২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

২ শতাধিক মানুষের ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ

এয়ার কার্গোতে চাকরির প্রলোভন
-

রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ার কার্গো বিভাগে চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুই থেকে তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আমিনুর ইসলাম লালু নামে এক প্রতারক। এ জন্য একের পর এক ভুয়া আউটসোর্সিং কোম্পানি খুলেন তিনি। চাকরিপ্রত্যাশীরা যাতে তার ওই অফিসে গিয়ে ভরসা পান সে জন্য টাকার বিনিময়ে লোক নিয়োগ দেয়া হতো। এভাবে দুই শতাধিক মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর গ্রেফতার হয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে। গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ দিকে, প্রতারক লালু গ্রেফতার খবরে গতকাল বুধবার সকাল থেকেই প্রতারণার শিকার ভিকটিমরা সিআইডি কার্যালয়ের সামনে ভিড় করতে থাকেন। একপর্যায়ে ৬০-৭০ জন ভিকটিম একত্রিত হয়ে, ‘চিটার লালুর বিচার চাই’, ‘প্রতারক লালুর ফাঁসি’ চাই স্লোগান দিতে থাকে। এর আগে গত সোমবার লালুর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় মামলা করেন একজন ভুক্তভোগী। মামলার প্রধান আসামি করা হয় আমিনুর ইসলাম লালুকে। এরই ধারাবাহিকতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জিসানুল হক জানান, লালু কয়েকটি ভুয়া আউটসোর্সিং কোম্পানি খুলে সেসব কোম্পানির মাধ্যমে বিমানবন্দরে চাকরি দেয়ার জন্য চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন। কোম্পানিগুলো হচ্ছেÑ এনবিজি এয়ার কার্গো লিমিটেড, নর্থ বেঙ্গল আউটসোর্সিং লিমিটেড, বগুড়া ডেভেলপার অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, বগুড়া ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড, মেসার্স হযরত শাহ্ আলী বোগদাদি (রহ:) এন্টারপ্রাইজ, নর্থ বেঙ্গল বাজার বিডি লিমিটেড, মেসার্স নুরে মুজেসসুম করপোরেশন, এনবিও সিকিউরিটি সার্ভিসেস লিমিটেড ও মেসার্স গরিবে নেওয়াজ এন্টারপ্রাইজ।
জিসানুল হক আরো জানান, লালু এসব কোম্পানি খুলে এখান থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এয়ার কার্গো বিভাগের বিভিন্ন পদে চাকরি দেয়ার নাম করে প্রায় দুই শতাধিক চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত লালু কয়েকজন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় ভিকটিম পার্থ পালকে (মামলার বাদি) পিয়ন পদে চাকরি দেয়ার জন্য দুই লাখ টাকা নেন।
এ ছাড়া ভিকটিম অজয় রায় ও অনুতম বর্মন থেকে সুপারভাইজার পদের জন্য দুই লাখ ১৫ হাজার, লোডার পদের জন্য পলাশ চন্দ্র থেকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা, প্রিয় রঞ্জনের কাছ থেকে জুনিয়র এক্সিকিউটিভ পদের জন্য দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা, নাঈম রানা ও পবিত্র পালের কাছ থেকে অ্যাসিসটেন্ট পদের জন্য দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।
সিআইডি জানায়, লালুকে গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ৭৩টি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ডেবিট কার্ড, নর্থ বেঙ্গল আউট সোর্সিং লিমিটেডের ইস্যু করা বিভিন্ন কর্মচারীর নামে ৯০টি আইডি কার্ড, একটি কম্পিউটার সিপিইউ, একটি প্রিন্টার, লালুর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে সাতটি ব্যাংকের চেক বই, দু’টি পাসপোর্ট, নর্থ বেঙ্গল আউটসোর্সিং লিমিটেডের ফর্মে বিভিন্ন পদের জন্য চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনপত্র ৮৪টি, লালুর নিজের তিনটি এটিএম কার্ড, এনবিজি এয়ার কার্গো লিমিটেডের প্যাডে আসামি আমিনুর ইসলাম লালু স্বাক্ষরিত পুলিশ তদন্ত রিপোর্টে অতিরিক্ত আইজিপি স্পেশাল ব্রাঞ্চ মালিবাগ, ঢাকা বরাবর পাঠানো আবেদনপত্র ১১টি। লালুর রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৫ মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন হাত কাটা বন্দীর নেতানিয়াহুর সমালোচনা ইসরাইলের আলটিমেটাম, যা বলল হামাস রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের বিরুদ্ধে ব্লিংকেনের হুঁশিয়ারি

সকল