২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দাবি মেনে না নিলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে এ ওয়ান বিডি শ্রমিকদের যাত্রা

-

এ ওয়ান বিডি লিলিমিটেড শ্রমিকরা জাতীয় প্রেস ক্লাবে পূর্বঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি পালন করার জন্য আশুলিয়া থেকে রওনা দেন। কিন্তু ঢাকার গাবতলীতে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় ঢাকা ইপিজেডের কর্মকর্তারা তাদের ভাড়া করা গাড়ি থামিয়ে দেয় এবং ঢাকায় প্রবেশে বাধা দেয়। ঢাকার প্রবেশ পথে বাধা পেয়ে শ্রমিকরা কেউ হেঁটে কেউ গণপরিবহনে প্রেস ক্লাবে এসে পৌঁছান। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে শ্রমিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা যদি বাংলাদেশের নাগরিক হই তাহলে প্রতিবাদ করা, কথা বলা, নিজেদের দাবি-দাওয়া প্রকাশের অধিকার আমাদের আছে। বেপজা আমাদের পাওনা পরিশোধে একেবারেই ব্যর্থ হয়েছে। উপরন্তু আমরা সারা দেশের মানুষের সামনে আমাদের কষ্টের কথা তুলে ধরতে চাইলে সেখানেও তারা বাধা প্রদান করছে। এটা খুবই ন্যক্কারজনক এবং নিন্দনীয় অপরাধ। শ্রমিকরা ঢাকা ইপিজেডের কর্মকর্তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিচার চান প্রধানমন্ত্রীর কাছে। শ্রমিকরা বলেন, তাদের দাবি মেনে নেয়া না হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে তারা যাত্রা করবেন।
ঢাকা ইপিজেডে অবিস্থিত এ ওয়ান (বিডি) লিমিটেডের শ্রমিকরা গত ৮ মাস ধরে কারখনা খুলে চাকরি ফিরিয়ে দেয়া অথবা সব পাওনা পরিশোধের দাবিতে আন্দোলন করছেন। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ, ঢাকা ইপিজেড, শিল্প পুলিশ, ডাইফি বা শ্রম মন্ত্রণালয়ে বারবার ধরনা দিয়েও তারা দাবি আদায় করতে পারছেন না। ফলে আজ সকাল ১০টা থেকে এ ওয়ান (বিডি) লিমিটেডের শ্রমিকবৃন্দ ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। অবস্থান কর্মসূচিতে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কথা বলেন, আশরাফ, আলমগীর, রাজ্জাক, লাকী, রুবিনা, সুমি, শরিফুল, মান্নান, আমির, ইমন, উজ্জ্বল প্রমুখ।
এ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত আছেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, সাধারণ সম্পাদক জুলহাসনাইন বাবু, দফতর সম্পাদক মুসা কলিমুল্লাহ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, কেন্দ্রীয় সদস্য জিয়াদুল ইসলাম, আনিসুর রহমানসহ অন্যরা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এ কারখানার শ্রমিকদরে বড় অংশ কারখানার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করে আসছেন। এ বছর জানুয়ারি মাস থেকে এ কারখানায় কোনো উৎপাদন কার্যক্রম চলছে না এবং শ্রমিকদেরও কোনো বেতনভাতাও প্রদান করা হচ্ছে না (এ বছর ঈদুল ফিতরের আগে আংশিক শ্রমিকদের কিছু টাকা দেয়া হয়েছে। ১১ শতাধিক শ্রমিককে এ রকম অনিশ্চয়তার মধ্যে ঝুলিয়ে রাখা অমানবিক এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের মানবাধিকারের লঙ্ঘন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে কারখানা খুলে দিয়ে সবার চাকরি ফিরিয়ে দেয়া ও বকেয়া সমস্ত বেতনভাতা পরিশোধ করার উদ্যোগ নিতে হবে অথবা কারখানা বন্ধ করলে ১১ শ’ শ্রমিকের সব পাওয়া বাংলাদেশ ইপিজেড আইন ২০১৯ মোতাবেক পরিশোধ করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান, ঢাকা ইপিজেড কর্তপক্ষ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ডাইফি, শিল্প পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ৮ মাসের অচল অবস্থার সমাধান অবিলম্বে করতে হবে। অন্যথায় সব গণতান্ত্রিক ও শ্রমিক অধিকারের পক্ষের শক্তিকে সাথে নিয়ে এমনভাবে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে যাতে শ্রমিকের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার সাহস আর কেউ না দেখাতে পারে। বিজ্ঞপ্তি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ইউক্রেনকে দ্রত প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র দিতে যাচ্ছে পেন্টাগন ডিএমপির অভিযানে গ্রেফতার ৩৯ মিয়ানমারের জাতীয় গ্রন্থাগারে বাংলাদেশ দূতাবাসের বই অনুদান ক্ষমতায় যেতে বিএনপি বিদেশী প্রভুদের দাসত্ব করছে : কাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু সুলতান মাহমুদকে বাঁচাতে সাহায্যের আবেদন গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি হামলায় নিহত ১৫ মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর

সকল