগুলোর নেতৃত্বে প্রণীত স্থানীয়করণ টাস্ক রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়েছিল, কিন্তু এর বাস্তবায়ন বিলম্বিত হচ্ছে। ২০১৮ থেকে সিসিএনএফ যৌথ সাড়া দান পরিকল্পনাকে (জেআরপি) নিরাপত্তা ও সঙ্ঘাত প্রতিরোধে গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দিয়ে এসেছে।’ রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রেক্ষাপটে তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠায় স্থানীয় সরকার এবং স্থানীয় সিএসওর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার অনুরোধ করেন।
জহিরুল আলম বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুর মতো, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যও বাংলাদেশ দায়ী না হয়েও এই সমস্যাগুলোতে দেশটিকে ভুগতে হচ্ছে।’ তিনি দাতা দেশগুলোকে রোহিঙ্গা মানবিক সঙ্কটের পাশাপাশি বাংলাদেশের অন্যান্য সমস্যা সমাধানেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। একমাত্র টেকসই সমাধান হিসেবে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য ধনী ও দাতা দেশগুলোর প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতে হবে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
বিমল দে সরকার বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য এখন পর্যন্ত ২.৬৩ বিলিয়ন ডলার সহায়তা এসেছে, এই সংখ্যা হিসাব করলে প্রতি মাসে প্রতিটি রোহিঙ্গা পরিবারের জন্য বরাদ্দ এসেছে প্রায় ৪২৩ ডলার, সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, মোট সহায়তার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ প্রত্যক্ষ সেবা হিসেবে রোহিঙ্গাদের কাছে পৌঁছেছে।’ তিনি জাতিসঙ্ঘ এবং আইএনজিও ভালো কাজগুলোর প্রশংসা করেন, কিন্তু অর্থসহায়তার স্বচ্ছতার অভাবে জনমনে বিভ্রান্তি রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় জাতিসঙ্ঘ, বিশেষ করে ইউএনএইচসিআর এবং আইওএমের ভূমিকা প্রশংসিত। তিনি বলেন, ‘প্রাপ্ত অর্থসহায়তার কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার এবং জাতিসঙ্ঘের যৌথ নেতৃত্বাধীন একটি একক কর্তৃপক্ষ থাকতে হবে।’ নীলিমা আক্তার চৌধুরী আইএসসিজিতে (ইন্টার সেকটোরাল কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ) স্থানীয় সরকার এবং সিএসও/এনজিওগুলোর অংশগ্রহণের পূর্ণ সুযোগ সৃষ্টির অনুরোধ করেন।
আবুল কাশেম বলেন, স্থানীয় অংশীজন এবং এবং রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নিচ থেকে ওপরে যাওয়ার বা ‘বটম-আপ’ পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৩৯ মিয়ানমারের জাতীয় গ্রন্থাগারে বাংলাদেশ দূতাবাসের বই অনুদান ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশী প্রভুদের দাসত্ব করছে : কাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু সুলতান মাহমুদকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৫ মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী

সকল